হাওড়া শিবপুর থেকে বাবুঘাট পর্যন্ত লঞ্চ পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। তবে এটা যে কদিন বন্ধ হয়ে রয়েছে তেমন নয়। টানা একবছর ধরে এই লঞ্চ পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। আর তার জেরে বিস্তর নাকাল হতে হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের। কয়েক হাজার বাসিন্দা এই পরিষেবা থেকে এখনও বঞ্চিত। আশা করেছিলেন অনেকেই সব ঠিক হয়ে যাবে। আবার পরিষেবা স্বাভাবিক হবে। কিন্তু বাস্তবে সেটা হয়নি। সুতরাং এখন কলকাতায় আসতে হচ্ছে বাসে করে। আবার এই লঞ্চ পরিষেবাকে সামনে রেখে যাঁর𝐆া দোকান দিয়েছিলেন তাঁদের অবস্থা আরও শোচনীয়। কারণ এখানে এখন সেভাবে ক্রেতা আসছে না। লঞ্চ পরিষেবা চালু থাকলে নিত্যযাত💫্রী থেকে বাসিন্দারা আসতেন। এখন আসেন না। তাই সরাসরি রুটি রুজিতে টান পড়েছে।
এদিকে এখন যা পরিস্থিতি হয়েছে তাতে দোকান খুলে নদীর দিকে তাকিয়ে বসেই সময় কাটাতে হচ্ছে। হুগলি নদী জলপথ প🍌রিবহণ সমিতির অধীনে হাওড়া শিবপুর লঞ্চঘাট থেকে বাবুঘাট পর্যন্ত রোজ লঞ্চ চলাচল করত। তাতে বিপুল পরিমাণ যাত্রীর উপকার হতো। কারণ সহজেই কলকাতায় ঢুকে পড়তে পারতেন। চাকরি থেকে শুরু করে নানা কাজে অল্প সময়ে কলকাতায় আসতে পারতেন। এখন বাসে আসা গেলেও লাগে বেশ খানিকটা সময়। যাত্রীদের ভিড়ের জন্য তিনটি কাউন্টার থেকে টিকিট বিক্রি হতো। এখন সেসব অতীত। এখানে জেটিঘাট সংস্কারে শ্লথ, পুরনো লঞ্চ বেহাল হয়ে পড়ার মতো সমস্যা দেখা দেওয়ায় সমস্যা হতো। তবে ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে এই রুট সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীকে কড়া চিঠি দিলেন সাংসদ কীর্তি আজাদ, বাংলাকে বঞ্চনার নয়া অভিযোগ
অন্যদিকে একটি বছর কেটে গেলেও আজও মানুষ এই লঞ্চঘাটের দিকে তাকিয়ে আছেন। যদি শুরু হয় পরিষেবা। বিশেষ করে গরমকালে এই রুট ছিল অত্যন্ত আরাম এবং নিরাপদের। জলের ঠাণ্ডা হাওয়া গরম ও ক্লান্তি থেকে মানুষজনকে আরাম দিত। এই পরিষেবা যাতে আবার চালু হয় তাই ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা হয়। যার রায় এখনও বের হয়নি। ফলে চাকরিজীবী থেকে শুরু করে শ্রমিক, ব্যবসায়ীদের বিকল্প পথে যেতে হচ্ছে। এখন চাঁদপাল ঘাট পর্যন্ত গিয়ে তারপ🅰র লঞ্চ ধরে হাওড়া স্টেশনে আসতে হচ্ছে। যেটা বেশ কষ্টসাধ্🔜য। তাছাড়া বাস তো আছেই।
এছাড়া এখানে লঞ্চ পরিষেবাকে সামনে রেখে সাইকেল ও মোটরবাইক স্ট্যান্ড ছিল। এখন সেখানে নীরবতা বিরাজ করছে। এই জনস্বার্থ মামলায় আবেদনকারী অনেকে আছেন। তাঁর মধ্যে একজন হলেন এখানের স্থানীয় দোকানদার দেবু মাইতি। তিনি বলেন, ‘পরিষেবা যখন চালু ছিল তখন সারাদিন ক্রেতা থাকত। এখন বিক্রিবাটা নেই। কোনওরকমে দিনগুজরান করছি। এভাবে চলতে থাকলে দোকান বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া উপায় নেই। এখন আমরা সকলে🅷ই কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের দিকে তাকিয়ে রয়েছি।’🦋