ﷺ ২০২৩ সাল থেকে ট্রেনে ৭ হাজার ৯৭১টি পাথর ছোঁড়ার ঘটনায় ৫.৭৯ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।আর এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৪,৫৪৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সংসদে এমনটাই জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
🐠আরও পড়ুন-CBI:বাংলায় সিবিআই মামলার নিষ্পত্তি হয় না কেন? বড় দাবি শাহের
🌱লোকসভায় নিজামবাদের সাংসদ ধর্মপুরী অরবিন্দর লিখিত জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, '২০২৩, ২০২৪ এবং ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্দে ভারত-সহ ৭ হাজার ৯৭১টি ট্রেনে পাথর ছোঁড়ার ঘটনা ঘটেছে। প্রতিটি ঘটনা আইনের আওতায় নথিভুক্ত করা হয়। তারপরেই অপরাধীদের বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত এবং পদক্ষেপ নেওয়া হয়।ইতিমধ্যে পাথর ছোঁড়ার ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৪ হাজার ৫৪৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।' তিনি আরও বলেন, পাথর ছোঁড়ার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত বন্দে ভারত এক্সপ্রেস-সহ অন্যান্য ট্রেনের কোচ মেরামতের জন্য জোনাল রেলওয়ে মোট ৫.৭৯ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। এই ঘটনা রুখতে আরপিএফ, জিআরপি, জেলা পুলিশ এবং প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে রেলপথ সংলগ্ন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় সচেতনতামূলক প্রচার। যাতে পাথর ছোঁড়া এবং এর পরিণতি সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা যায়। এছাড়াও যেখানে ট্রেনে ভাঙচুরের ঘটনা প্রায়শই ঘটে থাকে, সেখানে ট্রেনের এসকর্টিং দলগুলিকে আরও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
൲রেলমন্ত্রী আরও বলেন, 'রেলওয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং পর্যালোচনা করার জন্য সংশ্লিষ্ট ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ/রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের কমিশনারের নেতৃত্বে সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের জন্য রেলওয়ের রাজ্য স্তরের নিরাপত্তা কমিটি গঠন করা হয়েছে।' অন্যদিকে, সাংসদ এমকে রাঘবনকে লিখিত জবাবে বৈষ্ণব বলেন, বিহারে ট্রেনের এসি কোচ ভাঙচুরের ঘটনায় শুধুমাত্র ফেব্রুয়ারি মাসেই ১২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার ফলে ভারতীয় রেলের ১,৪৯,৮১৭ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
﷽আরও পড়ুন-CBI:বাংলায় সিবিআই মামলার নিষ্পত্তি হয় না কেন? বড় দাবি শাহের
🌳এদিকে, সম্প্রতি লোকসভায় বন্দে ভারতের অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় রেলমন্ত্রীকে। সেই জবাব দিতে গিয়েই অশ্বিনী বৈষ্ণব এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন। রেলমন্ত্রী জানান, রেলের ভাড়া পরিষেবার খরচ, আর্থ-সামাজিক অবস্থা সহ একাধিক বিষয়কে মাথায় রেখেই চূড়ান্ত করা হয়। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন ট্রেন, শ্রেনিতে দেওয়া যাত্রী সুবিধার কথা মাথায় রেখেও ট্রেনের ভাড়া চূড়ান্ত করা হয়। বিভিন্ন ট্রেন রয়েছে। যেগুলির যাত্রী সুবিধার কথা মাথায় রেখেই চালানো হয়। ফলে বন্দে ভারত ট্রেনের ভাড়া যে কমানো সম্ভব নয় সেই বার্তা লোকসভায় কার্যত এভাবেই জানিয়ে দেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।