বিজেপি-যোগের অভিযোগ উঠেছিল প্রার্থীর। সেই পরিস্থিতিতে বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী পালটে ফেলল বামফ্রন্ট। যদিও কেন প্রার্থী পালটে ফেলা হয়েছে, তা নিয়ে বামফ্রন্টের তরফে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। শুধুমাত্র সংক্ষিপ্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ঘোষণা করা হয়েছে যে প্রবীর ঘোষের পরিবর্তে বামফ্রন্ট মনোনীত ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রার্থী হিসেবে বারাসত থেকে লড়াই করবেন সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়। য꧃িনি বর্তমানে ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য এবং উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক। আবার বারাসতে টানা তিনবারের কাউন্সিলরও হয়েছিলেন। ২০০৫ সাল, ২০০৯ সাল এবং ২০১৫ সালে জিতেছিলেন। আর তাঁকেই নিজেদের এককালের দুর্গে নামাল বামেরা। সেইসঙ্গে মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্র এবং বরানগর বিধানসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনের প্রার্থীর নামও ঘোষণা করা হয়েছে। মথুরাপুর থেকে আরএসপির সমরেন্দ্রনাথ মণ্ডলকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। আর বরানগরে লড়াই করবেন সিপিআইএমের তন্ময় ꦡভট্টাচার্য।
আরও পড়ুন: বাংলায় বিজেপির টারಞ্গেট আসন কত? আবার সংখ্যা কমালেন 💞অমিত শাহ, বিভ্রান্তি চরমে
বারাসতে প্রার্থী বদল বামেদের
বামফ্রন্টের প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করার প্রচার শুরু করে দিয়েছিলেন প্রবীর। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কাকলি ঘোষদস্♔তিদার এবং বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদারের বিরুদ্ধে লড়াইটা কঠিন স্বীকার করে নিয়েও প্রচার শুরু করেছিলেন। সেইসময় তিনি দাবি করেছিলেন, প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে দেরি হলেও তৃণমূল এবং বিজেপি যে অ্যাডভাজন্টেজ পেয়ে গিয়েছে, তেমনটা নয়। ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করা হবে। ঠিকভাবে ভোটগ্রহণ হলে বামেরাই জয়ী হবে বলে আশাপ্রকাশ করেছিলেন প্রবীর।
বারাসতের রাজনৈতিক ইতিহাস
১৯৭৭ সাল থেকে ওই কেন্দ্রে একটানা জিতে ꧂আসছিল🍰 বামেরা। ফরওয়ার্ড ব্লকের দখলেই ছিল সেই আসন। ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত জিতেছিল বামেরা। সেই দুর্গ ভেঙেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। জিতেছিলেন রঞ্জিত পাঁজা। আর ২০০৯ সাল থেকে সেই আসনে জিতে আসছেন কাকলি ঘোষদস্তিদার। ২০০৯ সাল, ২০১৪ সাল এবং ২০১৯ সালে তৃণমূলের টিকিটে ওই আসন থেকে জিতে আসছেন তিনি। যিনি ২০১৯ সালে তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৬৪৮,৪৪৪ ভোট। এক লাখের বেশি ব্যবধানে জিতেছিলেন কাকলি।