আক্ষ𒊎রিক অর্থেই চিপক ছিল চেন্নাই সুপার কিংসের নিশ্ছদ্র দুর্গ। চেন্নাইয়ে গিয়ে সুপার কিংসকে হারানো ব♐াকি আইপিএল দলগুলির কাছে স্বপ্ন হিসেবেই বিবেচিত হতো। এমনটা নয় যে, চিপকে কখনও হারেনি সিএসকে। প্রতি মরশুমেই ঘরের মাঠে কিছু ম্যাচে হারে মুখ দেখতে হয়েছে ধোনিদের। তবে আগে কখনও নিজেদের ডেরায় এমন ধারাবাহিকভাবে ধাক্কা খেতে হয়নি চেন্নাইকে। আইপিএল ২০২৫-এর শুরুতেই যেভাবে একের পর এক হারের মুখ দেখতে হচ্ছে মাহিদের, তাতে বলাই যায় যে, চিপক দুর্গের পতন হল এতদিনে।
আইপিএল ২০২৫-এ চেন্নাই এই নিয়ে মোট ৬টি ম্যাচে মাঠে নামে। তারা জয় দিয়ে অভিযান শুরুর পরে টানা ৫টি ম্যাচে হারের মুখ দেখে। ঘরের মাঠে চেন্নাই এবছর এমন চারটি লজ্জার নজির গড়ে, যা দেখে বলাই যায় যে, চিপক দুর্গের চার দেওয়াল বিধ্বস্ত। এদিকে, সম্রাট ধোনির বিদায় যে কার্যত সময়ের অপেক্ষা, সেটা বুঝে নিতে অসুবিধা হয় না। 🍸চলতি মরশুমের শেষে মাহির আইপিএল থেকে অবসর নেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। ধোনির বিদায়ের সঙ্গেই তাঁর গড়ে তোলা সাম্রাজ্যও ভেঙে পড়ে কিনা, সেটাই হবে দেখার।
আরও পড়ুন:- PSL 2025 শুরুর আগেই হাড় হিম কꦛরা দুর্ঘটনা, বড় বিপদ থেকে বাঁচলেন ক্রিকেটাররা
এবছর চিপকে চেন্নাইয়ের চারটি হতাশাজনক নজির
১. আইপিএলের ইতিহাসে এই প্রথম এক মরশুমে ঘরের মাঠে টানা তিন ম্যাচে হারের মুখ দেখে চেন্নাই সুপার কিংস। এবছর চিপকে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে প্রথম হোম ম্যাচে জয় তুলে নেয় সুপার কিংস। তবে তার পর🎃েই এমএ চিদম্বরম স্টেডিয়ামে পরপর ৩টি ম্যাচে যথাক্রমে আরসিবি, দিল্লি ক্যাপিটালস ও কলকাতা না♓ইট রাইডার্সের কাছে পরাজিত হন ধোনিরা।
২. চিপকে রান তাড়া করতে নেমে চেন্নাই সব থেকে বড় ব্যবধানে ম্যাচ হারের হতাশাজনক রেকর্ড গড়ে এবছরই। আরসিবির কাছে এবার ৫০ রানে পরাজিত হয় চেন্নাই। সেই ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করে আরসিবি ৭ উইকেটে ১৯৬ রান তোলে। জবাবে ব্যাট🍒 করতে নেমে চেন্নাই ৮ উইকেটে ১৪৬ রানে আটকে যায়।⛎ এই মাঠে রান তাড়া করতে নেমে আগে কখনও এত বেশি রানে ম্যাচ হারেনি সুপার কিংস।
আরও পড়ুন:- ডেভিড ওয়ার্নার থেকে সিকন্দর রাজা, IPL নিলামে অবꦗিক্রিত ক্রিকেটারদের 💮ভিড় PSL 2025-এ
৩. চিপকে প্রথমে ব্যাট করে চেন্নাই সব থেকে বড় ব্যবধানে হারের মুখ দেখে এবছরেই। শুক্রবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে ৫৯ বল বাকি থাকতে ম্যাচ হারে সিএসকে। শুরুতে ব্যাট করে চেন্নাই ২০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ১০৩ রান তোলে। পালটা ব্যাট করতে নেমে কেকেআর ১০.১ ওভারে ২ উইকেটের বিনিময়ে ১০৭ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। এই মাঠে শুরুতে ব্🌌যাট কর🦹ে আগে কখনও এত বেশি বল বাকি থাকতে ম্যাচ হারেনি সিএসকে।
৪. চিপকে দীর্ঘ ১৭ বছর পরে আরসিবির কাছে এবং দীর্ঘ ১৫ বছর পরে দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে পরাজিত হয় সিএসকে। চেন্নাই ঘরের মাঠে ২০০৮ সালের 𝓰পর থেকে এবারই প্রথম বেঙ্গালুরুর কাছে পরাজিত হয়। এই মাঠে ২০১০ সালের পর থেকে এবারই প্রথম দিল্লির কাছে মাথা নত করেন ধোনিরা।