এক যুবককে পিটিয়ে মারার মামলায় আদালতের নির্দেশে গ্রেফতার হলেন পানিহাটি পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর। তারক গুহ নামে পানিহাটি পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে এক যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে। সেই মামলায় শুক্রবার তারক গুহকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেন বিচারক। এই ঘটনায় পানিহাটি - সোদপুর জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।জানা গিয়েছে ২০১৪ সালের ২৬ নভেম্বর স্থানীয় এক যুবককে পিটিয়ে মারে তারক গুহ ও তাঁর দলবল। তখন কাউন্সিলর ছিলেন না তারক। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তারকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। কিন্তু শাসকদলের ছত্রছায়ায় থাকায় পুলিশ তারকের গায়ে হাত দেয়নি বলে অভিযোগ। কাউন্সিলর হওয়ার পরে তারকের প্রতাপ আরও বাড়ে। কিন্তু আদালতে হাজিরা দেননি তারক বা তাঁর অনুগামীরা।শুক্রবার অবশেষে বারাকপুর আদালতে হাজিরা দিতে যান তারক। আদালতে বিচারক তাঁকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেন। সঙ্গে সঙ্গে তারক গুহকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।এই ঘটনায় তৃণমূল সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, দুষ্কৃতীরাই তৃণমূলের সম্পদ। এদের দিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যটা চালাচ্ছেন। তৃণমূল করলে খুনের আসামীর গায়েও পুলিশ হাত দেয় না। তারা কাউন্সিলর, বিধায়ক, মন্ত্রী হয়ে যায়। আদালতের তৎপরতায় তারক গুহকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।এই ঘটনায় সোদপুর - পানিহাটি চত্বরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বিশেষ করে যে ১১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তারক গুহ কাউন্সিলর হয়েছেন সেখানকার প্রাক্তন কাউন্সিলর ছিলেন পুরপ্রধান।