একাধারে তিনি মডেল, অন্যদিকে কমেডিয়ান। নাম কার্লি ইলেকট্রিক (৩০)। পদবী শুনে 🦂অদ্ভুত মনে হচ্ছে তো? কার্লি অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের বাসিন্দা। অল্প বয়স থেকেই তাঁর একটি অদ্ভুত নেশা ছিল। ঝড়ের ছবি তোলার।এমনকি বজ্রপাতের ৩টি ট্যাটুও করিয়ে ছিলেন নিজের শরীরে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তিনি ছুটে বেড়াতেন ঝড়ের ছবি তুলতে। আর এই কাজ করতে করতেই ঘটে যায় এমন এক ঘটনা যা চিরতরে পাল্টে দেয় তরুণীর জীবন।
আরও পড়ুন-Mumbai:ফ্লাইট মিস! যাত্রীদের ৭,৫০০ টাকা ক্ষতিপূꦯরণ দেবে উবের
২০২৩ সালে ঝড়ের ছবি তুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন কার্লি। যেখানে দাঁড়িয়ে তিনি ছবি তুলছিলেন তাঁর অদূরেই বাজ পড়ে। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে দেখা যায়, পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন তিনি। বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলে ‘কেরাউনোপ্যারালাইসিস’। কখনও কখনও কেউ মাটিতে দাঁড়িয়ে থাকার সমযꦿ় যদি আশপাশে বাজ পড়ে তবে বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান পরিবাহী হিসাবে কাজ করতে পারে। এবং অল্প মাত্রার স্থির তড়িৎ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির শরীরে প্রꦦবেশ করতে পারে। তবে বিজ্ঞানের ভাষায় ‘অল্প মাত্রা’ বলা হলেও মানবদেহের জন্য তা মারাত্মক হয়। এই অবস্থায় সেই তড়িৎ আক্রান্ত ব্যক্তির স্নায়ুতন্ত্রকে আঘাত করে। একেই বলে ‘কেরাউনোপ্যারালাইসিস’। চিকিৎসকেরা জানান, এমন ঘটনা দশ লাখে একবার দেখা দেখা যায়। যেখানে এত কাছে বজ্রপাত হওয়ার পরেও প্রাণে বেঁচে যান কার্লি।
আরও পড়ুন-Mumbai:ফ্লাইট মিস! যা༺ত্রীদের ৭,৫০🅷০ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে উবের
কিন্তু অবাক করা বিষয়, মিনিট কুড়ি পরেই জ্ঞান ফিরে আসে কার্লির। কী ঘটেছিল সেটা যদিও তিনি মনে করতে পারেননি। নয় ঘণ্টা পক্ষাঘাতগ্রস্ত ছিল তাঁর গোটা শরীর। হাত পায়ের রং নীল হয়ে গিয়েছিল। চিকিৎসকরাও ভাবতে পারেননি যে প্রাণে বেঁচে যাবেন ওই তরুণী। তাই স্বাভাবিক জীবনে ফেরা💮র পর নিজের পদবী বদলে নিয়েছেন তিনি। তবে শুধু পদবী নয়। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার পর বদলে গিয়েছে আরও একটি অঙ্গের রং। কার্লি জানিয়েছেন, তাঁর চোখের মণির রং পাল্টে গিয়েছে। আগে তাঁর চোখের মণির রং ছিল হলদেটে। এখন হয়ে গিয়েছে গাঢ় বাদামি।তবে এই ঘটনা প্রথম নয়। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামার এক কিশোরী দাবি করেছিল যে তড়িদাহতর পর তার দৃষ্টিশক্তি উন্নত হয়েছে। কারণ তার আর চশমা এবং লেন্ꦡসের প্রয়োজন হয় না।