আজ, শনিবার বাংলার ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হচ্ছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রেই জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকী গত বিধানসভা নির্বাচনে যে মাদারিহাট থেকে বিজেপি প্রার্থী জয়ী হয়েছিল, সেই মাদারিহাট হাতছাড়া হল গেরুয়া শিবিরের। মাদারিহাটཧে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জয়প্রকাশ টোপ্পো ৩০ হাজারের ভোটে জয়ী হয়েছেন। গণনা শেষে ৬–০ হল। কিন্তু এই উপনির্বাচনে একটা উল্লেখযোগ্য বিষয় হল—বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের সব কটি কেন্দ্রেই জামানত বাজেযাপ্ত হয়েছে। সুতরাং বাংলার মানুষ এই দুটি দলকে আবার রাজনৈতিক প্রত্যাখ্যান করল বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে এই পরিস্থিতিতে ছয় বিধানসভা কেন্দ্রে জিতে অকাল হোলি খেলতে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস। মাদারিহাট–সিতাই দুটিই উত্তরবঙ্গের আসন। আগে দিনহাটা জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির নিশীথ প্রামাণিককেও পরাজিত করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের অবস্থা আজ এমন হল যে, প্রত্যেক রাউন্ড গণনা শেষে তথ্য উঠে এল—নোটার সঙ্গে লড়াই হল বাম–কংগ্রেস প্রার্থীর। এমনটা বহু জায়গায় হয়েছে। তাই এটাকে রাজ🀅নৈতিক প্রত্যাখ্যান বলা হচ্ছে। মাদারিহাটে নোটায় পড়েছে ২ হাজার ৮৫৬ ভোট। আরএসপি এবং কংগ্রেস যথাক্রমে পেয়েছে ৩ হাজার ৪১২ এবং ৩ হাজার 🌃০২৩ ভোট। যা এখন চর্চার বিষয়।
আরও পড়ুন: ‘বাংলার রাজনীতির ক্যানসার হিংসা ও দুর্নীতি’, দু’বছর রাজ্যে থেকে অভিজ্ঞতা শোনান রাজ্যপাল
অন্যদিকে তালড্যাংরায় ৩৪ হাজার ৮২ ভোটে জয়ী হয় তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ফাল্গুনী সিংহবাবু। আর নৈহাটিতে ৪৮ হাজার ৮৭৯ ভোটে জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সনৎ দে। হাড়োয়ায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী রবিউল ইসলাম ১ লক্ষ ৩১ হাজার ৩৮৮ ভোটে জয়ী হয়েছেন। মেদিনীপুরে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুজয় হাজরা ৩৩ হাজার ১৯০ ভোটে জয়ী হয়েছেন। সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রে ১ লক্𝓡ষ ৩০ হাজার ১৫৬ ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সঙ্গীতা রায়। সিতাইয়ে ফরওয়ার্ড ব্লকের থেকে বেশি ভোট পেয়েছꦐে কংগ্রেস। আর সিতাই কেন্দ্রে ফরওয়ার্ড ব্লক পেয়েছে ৩,৩১৯ ভোট। নোটায় পড়েছে ১,৩১৭ ভোট।