💯 অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কেলগ কলেজের বক্তব্য পর্ব শেষ। এবার দেশে ফেরার পালা। তবে এবার লন্ডন সফরে সুর কেটেছে 𒈔অক্সফোর্ডের ওই কলেজেই। সেখানে বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন কয়েকজন। এনিয়ে নানা তরজা চলছে।
তবে এবার মুখ্য়মন্ত্রীর ঘরে ফেরার পালা। এক্স হ্যান্ডেলে মমতা লিখেছেন তাঁ♛র লন্ডন সফরের কথা। তাঁর ছোটবেলার কথা। তাঁর লড়াই, সংগ্রামের জীবনের কথা।
মমতা লিখেছেন,
'বিশ্বের আঙিনায় প্রগতির ধ্বনি
নবজাগরণের সুরে বাজে আগমনী
উন্নয়নের আলো মেঘে ঢাকবে না
মাতঙ্গিনীর বাংলা কভু হারবে না
এরপর তিনি লিখেছেন, ছোটবেলায় যেদিন বাবা🎀কে হারিয়েছিলাম তখনই সংগ্রামের জীবন শুরু হয়েছিল। ছাত্র নেতা হিসাবে লড়াই বিরোধী হিসাবে লড়াই, আর এখন জনগণের সরকারের প্রধান হিসাবে। আমি কখনও লড়াইয়ের রাস্তা থেকে সরে আসিনি। কখনও সরে আসব না। তবে বাংলার সাফল্যকে ছোট করতে দেব না, আমাদের উন্নয়নের নেপথ্যে যে আত্মত্যাগ আছে সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেব না।
এটা♕ একটা ব্যক্তিগত গর্বের ব্যাপার যে গবেষক, শিক্ষাবিদদের দেখা, …অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে দাঁড়িয়ে বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় সেখানে বাংলার উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের কথা তুলে ধরতে পেরেছি এটা একটা ভালো অভিজ্ঞতা, মনে থাকবে চিরদিন…'
এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সেই পোস্টে একটা ভিডিয়োকে তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে বাংলার মুখ্য়মন্ত্রীকে ঘিরে সেখানে উৎসাহ। অনেকেই সেলফি ℱতুলতে চাইছেন।
অনেকেই লিখেছেন বাংলার দিদি অক্সফোর্ডে। আমরা গর্বিত।
তবে বিদেশের মাটিতে যেখানে আমন্ত্রিত হয়ে গিয়েছেন মমতা সেখানে তাঁর সামনে বিক্ষ💝োভ দেখানো কতটা যুক্তিসংগত হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। তবে একাধিক বিরোধী নেতৃত্বও এভাবে বিদেশের মাটিতে বিক্ষোভকে বিশেষ ভালো চোখে দেখেননি।
বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী হিসাবে তিনি আমন্ত্রিত ছিলেন। সেখানে এভাবে তাঁকে প্রশ্নের মুখে ফেলা কতটা যুক্তিসংগত? তবে মমতার পোস্ট করা ভিডিয়োতেই দেখা গিয়েছে, পিছিꦏয়ে যাননি নেত্রী। রাগ করে বেরিয়েও যাননি। অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় তিনি বিষয়টিকে মোকাবিলা করেছেন। বলেছেন মিষ্টꦡি দেওয়ার কথা। সেই সঙ্গেই তিনি বলেছেন রয়াল বেঙ্গল টাইগারের কথা।
অনেকের কাছে তিনি বাংলার বাঘিনী। সেই মমতা কেলগ কলেজে পরিকল্পিত বিক্ষোভের মুখে পড়েও সরে যাননি। তাঁর উপর অতীতে কী ধরনের অত্যাচার হয়েছিল সেকথা বোঝানোর জন্য অতীতের ছবিও তুলে ধরেন তিনি। তবে কি বিক্ষোভ হতে পারে এটা আঁচ করে তিনিও প্রস্তুতি নিয়ে গিয়েছিলেন? তবে আজীবন লড়ে যাওয়া নেত্রীর লড়াইয়ের কথা স্বীকার করেন তাঁর ঘোর🎐তর বিরোধীরাও।