নেতাজি ইন্ডোরে মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপা💟ধ্য়ায়ের সভা। তার আগে একেবারে হুড়োহুড়ি অবস্থা। চাকরিহারাদের একাংশের দাবি, পাসও বিক্রি হয়েছে। একে একে ঢুকছেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। মুখ্যমন্ত্রী কী বলেন সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে💖ন তারা। আর সেই সময় একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ করেন শিক্ষকরা।
তমলুকের বাসিন্দা এক চাকরিহারা শিক্ষক বলেন, যোগ্যরা তাদের সুবিচার পেল না। আপনার ব্যর্থতার জন্য আপনার অযোগ্যতার জন্য এই পরিস্থিতি তৈরি হল। আপনি যোগ্য ও অযোগ্য়দের তালিকা প্রকাশ করতে পারেননি সেকারণে যোগ্যরা রাস্তায়। আজকেই শেষ। এই রকম শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করব না। এরপর থেকে বিদ্র🦩োহ হবে। আন্দোলন নয়, বিদ্রোহ হবে। যেরকম কৃষক বিদ্রোহ হয়েছিল, নীল বিদ্রোহ হয়েছিল তেমন শিক্ষক বিদ্রোহ হবে। এর 𓂃পর থেকে শিক্ষক বিদ্রোহ হবে। আন্দোলন নয়, সব জায়গায় আগুন জ্বলবে। ভয়াবহ হুঁশিয়ারি চাকরিহারা শিক্ষকদের।
তবে মুখ্য়মন্ত্রীর আশ্বাস, ‘আপনাদের শোকে আমরা পাথর। আমরা হৃদয়হীন নই। দায় ঝেড়ে ফেলতে পারি না। মধ্যপ্রদেশে ব্যাপম কেলেঙ্কারি, পরে নিটেও তো দুর্নীতি হয়েছিল। তাতে তো কারও চাকরি যায়নি। বাংলার বেলাতেই শুধু চক্রান্ত? শিক্ষা ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলার চক্রান্ত করা হচ্ছে। আমি বেঁচে থাকতে যোগ্যদের চাকরি কেড়ে নিতে দেব না। সুপ্রিম কোর্ট🧜কে বলতে চাই, চাকরি দিতে না পারল🎃ে কেড়ে নেবেন না। শিক্ষাব্যবস্থাকে বাঁচাতে শিক্ষকদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক।’
তবে মুখ্যমন্ত্রী একথা বললেও একেবারে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে শিক্ষকদের। একেবারে দিশেহারা অবস্থা। কী করবেন বুঝতে পারছেন না তাঁরা। মমতার সভায় যাওয়ার আগে এক চাকরিহারা শিক্ষক বলেন, যোগ্য-অযোগ্য মেশানোর ফলে সꦉুপ্রিম কোর্ট আমাদের তালিকা বাতিল করল। আমাদের বাড়িতে বউ বাচ্চা আছে। খাব কী! আমাদের উপর লোনের বোঝা আছে। আপার প্রাইমারিতে চাকরি পেয়েছিলাম, কিন্তু যাইনি। আমার বন্ধু বান্ধবরা সেখানে রয়েছেন। আমি একটা চাকরি ছেড়ে এখানে এসেছি। আমরা এখন কী করব! আমাদের এখন সংসারে হয়েছে।
অপর এক চাকরিহারা শিক্ষক বলে🐼ন, ক্লাসের একজন দুষ্টুমি করেছিল। আর গোটা ক্লাসকে শাস্তি দেওয়া হল!
কার্যত এক চরম অনিশ্চয়তা গ্রাস করেছে গোটা শিক্ষক সমাজকে। মুখ্য়মন্ত্রী কিছু আশ্বাস দিয়েছেন। প্ল্যান এবিসিডিই-র কথাও বলেছেন। তবে ক꧅িছুতেই আশ্বস্ত হতে পারছেন না চাকরিহারা শিক্ষকরা।
মুখ্য়মন্ত্রী কী জানালেন?
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চাকরি বিক্রি হয়েছে, চাকরি চুরি হয়েছে আমি জানিই না। তাও আমাকে খারাপ কথা শুনতে হচ্ছে। কাজ করতে গেলে একটা দুটো ভুল হয়েই যায়। মধ্যপ্রদেশের ব্যাপম কেলেঙ্কারির কথা মনে আছে? নিটেও তো কেলেঙ্কারি হ𒉰য়েছে। কিন্তু কারও চাকরি যায়নি। শুধু বাংলায় কিছু হলেই চক্রান্ত? বাংলার শিক্ষাব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলার চক্রান্ত চলছে। এই রায়ের পিছনে অন্য কোনও খেলা নেই তো?’