ওড়িশার কেআইআইটি-তে নেপালি ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার লখনউয়ের এক সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের ছেলে। এই নিয়ে ভুবনেশ্বরের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার পিনাক মিশ্র সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে লখনউয়ের ইঞ্জিনিয়ার মনোজ শ্রীবাস্তবের ছেলে ওই ছাত্রকে আটক করেছে স্থানীয় পুলিশ। তিনি আরও জানান, পুলিশ নিহতের মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ এবং অন্যান্য গ্যাজেট বাজেয়াপ্ত করেছে এবং তদন্ত চালাচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি নির্যাতিতাকে চিনত। গোপনে তাঁর বেশ কয়েকটি ছবি তুলেছিল সেই ছাত্র। এর জেরে দু'জনের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। পুলিশ কমিশনার এস দেব দত্ত সিং বলেন, অভিযুক্ত নির্যাতিতাকে ব্ল্যাকমেল করত। (আরও পড়ুন: 🃏'টাকা পাঠিয়েছি, ঢুকে যাবে...', রাজ্য সরকারি কর্মীদের অ্যাকাউন্টে বড় গোলমাল!)
আরও পড়ুন: 🍰ডাকাতির গল্প ফেল, স্ত্রী খুনে গ্রেফতার AAP নেতা ও তাঁর গার্লফ্রেন্ড সহ ৬
এদিকে এই ঘটনায় নিহত ছাত্রীর বাবা সংবাদসংস্থা এএনআইকে বলেছেন, 'আমরা শুধু জানি তদন্ত হচ্ছে। শিগগিরই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসবে। আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে যে তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছিল এবং মানসিকভাবে ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছিল। এর জেরেই সে আত্মহত্যা করেছে। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা কিছু না বললেও পুলিশ ও কলেজ প্রশাসন সহযোগিতা করছে। তার ভাইও এখানে পড়াশুনা করছে, এবং সে ঘটনার আগের দিন আমাদের জানায়। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, এবং আমি মনে করি সে এই সবের পিছনে আছে। তাঁর ফোন, ল্যাপটপ এবং ডায়েরি ফরেনসিক বিভাগে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ প্রশাসন ও সরকার আমাদের সাহায্য করছে। শুনেছি শিক্ষার্থীদের চলে যেতে বলা হচ্ছে, এটা ঠিক নয়। আমরা ন্যায়বিচার চাই, অন্য কিছু নয়।' (আরও পড়ুন: ♌মলমূত্রে থাকা জীবাণুর মাত্রা বেশি মহাকুম্ভের গঙ্গায়, দাবি কেন্দ্রের রিপোর্টে)
আরও পড়ুন: ꦰকাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা রদ থেকে রাম জন্মভূমি ট্রাস্ট গঠনে ভূমিকা ছিল CEC জ্ঞানেশের
এদিকে নেপালের ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনার রেশ কূটনৈতিক স্তরে পৌঁছে যায়। এই আবহে সোমবার নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি জানান, ওড়িশার ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে নেপালের যে পড়ুয়ারা আছেন, তাঁদের সাহায্যের জন্যে নয়াদিল্লির দূতাবাস থেকে দু'জনকে পাঠানো হচ্ছে। সেখানে বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য কার অভিযোগ ওঠে দুই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। তারইমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে অবিলম্বে নেপালের পড়ুয়াদের হস্টেল খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিকে সেই সব ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। এর জেরে ক্ষমা চেয়েছে কেআইআইটি কর্তৃপক্ষ। সাসপেন্ড করা হয়েছে ৪ কর্মীকে। চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে ২ জনকে। (আরও পড়ুন: ꦬ'ঝগড়ায় কিছু হবে না', তেজস নিয়ে বায়ুসেনা প্রধানের সমালোচনার 'জবাব' HAL প্রধানের)
আরও পড়ুন: ওমার্কিন মুলুকের অবৈধবাসী ভারতীয়দের গ্রহণ করতে চলেছে এই মধ্য আমেরিকার দেশ!
ℱউল্লেখ্য, রবিবার দুপুর-বিকেলের দিকে ওড়িশার ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি ইউনিভার্সিটির হস্টেল রুম থেকে ২০ বছরের কম্পিউটার সায়েন্সের এক ছাত্রীর দেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ আধিকারিকরা জানান, ছাত্রীর পরিবারের এক সদস্যের অভিযোগের ভিত্তিতে সহপাঠী আদ্বিক শ্রীবাস্তবকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই ঘটনার জেরে সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর উত্তাল হয়ে ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের গেট আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন পড়ুয়ারা। তাঁরা দাবি করেন, মাসখানেক আগেই তরুণী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে কোনও ভ্রূক্ষেপ করা হয়নি। করা হয়নি কোনও পদক্ষেপ।