শেষমেশ কলকাতা পুলিশের দাবিকেই স্বীকৃতি দিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা - সিবিআ🐻ই। আরজি কর কাণ্ডে কোনও গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি বলে আগেই দাবি করেছিল কলকাতা পুলিশ। এবার সেই একই কথা বলল সিবিআই!
শুক্রবার (২৮ মার্চ, ২০২৫) কলকাতা হাইকোর্টে আরজি কর মামলার শুন🍃ানি ছিল বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে। আদালত আগের দিনের শুনানিতেই সিবিআইဣকে তাদের তদন্তের স্টেটাস রিপোর্ট পেশ করতে বলেছিল। সেইসঙ্গে, বিচারপতি ঘোষ নির্দিষ্ট কিছু প্রশ্নও করেছিলেন।
তারই ভিত্তিতে এদিন সিবিআই আদালতে তাদের তদন্তের স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেয় 🌺এবং জানিয়ে দেয় - গত বছরের অগস্ট মাসে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে কোনও গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। বস্তুত, ওই তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়াকে সেই রাতে ধর্ষণ করা হয়েছিল। এবং ধর্ষণ করেছিল ঘটনায় দোষী সাব্যꦅস্ত হওয়া সঞ্জয় রায়ই।
আদালত এরপর সিবিআই-এর কাছে জানতে চায়, কীসের ভিত্তিতে তারা বলছে খুনের আগে নির্যাতিতাকে গণধর্ষণ করা হয়নি, ধর্ষণ করা হয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তরে সিব꧟িআই-এর আইনজীবী বলেন, 'আমরা ফরেন্সিক করেছি। সকল ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞের মতামত নিয়েছি। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা নমুনার ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়েছে।'
সিবিআই-এ দাবি, এই সমস্ত বিজ্ঞানসম্মত পরীক্ষা করে ꧋ও বিশেষজ্ঞদের মতামত শুনে তারা নিশ্চিত যে আরজি করে গণধর্ষণ করা হয়ন🐭ি, ধর্ষণ করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এই যুক্তি শুনে বিচারপতি জানতে চান, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া নমুনার ডিএনএ প্রোফাইলের রিপোর্ট কী বলছ🥂ে? সেটা কি একজন ব্যক্তির উপস্থিতিকেই প্রমাণ করছে?
এর জবাবে সিবিআই জানায়, ওই ডিএনএ প্রোফাইল একজন ব্যক্তিরই (পুরুষ) এবং সেই ব্যক্তির নাম সঞ্জয় রায়। এছাড়া, ঘটনাস্থল থেকে আর কার🧔ও ডিএনএ পাওয়া যায়নি বলেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
এরপর বিচারপতি জানতে চান, সিবিআই এখন তাহলে কীসের তদন্ত করছে? এর উত্তরে সিবিআই জানায়, এই ঘটনার নেপথ্যে কোনও বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা, সেটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোথাও কোনও তথ্যপ্রমাণ লোপাট করা হয়েছে কিনা, তেমনটা হয়ে থাকলে কারা এবং কেন সেটা করেছে, সেই সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর জন্য আরজি করের চিকিৎসক, নার্স ও নিরাপত্তারক্ষীদের পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে আদালতকে সিবꦡিআই-এর পক্ষ থেকে অবগত করা হয়েছে।
এরপর উচ্চ আদালত জানতে চায়, তাহলে পুরো তদন্ত শেষ করতে তাদের আর কত সময় লাগবে। এর কোনও নির্দিষ্ট উত্তর সিবিআই দিতে পারেনি। বদলে তারা জানিয়েছে, বহু মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁদের মোবাইল টাওয়ার লোকেশন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মূলত সেই꧑ রাতে যাঁরা হাসপাতালে ছিলেন, তাঁদের সঙ্গেই কথা বলা হচ্ছে। সমস্তটা শেষ কত দিন সময় লাগবে, সেটা এখনই বলা সম্ভব নয়।
অন্যদিকে, এই মাম♔লায় পুলিশের কেস ডায়ারি আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এই মামলার পরবর্তী শুনান🦩ি হবে ২ সপ্তাহ পর।