🔯 চিকিৎসকদের সম্মেলনে গিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডাক্তারদের বেতন বৃদ্ধি করে দিয়েছেন। যা নিয়ে চিকিৎসকদের মধ্যে খুশির হাওয়া বইতে শুরু করেছে। এই বেতন বৃদ্ধির ফলে চিকিৎসকদের ক্ষোভ প্রশমিত হয়ে যাবে। তাঁরা আন্দোলনে যাবেন না। এটা আসলে তাঁদের ঘুষ দেওয়া হয়েছে বলে বেলাগাম মন্তব্য করলেন বিজেপির নেতা দিলীপ ঘোষ। আর এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। এই বেতন বৃদ্ধির প্রভাব যে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পড়বে সেটা ভালরকম বুঝতে পেরেছেন দিলীপ ঘোষ। তার প্রেক্ষিতেই এমন মন্তব্য বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই মন্তব্য বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
🌃এদিকে ইন্টার্নরা বেতন বৃদ্ধির পরে পাবেন ৪২ হাজার টাকা, হাউসস্টাফরা পাবেন ৫৯ হাজার টাকা, পিজিটি প্রায় ৬৫ হাজার টাকা পাবেন, ডিএনবি পাবে মাসিক ৬৭ হাজার টাকা বেতন, পিডিটি যাঁরা তাঁরা পাবেন প্রায় ৭৬ হাজার টাকা, এসআর (নন–বন্ডেড) যাঁরা তাঁরা পাবেন ৮৪ হাজার টাকা, এসআর (বন্ডেড) যাঁরা তাঁরা মাসিক বেতন পাবেন প্রায় ৯০ হাজার টাকা। তবে সুপার স্পেশালিটি এসআর যাঁরা তাঁরা পাবেন ১ লক্ষ টাকা। এগুলি মাসিক বেতন বেড়ে হয়েছে। এটা নিয়েই এবার বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু করতে পারেন না মানুষদের ঘুষ দেওয়া ছাড়া। তিনি ভাবেন তাঁর রাজনীতিতে ডাক্তারদের বেতন বাড়িয়ে দিলে ডাক্তাররা চুপ হয়ে থাকবে। আন্দোলন না করার জন্য ডাক্তারদের ঘুষ দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: নার্সিং কোচিং সেন্টারে যুবতীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, পরকীয়ার জেরে কি খুন? তদন্তে পুলিশ
অন্যদিকে এই বেতন বৃদ্ধির পর চিকিৎসকরা নিজেরাই জানিয়েছিলেন, এটা তাঁদের প্রাপ্য হয়। কম বেতনে কাজ করতেন। সেটা বাড়ানো হয়েছে। তাতে তাঁরা খুশি। এটার সঙ্গে আন্দোলনের কোনও যোগ নেই। সেখানে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য সরাসরি বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি ডাক্তাররা ঘুষখোর? মুখ্যমন্ত্রী কি ডাক্তারদের ঘুষ দিলেন? আজ, মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরায় চা চক্রে যোগ দিয়ে এমনই কথা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বললেন রাজ্য বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তাঁর বক্তব্য,ꦆ ‘মুখ্যমন্ত্রী ভাবেন, ডাক্তারদের বেতন বাড়িয়ে দিলে ডাক্তাররা চুপ হয়ে থাকবে। কিন্তু আমার মনে হয় ডাক্তাররা চুপ হয়ে থাকবেন না। বাংলার দশ কোটি লোক চিকিৎসকদের দিকে তাকিয়ে আছেন। আন্দোলন চলবে এবং ইনকোয়ারি চালানোর দরকার।’
এছাড়া পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে পরে অবশ্য এভাবেই ডাক্তারদের উসকানি দিয়েছেন তিনি। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার পর যেভাবে বিষয়টিকে ট্যাকেল করা হল তাতে বিজেপি বেশ বেকায়দায় পড়েছে। তারা ভেবেছিল এই ইস্যু জিইয়ে রাখবেন। কদিন আগে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন, ২০২৬ সালের নির্বাচনে বাংলায় বিরোধী দলের মর্যাদাও থাকবে না বিজেপির। তৃণমূল একাই আড়াইশোর বেশি আসন পাবে। এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষের কথায়,🔥 ‘দিল্লিতে এরকম ফল হবে এটা কি কেউ আগে থেকে জানত? তৃণমূল স্বপ্ন দেখুক। জনতা যা করার করে দেবে।’