২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি ভারত-অস্ট্রেলিয়া। আর শেষ চারের ম্যাচ খেলতে নামার আগেই অজিরা তেতে। তাদের অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ তো ইঙ্গিত দিয়েছেন, তারা ২০২৩ ওডিআই বিশ্বকাপের ফাইনালের স্মৃতি ফেরাতে চান মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুবাইয়ে।
নকআউট ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ট্র্যাভিস হেড ফের জ্বলে উঠবেন বলেও আশা প্রকাশ করেছেন স্মিথ। তিনি বলেছেন, ‘যখনই আপনি কোনও বড় ম্যাচ খেলেন, তখনই চাপ থাকে। তবে ট্র্যাভিস অতীতে অনেক ম্যাচেই ভালো পারফর্ম করেছে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে ও দুর্দান্ত ফর্মে ছিল।’ সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন, ‘আমি নিশ্চিত, যেভাবে আগ্রাসন নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে খেলছে, সেভাবেই ও এখান🐻ে এসে খেলতে চাইবে। আশা করছি, পাওয়ার প্লে-তে ও ভালো পারফর্ম করবে।’
আরও পড়ুন: কোহলি জিরো, বাবরের তুলনায় কিছুই নয়… নাকে ঝামা ঘষে যাওয়ার পরেও হাস্য꧋কর দাবি পাক প্রাক্তনীর
২০২৩ বিশ্বকাপ ফাইন🧸ালে ট্র্যাভিস হেড একা দায়িত্ব নিয়ে ১২০ বলে ১৩৭ রান করে অস্ট্রেলিয়াকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দিয়েছিলেন। তিনি যখন আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যাচ্ছিলেন, তখন ভারতের হাত থেকে ম্যাচ বের হয়ে গিয়েছিল। সে কথাটাই সম্ভবত সেমিফাইনাল ম্যাচের আগের দিন টিম ইন্ডিয়াকে স্মরণ করিয়ে দিতে চেয়েছেন স্মিথ।
তবে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক এটা ভালো করেই জানেন, স্পিনের জালে জড়ি🅺য়ে ভারত চাইবে অজিদের বধ করতে। রবিবার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে যেমন করেছে টিম ইন্ডিয়া। এই পিচে স্পিনারদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা যে থাকবে, সে কথা মাথায় রেখেই স্মিথের দাবি, মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে তাঁর দলের ভাগ্য নির্ভর করবে ভার𝓰তীয় স্পিনারদের তাঁরা কীভাবে মোকাবেলা করবেন, তার উপর।
ভারতীয় দল চার স্♌পিনার নিয়ে খেলে নিউজিল্যান্ডের শক্তিশালী ব্যাটিং ইউনিটকে ২০৫ রানে গুটিয়ে দিয়েছে। স্মিথ তাই বলেছেন, ‘আমি মনে করি শুধু (বরুণ) চক্রবর্তী নয়, ভারতের অন্যান্য স্পিনাররাও অসাধারণ। তাই আমি মনে করি, আমরা ভারতের স্পিনারদের কীভাবে মোকাবেলা করব, তার উপর নির্ভর করবে ম্যাচের ফলাফল। এটি বেশ চ্যালেঞ্জিং হতে চলেছে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমার মনে হয় বল কিছুটা ঘুরবে এবং আমাদের তার মোকবেলা করতে হবে। আমাদের দেখতে হবে, স্পিনারদের কীভাবে সামলানো যায়। আমাদের হাতেও কিছু বিকল্প ব্যবস্থা আছে।’
স্মিথ আশা প্রকাশ করেছেন যে, তাঁর দল দুবাইয়ের অনুশীলন সেশন থেকেই ভারতের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য এখানকার পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবে। প্রসঙ্গত, ভারত তাদের সব ম্যাচই দুবাইয়ে খেলছে। স্মিথের দাবি, ‘ভারত এখানে সব ম্যাচ খেলেছে। তাই🍎 পিচ সম্পর্কে ওদের ভালো জ্ঞান আছে। এটা উপকারী কিনা জানি না। স্পষ্টতই পিচ সম্পূর্ণ ♐শুষ্ক। তবে এই পিচ সম্পর্কে আমাদেরও ধারণা আছে।’
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পরপরই দুবাইয়ের উদ্দেশ🍷ে ফ্লাইট নেয় অস্ট্রেলিয়ান দল। তবে ভারত ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে ম্যাচের পরেই সেমিফাইনালের সূচি নির্ধারণ করা হয়। স্মিথ বলেছেন, ‘হ্যাঁ, এখানে তাড়াতাড়ি পৌঁছানো আমাদের অনুশীলনের সুযোগ দিয়েছে এবং এটি আমাদের জন্য একটি আদর্শ পরিস্থিতি হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। আমার মনে হয়, আমরা যদি রবিবার রাতের (ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ) ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতাম, তাহলে সোমবার এখানে পৌঁছে অনুশীলন করার সুয💟োগ পেতাম না।’