সানরাইজার্স হ⭕ায়দরাবাদের মতো বিধ্বংসী ব্যাটিং লাইনআপের বিরুদ্ধে ৪ ওভারে মাত্র ২৯ রান খরচ অত্যন্ত কৃতিত্বের সন্দেহ নেই। তাও আবার সেটা সানরাইজার্সের ঘরের মাঠ উপ্পলে। হায়দরাবাদের এই মাঠ বোলারদের বধ্যভূমি হিসেবে ইতিমধ্যেই আলাদা পরিচিতি তৈরি করে নিয়েছে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, শুধু কৃপণ বোলিংই নয়, বৃহস্পতিবার সেই সঙ্গে ১টি উইকেটও তুলে নেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের আনকোরা🌺 পেসার প্রিন্স যাদব। চমকে দেওয়া তথ্য হল, প্রিন্স এই 🌼ম্যাচে পুরোপুরি পরাস্ত করেন সানরাইজার্সের অজি ওপেনার ট্র্যাভিস হেডকে।
অত্যন্ত আগ্রাসী মেজাজের ট্র্যাভিস হেড ভারতের পিচে রান সংগ্রহ করতে বিশেষ পছন্দ করেন। ভারতীয় বোলারদের বিরুদ্ধে তাঁর চমকপ্রদ রেকর্ডের জন্যই⭕ গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের পথের কাঁটা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছিলেন হেড। এহেন ট্র্যাভিস উপ্পলে দারুণ ছন্দে ব্যাট করছিলেন। তিনি নিমেষে পৌঁছে ꩲযান ব্যক্তিগত অর্ধশতরানের দোরগোড়ায়। তবে প্রিন্স যাদবের একটি অবিশ্বাস্য ডেলিভারিই হেডের হিসাবে গোলমাল পাকিয়ে দেয়।
৭.ꦡ৩ ওভারে প্রিন্সের ফুল লেনথ ডেলিভারির কোনও প্রতিরোধ ছিল না হেডের সামনে। ছিটকে যায় অজি তারকার স্টাম্প। ট্র্যাভিস শেষমেশ ২৮ বলে ৪৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন। আগ্রাসী ইনিংসে তিনি ৫টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন।
কে এই প্রিন্স যাদব?
২৩ বছর বয়সী প্রিন্স যাদবের ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার খুব বেশি অভিজ্ঞতা নেই। দিল্লির এই ডানহাতি পেসার ২টি ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচ, ৬টি লিস্ট-এ ম্যাচ ও আইপিএলের আগে পর্যন্ত ৮টি টি-🐈২০ ম্যাচ খেলেছেন। ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে ১টি এবং লিস্ট-এ ও টি-২০ ক্রিকেটে ১১টি করে উইকেট নিয়ে আইপিএলের আঙিনায় প্রবেশ করেন প্রিন্স।
২০২৪-২৫ বিজয় হাজারে ট্রফির ৬টি ম্যাচে মাঠে নেমে দিল্লির হয়ে সব থেকে বেশি ১১টি উইকেট দখল করেন প্রিন্স। দিল্লির এই পেসারকে আইপিএলের মেগা নিলাম থেকে ৩০ লক্ষ টাকার বেস প্রাইসে দলে নেয় লখনউ সুপার জায়ান্টস। এই প্রথমবার আইপিএলের আঙিনায় মাথা গলিয়ে দে𓂃ন প্রিন্স।
বিশাখাপত্তনমে 🎉দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ৪ ওভারে ৪৭ রান খরচ করেও কোনও উইকেট পাননি প্রিন্স যাদব। সেই ম্যাচে দলের সবাই যথেচ্ছ রান খরচ করায় প্রিন্সের উপর আস্থা হারায়নি লখনউ শিবির। মেন্টর জাহির খানের চোখ প্রতিভা চিনতে ভুল করেনি।
অভিজ্ঞতাꦿর অভাব থাকায় হায়দরাবাদের ব্যাটিং পিচে রান খরচ করার আশঙ্কা ছিল প্রিন্সের। তবু তাঁকে মাঠে নামানোর ডাকাবুকে সিদ্ধান্ত নেয় লখনউ। শেষমেশ টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থার যথাযথ মর্যাদা রাখেন প্রিন্স যাদব। প্রতিপক্ষ শিবিরের সব থেকে ভয়ঙ্কর ব্যাটারকে সাজঘরে ফিরিয়ে লখনউয়ের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন প্রিন্স।