কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন কর্ণাটক সরকার সংখ্যালঘুদের জন্য টেন্ডারের ক্ষেত্রে ৪ শতাংশ সংরক্ষণের ঘোষণা করা হয়েছে সম্প্রতি। এই আবহে সেই রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার বলে বসেছিলেন, ভবিষ্যতে মুসলিমদের সংরক্ষণ দেওয়ার জন্য আমরা সংবিধান সংশোধনও করতে পারি। আর তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে উত্তাল সংসদ। এই নিয়ে সোমবার রাজ্যসভায় তুমুল হইচই হয়েছে। (আরও পড়ুন: সেনা প্রধান নিয়ে 'সারজ🔯িস 💦বনাম হাসনাত' বিতর্কে পুড়েছে মুখ, ক্ষমা চাইল নাহিদের দল)
আরও পড়ুন: নাগপুর🌟 হিংসার ‘মূলচক্রী’ ফাহিম খানের বাড়িতে বুলডোজার চালাল প♛ুরসভা
আজ রাজ্যসভায় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু প্রশ্ন করেন, 'সাংবিধানিক পদে থাকা এক নেতা এ কথা কীভাবে বলেছেন?' এর জবাবে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, 'কংগ্রেসই সেই দল যারা সংবিধানকে রক্ষা করেছে।' কিন্তু রিজিজু বলেন, 'আপনাদের উপমুখ্যমন্ত্রী বলছেন সংবিধান পরিবর্তন করা হবে। কংগ্রেস প্রকাশ্যে বলছে যে মুসলিমদের সংরক্ষণ দেওয়ার জন্য সংবিধান পরিবর্তন করা হবে। যাঁরা আগে সংবিধান বাঁচানোর কথা বলতেন, এখন আম্বেদ🍌করকে অপমান করছেন, তাঁরা আজ কোথায়?' ডিকে শিবকুমারের বক্তব্যের জেরে সংসদের দুটি কক্ষই মꦦুলতুবি করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: তুলসির কথাই প্রমাণ করলেন BNP নেত্রী, বাংলাদেশে আক্রান্ত হিন্🍨দু পরিবার, দল বলল…
পরে সংবাদমাধ্যমকে কিরেন রিজিজু বলেন, 'এনডিএ ডিকে শিবকুমারের বক্তব্যকে গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে। কংগ্রেস বলছে যে মুসলিমদের সংরক্ষণ এবং অন্যান্য সুবিধা দেওয়ার জন্য সংবিধানও সংশোধন করা হবে। শিবকুমারের বক্তব্যে এটা স্পষ্ট, তারা সংবিধান পরিবর্তন করতে চায় এবং মুসলিমদের সংরক্ষণ দিতে চায়। মনে রাখা উচিত যে ১৯৪৭ সালেও মুসলিম লিগ মুসলিম সংরক্ষণের বিষয়টি উত্থাপন করেছিল, কিন্তু সংরক্ষণের ভিত্তি কেবল সামাজিক ও অর্থনৈতিক হতে পারে বলে তা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল। এর কোনও ধর্মীয় ভিত্তি থাকতে পারে না। আমাদের সংবিধান ধর্মনিরপেক্ষ এবং সংরক্ষণ কেবল অর্থনৈতিক ও সামাজিক ভিত্তিতে দেওয়া যেতে পারে। সংবিধান পরিবর্তনের কথা বলা দেশের ব্যবস্💧থার সঙ্গে প্রতারণা। আমরা কংগ্রেস নেতৃত্ব, দলের সভাপতি ও সংসদ নেতার কাছ থেকে এই বিষয়ে বিবৃতি চাই। ডিকে শিবকুমারের বক্তব্য নিয়ে তাঁদের প্রতিক্রিয়া কী তা তাঁদের জানানো উচিত।'
প্রসঙ্গত, কর্ণাটকের সরকারি টেন্ডারের ক্ষেত্রে মুসলিম ঠিকাদারদের জন্য় যে ৪ শতাংশ সংরক্ষণ দেওয়া হয়েছে, প্রথম থেকেই তার বিরোধিতা করে এসেছে বিজেপি। এই বিজেপির প্রশ্ন ছিল, 'এই তোষামোদের রাজনীতির সীমা কোথায়? মুভি ও ট🌞্রেনের টিকিটেও কি এবার মুসলিমদের জন্য আলাদা লাইনের সংরক্ষণ থাকবে?' দক্ষিণ বেঙ্গালুরুর বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্য এই বিষয়ে বলেন, 'এটা সংবিধানের উপর আক্রমণ এবং ধর্মান্তরকরণকে উৎসাহিত করা হচ্ছে এর মাধ্যমে।'