চিন্নাস্বামীতে দিল্লির বিরুদ্ধে বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাটিং শুরু করেন দুই আরসিবি ওপেনার ফিল সল্ট ও বিরাট কোহলি। মাত্র ৩ ওভারেই দলগত ৫০ রানের গণ্ডি টপকে যায় বেঙ্গালুরু। তবে কোহলির সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে সল্ট রান-আউট হওয়ার পরেই ছবিটা বদলে যায়। পরপর উইকেট হারিয়ে কোণঠাসꦫা হয়ে পড়ে আরসিবি। বিনা উইকেটে ৬১ থেকে নিয়মিত অন্তরে উইকেট খোয়াতে থাকা আরসিবি একসময় ১২৫ রানের মাথায় ৭ উইকেট হারিয়ে বসে।
তবে শেষ বেলায় টিম ডেভিড ⛎ব্যাট চালিয়ে আরসিবিকে লড়াই করার রসদ এনে দেন। নাহলে বেঙ্গালুরু দেড়শো রানের গণ্ডি টপকাতে পারবে কিনা, সেই বিষয়ে দেখা দিয়েছিল ঘোর সংশয়। ডেভিডের ২০ বলে ৩৭ রানের মারাকুটে ইনিংসের সুবাদেই আরসিবি নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৬৩ রান সংগ্রহ করে।
হাতে পর্যাপ্ত পুঁজি না থাকলেও আরিসিবির বোলাররা শুরুতেই পালটা আঘাত হানেন দিল্লি শিবিরে। মাত্র ৫৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে প্রবল চাপꦆে পড়ে যায় ক্যাপিটালস। তব🍸ে ঠিক যে সময় দিল্লিকে আরও চেপে ধরার সুযোগ ছিল আরসিবির সামনে, সেই সুযোগ তারা হাতছাড়া করে ক্যাপ্টেন রজত পতিদারের জন্য।
ব্যক্তিগত ৫ রানের মাথায় লোকেশ জীবনদান পান রজতের হাত থেকে
দিল্লি ইনিংসের ৩.২ ওভারে যশ দয়ালের বলে ভুল শট খেলে বসেন লোকেশ রাহুল। বল উপরে উঠে যায়। রজত পতিদার ক্যাচ মিস করে রাহুলকে জীবনদান দেন। লোকেশ সেই সময় ব্যক্তিগত ৫ রানে ব্যাট করছিলেন। পড়ে পাওয়া জীবনদান পেয়ꩵে আর পিছনের দিতে তাকাননি রাহুল। তিনি ৭টি চার ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে ৫৩ বলে অপরাজিত ৯৩ রান করে দিল্লির জয় নিশ্চিত করেন। ক্যাপিটালস ৪ উইকেটে ১৬৯ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। সুতরাং বলাই যায় যে, রজত শুধু লোকেশ রাহুলের ক্যাচ ছাড়েননি, বরং ম্যাচ ফস্কে ফেলেন হাত থেকে।
নিজে গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচ ছেড়ে দলকে ম্ꩵযাচ হারালেও ক্যাপ্টেন পতিদার আঙুল তোলেন ব্যাটারদের দিকে। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে রজত জানান যে, খারাপ ব্যাটিংই দলের হারের প্রধান কারণ। অথচ এর থেকে কম রান নিয়েও আইপিএলে ম্যাচ জেতার নজির রয়েছে বিস্তর। তার উপর চিন্নাস্বামীর পিচ বৃহস্পতিবার ব্যাটারদের হাত খোলার পূর্ণ স্বধীনতা দেয়নি।
ব্যাটারদের কাঠগড়ায় তোলেন পতিদার
পতিদার বলেন, ‘আমরা আগে যে ধরণের পিচ দেখেছি, এটা তার থেকে আলাদা। আমরা ভেবেছিলাম এটা ভা🐭লো ব্যাটিং পিচ হবে। আমরা মোটেও ভালো ব্যাট করতে পারিনি। ১ উইকেটে ৮০ থেকে ৯০ রানে ৪ উইকেট কখনই মেনে নেওয়া যায় না (যদিও আরসিবি তাদের প্রথম ৪টি উইকেট হারায় যথাক্রমে দলগত ৬১, ৬৪, ৭৪ ও ৯১ রানে)। আমাদের ব্যাটিং লাইনআপ ভালো। তবে পরিবেশ-পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজেদের প🎀্রয়োগ করতে হবে।'