আইপিএলে𒁃 দুর্ধর্ষ ইনিংস খেলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে দিল্লি ক্যাপিটালসকে জিতিয়েছেন লোকেশ রাহুল। নিজের মাঠ এটা তাঁর, কর্ণাটকেরই ছেলে তিনি। ফলে ঘরের মাঠে এই ম্যাচের আগে তিনি নিজেকে তৈরি করেছিলেন আলাদাভাবেই। আর পুরনো দলের বিরুদ্ধে ম্যাচ ছিল। ম্যাচ শেষে দলকে জিতিয়ে রাহুল কিন্তু বলে দিলেন, এই মাঠকে তিনিই সবার থেকে ভালো চেনেন। এমন কি বিরাটের থেকেও? সেই প্রশ্নের উত্তরটা অবশ্য উহ্য থাকল।
আগ্রাসী সেলিব্রেশনে রাহুল বোঝালেন তিনিই সেরা
ম্যাচ শেষের পর তাঁর সেলিব্রেশনꩲটাই বলে দিচ্ছিল ভিতরে ভিতরে ঠিক কতটা আগুন জ্বলছিল তাঁর। ৫৩ বলে ৯৩ রান করে দলকে জেতালেন। নিজের সংযমি ইনিংসে মারলেন ছয়টি ছয় এবং সাতটি চার। একদা মহেন্দ্র সিং ধোনি যা করতেন, এদিন ব্যাট হাতে রাহুলও তাই করলেন। যখন তিনি মাঠে এসেছিলেন দিল্লির অবস্থা ভালো ছিল না। শুরুতেই তিন উইকেট খুইয়েছিল তাঁরা। কম রানের টার্গেট হলেও মনে হচ্ছিল ম্যাচ হাতছাড়া হবে। কিন্তু রাহুলই ম্যাচ জেতালেন ধৈর্য্য ধরে, বোঝালেন দিল্লি তাঁকে নিয়ে কোনও ভুল করেনি। আর আরসিবি তাঁকে না নিয়ে ভুলই করেছে।
পন্তের থেকে অনেক এগিয়ে রাহুল
ম্যাচ শেষের পর মাটিতে ব্যাট ঠুকে সেলিব্রেট করলেন লোকেশ রাহুলꩵ। বুঝিয়ে দিলেন, এমনি এমনি তিনি ভারতীয় দলে জায়গা পাননি। তাঁকে যে দল গতবার অনেক বঞ্চনা অপমান করেছিল, সেই দলের অধিনায়কের কিন্তু মোট পাঁচ ম্যাচে রান ১৯। আর লোকেশ রাহুলের তিন ম্যাচ শেষে স্রেফ ব্যাটিং গড়ই ৯২, আর মোট রান ১৮৫। এই পরিসংখ্যানই যথেষ্ট তাঁর পারফরমেন্স বোঝার জন্য।
রাহুল বললেন এটা আমার মাঠ
ম্যাচ শেষে লোকেশ রাহুল♏ বললেন, ‘ উইকেটটা একটু ট্রিকি ছিল। আমার যেটা সুবিধা হয়েছে, সেটা হল উইকেটের পিছন থেকে ২০ ওভার খেলা দেখেছি। ফলে আমি পিছন থেকে দেখছিলাম উইকেটে বলের গতি বা দিক কেমন পরিবর্তন হচ্ছে, কতটা সুইং হচ্ছে। বল একটু থেমে থেমে গেলেও ধারাবাহিকভাবেই বল ব্যাটে আসছিল। এটা টু পেসড উইকেট ছিল না, ওয়ান পেসড ছিল। আমি আমার শটগুলো জানি, আমি চেয়েছিলাম ভালো শুরু করতে। এরপর খেলাটা ধরতে। আমি যখনই ছয় মারতে চাইছিলাম, কোথা থেকে মারব সেটা দেখে নিচ্ছিলাম। উইকেটকিপিং করায় আমি বুঝে গেছিলাম ব্যাটাররা কীভাবে খেলেছে আর কোন ধরণের শটে আউট হয়েছে। আমার ক্যাচটা মিস হয়েছে ভাগ্য ভালো ছিল। এটা আমার মাঠ, আমার ঘর এটা। আমি এই মাঠকে অন্য সবার থেকেই বেশি ভালো চিনি। এখানে খেলতে আমার খুবই ভালো লেগেছে। ’