ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় মহম্মদ রিজওয়ানদের কুꦫঁকড়ে থাকা মানসিকꦚতার খোলাখুলি সমালোচনা করেন সুনীল গাভাসকর। অতীতের পাকিস্তান দল যে রকম আগ্রাসী ক্রিকেট খেলত, রিজওয়ানের নেতৃত্বাধীন বর্তমান পাকিস্তান দল তার ধারেকাছেও আসে না বলে মত প্রকাশ করেন সানি।
এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি♌ থেকে পাকিস্তানের ছিকটে যাওয়া নিশ্চিত হওয়ার পরে রিজওয়ানদের চরম কটাক্ষ কর📖লেন গাভাসকর। তাঁর দাবি, ভারতের বি-টিমকে হারানোও মুশকিল হবে পাকিস্তানের এই দলটার পক্ষে।
স্পোর্টস টুডেকে গাভাসকর বলেন, ‘আমি মনে করি (ভারতের) বি-টিমকে ন🅰িশ্চিতভাবেই হারানো কঠিন হবে এই দলটার পক্ষে। সি-টিমকে নিয়ে ততটা নিশ্চিত নই, তবে পাকিস্তানের বর্তমান ফর্মের দিকে তাকালে বি-টিমের সঙ্গে টক্কর দেওয়া সহজ হবে না।’
এবছর আইসিসি চ্যাম্পিয়🅘ন্স ট্রফির আয়োজক দল হওয়ায় পাকিস্তানকে নিয়ে আশায় বুক বাঁধে সমর্থকরা। ঘরের মাঠে ক্রিকেট খেললে প্রথম সারির দেশগুলি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার বিষয়ে ফেভারিট বিবেচিত হয়। তবে এবছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু হয় ১৯ ফেব্রুয়ারি। ২৩ ফেব্রুয়ারি কার্যত টুর্নামেন্ট থেকে পাকিস্তানের বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায়। সিলমোহর পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি। মেরেকেটে ৫ দিন টুর্নামেন্টে আশা জিইয়ে ছিল পাকিস্তানে🍃র।
পাকিস্তান টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে ৬০ রানের বড় ব্য়বধানে পরাজিত হয় নিউজিল্যান্ডের কাছে। কিউয়িদের ঝুলিয়ে দেওয়া ৩২১ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে পাকিস্তান তাদের ইনিংস শেষ করে ২৬০ রানে। দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের কাছেও কার্যত 💎আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তান। রিজওয়ানদের ঝুলিয়ে দেওয়া ২৪২ রানের টার্গেটে অনায়াসে পৌঁছে যায় টিম ইন্ডিয়া। দু'টি ম্যাচেই প্রতিপক্ষ শিবিরে পালটা লড়াই ফিরিয়ে দিতে পারেনি পাকিস্তান।
সব দেখে শুনে গা🅺ভাসকর বলেন, ‘রিজ꧒ওয়ান ক্রিজে এসে প্রথম বলেই চার মারে। তৎক্ষণাৎ আমার মনে হয় যে, পাকিস্তান হয়ত মনোভাব বদলেছে। কেননা তখনও পর্যন্ত শুধু চারপাশে ঠুক ঠুকে নকিং চোখে পড়ছিল। তবে পরক্ষণেই বোঝা যায়, কিছুই বদলায়নি। ওরা সেটা বুঝে ওঠার আগেই ভারতের স্পিনাররা দ্রুত নিজেদের ওভার শেষ করছিল। এটা দেখে অবাক লাগছিল যে, কোনও কিছুই নিজেদের অনুকূলে টানতে পারেনি পাকিস্তান।’
পাকিস্তানের বেঞ্চ স্ট্রেনথ না থাকায় অবাক গাভাসকর
শেষে পাকিস্তানের বেঞ্চ স্ট্রেনথ নিয়েও নিজের মতামত প্꧃রকাশ করেন গাভাসকর। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের বেঞ্চ স্ট্রেনথ নেই দেখে অবাক লাগছে। পাকিস্তানে বরাবর ন্যাচারাল ট্যালেন্ট চোখে পড়ে। ন্যাচারাল এই কারণে যে, হয়তো টেকনিক্যালি সঠিক নয়, তবে এমন খেলোয়াড় দেখা যায়, যাদের ব্যাটে-বলে সহজাত একটা বোধ-বুদ্ধি থাকে। উদাহরণ হিসেবে ইনজামাম উল হককে দেখো। যদি ওর স্টান্স দেখো, নিশ্চিত কোনও উঠতি ক্রিকেটারকেই সেটা অনুসরণ করতে বলবে না। তবে ওর ধৈর্য্য অসীম। সেটা দিয়েই ও নিজের টেকনিক্যাল খামতি ঢেকে দিত। এটা হতাশার যে পাকিস্তান আর সেরকম প্রতিভার হদিশ দিতে পারেনি।’