𒊎 কীভাবে ১০ দিনে নির্বাচনে হারতে হয়? দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের সময় সেই ভিডিয়ো করেন ইউটিউবার। সেজন্য নিজেও ভোটে দাঁড়ান। কীভাবে ভোটের প্রচার চালিয়েছেন, কীভাবে জনসংযোগ করেছেন, সেইসব তুলে ধরেন। পুরোটা একেবারে ভিডিয়ো করে ব্লগের মতো ইউটিউবে পোস্ট করেন। আর সেই ইউটিউবার 'মেঘনার্ড' নির্বাচনে পেলেন ১৯২ ভোট। মালবিয়া নগর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তিনি ভোটে দাঁড়ান। ‘পেন’ চিহ্নে ভোটে লড়ে ১৯২ ভোট পান। যা নোটার থেকেও কম। নোটার পক্ষে ভোট পড়েছে ৫৩২। বিজেপির জয়ী প্রার্থী সতীশ উপাধ্যায় পেয়েছেন ৩৯,৫৬৪ ভোট। আম আদমি পার্টির (আপ) প্রার্থী সোমনাথ ভারতীর প্রাপ্ত ভোট হল ৩৭,৪৩৩।
‘নোটার বিরুদ্ধে লড়াই করছি’
♍তবে তিনি যে ভোটে বিশেষ সুবিধা করতে পারবেন না, সেটা ভালোভাবেই জানতেন ইউটিউবার। তারপরও মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলির গণ্ডির বাইরে বেরিয়ে বিকল্প তুলে ধরার জন্যই ভোটে দাঁড়িয়েছেন বলে জানান 'মেঘনার্ড'। আর ভিডিয়োর মাধ্যমে সেই পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়াটা তুলে ধরেন। কীভাবে নির্বাচনী প্রচারের প্রতিটি পদক্ষেপের জন্য অনুমতি চাইতে হয়, কীভাবে মিছিল করতে হয়, তার খুঁটিনাটি তুলে ধরেন ইউটিউবার।
ཧ পোস্টার ছাপিয়ে যখন প্রচার করতে যাচ্ছিলেন, তখন আবার মালবিয়া নগরের ভোটারদের বলছিলেন যে ‘নোটার বিরুদ্ধে লড়াই করছি।’ এমনকী হোয়্যাটস অ্যাপে মালবিয়া নগরের স্থানীয় যে সব গ্রুপ আছে, তাতে ছোট-ছোট মজাদার ভিডিয়ো বা রিল পোস্ট করেন। কোনওটাই ব্যাখ্যা করছিলেন যে কেন নোটার থেকে ভালো তিনি। প্রচারের অংশ হিসেবে একটা মজাদার গানও প্রকাশ করেন। ‘Dilli Ka Normie Neta’ (দিল্লি কা নর্মি নেতা) নামে সেই গানটা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
এত ভোট পেয়েছি! হতবাক ইউটিউবার
🍌তবে সেইসব ভিডিয়োয় যে ‘ভিউ’ এসেছে, তার থেকে কম ভোট পেয়েছেন ইউটিউবার। এমনকী ভোটগণনা পর্বের সময় সেই বিষয়টি নিয়ে মজাও করেন। শনিবার দুপুরের দিকে তিনি বলেন, '১৪১টি ভোট পেয়েছি। এখনও চারটি রাউন্ডের গণনা বাকি আছে। আমি ভাবছিলাম যে সাতটা ভোট পাব।' তাতে আবার এক নেটিজেন বলেন যে ইউটিউবারের থেকে নোটার ঝুলিতে বেশি ভোট আছে। তা নিয়ে ওই ইউটিউবার বলেন, ‘আমি জানি ভাই। সেজন্য আমার মনটা খারাপ হয়ে গেল। আগামীদিনে আমাদের মেগা নোটা-বিরোধী প্রচার-পর্ব চালাতে হবে।’