আবার ধর্ষণ করে খুন🎶ের অভিযোগ উঠল বাংলায়। এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। আর সেই দেহ গলার নলিকাটা অবস্থায় উদ্ধার হওয়ায় তুমুল আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। আজ, শনিবার সকালে উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলা থানা এলাকার সুধানী নদীর পাড়ে ওই গৃহবধূর গলার নলিকাটা দেহ উদ্ধার হয়েছে। শুক্রবার দুপুর থেকে ওই বধূ নিখোঁজ ছিলেন বলে খবর। কে বা কারা এই ঘটনার পিছনে জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই গৃহবধূ করণদিঘি রানিগঞ্জ পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা। এলাকার সকলের সঙ্গেই তাঁর সুসম্পর্ক ছিল। কিন্তু শুক্রবা🐎র দুপুর থেকে তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। সামনেই একটি মাঠে আছে। সেখানেই ঘাস কাটতে বাড়ি থেকে যান ওই বধূ। কিন্তু বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে হয়ে গেলেও বাড়ি ফিরে আসেননি ওই গৃহবধূ। এই আবহে চারদিক খোঁজাখুঁজির পর ডালখোলা থানায় নিখোঁজের অভিযোগ জানায় পরিবার। আর আজ শনিবার সকালে বাড়ি থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে ওই বধূর গলাকাটা দেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: ‘মাথায় গুলিটা যদি ঠিকঠাক করত....’, প্রেসিডেন্সির ছাত্রীর পোস্টে থানায় গেল তৃণমূল
পরিবার সূত্রে খবর, মৃত গৃহবধূর এক সন্তান আছে। স্বামীর সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। বিবাহবিচ্ছেদ করে প্রায় আড়াই বছর ছেলেকে নিয়ে মা ও ভাইয়ের সঙ্গে রানিগঞ্জ পঞ্চায়েত এলাকায় বসবাস করছিলেন। সেখানে সুখে ছিলেন সকলে মিলে। কিন্তু হঠাৎ পরিবারের উপর বিপর্যয় নেমে এল। ওই বধূর ভাইয়ের অভিযোগ, দিদিকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। আর তারপর সুধানী নদীর পাড়ে ফেলে পালিয়ে গিয়েছে অভিযুক্ত। এই ঘটনার উপযুক🔴্ত তদন্ত চাই।
এছাড়া আজ শনিবার সকালে সুধানী নদীর পাড়ে ক্ষতবিক্ষত বধূর দেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অর্ধনগ্ন অবস্থায় দেহ পড়ে থাকতে দেখে ধর্ষণের অনুমান করা হচ্ছে। তবে শরীরে বেশ কয়েকটি দাগ ছিল। যা খুনের সাক্ষ্য বহন করে। এই ঘটনা নিয়েই এখন তেতে উঠেছেন গ্রামবাসীরা। পুলিশ বধূর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। তদন𒁏্তকারীদের প্রাথমিক অনুমানไ, গৃহবধূকে শ্বাসরোধের পর গলার নলি কাটা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট এলেই বোঝা যাবে। ধর্ষণ করে খুন কিনা তখন স্পষ্ট হবে। এখন এই বিষয়ে পুলিশকিছু বলতে নারাজ।