বাংলাদেশের জঙ্গি শিবির আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের আরও ২ সন্দেহভাজন সদস্য গ্রেফতার অসমে। এর🍒 আগেই, এই জঙ্গি সংগঠনের ৮ সদস্যের গ্রেফতারির খবর আসে। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিল শাদ রাদি। এদিকে, সদ্য অসমে যে ২ জনকে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে , তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ সূত্রের দাবি, এই ধরপাকড়ে বড়সড় নাশকতার ছক এড়ানো গিয়েছে।
মঙ্গলবার গভীর রাতে অসমের কোকরাঝোড় থেকে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। সেই সময়ই ২ সন্দেহভাজন বাংলাদেশি আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের সদস্যকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে খবর। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের এই জঙ্গি শিবিরের নেটওয়ার্ক ঘিরে ‘অপারেশন প্রঘাত’এর আওতায় ধরপাকড় শুরু করেছে অসম পুলিশ। সেই অꦿপারেশনেরই বড়সড় সাফল্য এল এদিন। ঘটনা নিয়ে বুধবারই মুখ খুলেছে পুলিশ। অসমের কোকরাঝোড়ের নামপাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ২ জনকে। এর আগে, এই সংগঠনের ২ সদস্যকে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অসম থেকে সদ্য যারা ধরা পড়েছে তারা হল, আবদুল জাহির শেখ, শব্বির মিরধা। এর আগে আনসারুল্লা বাংলাটিমের ৮ সদস🎀্যকে জেরা করে পুলিশ শব্বিরদের হদিশ পায় বলে খবর। এই ৮ জনকে পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, অসম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ভিত্তিক এই জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লা বাংলাটিমের সঙ্গে যোগ রয়েছে ‘আল কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট’ জঙ্গি শিবিরের। আহ এহেন সংগঠনের ২ সদস্যদের কাছ থেকে নামপাড়ায় সদ্য হ্যান্ডমেড রাইফেল থেকে শুরু করে বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। এই ধরপাকড় চলেছে, অসম পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের টিমের আওতায়। স্পেশ্যাল ডিরেক্টর অফ পুলিশ হরমীত সিং বলেছেন,' এটি মৌলবাদী জিহাদিদের দ্বারা একটি সম্ভাব্য বড় সন্ত্রাসী নাশকতা এড়ানো গিয়েছে।' তিনি বলেন,'পরবর্তী জিজ্ঞাসাবাদ (শেখ ও মিরধাকে) করা হবেএবং অনুসন্ধান অভিযানের ফলে গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তদের মধ্যে একজনের আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ এবং অন্যান্য যুদ্ধের মতো জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।🐓'পুলিশ জানিয়েছে, তারা চারটি হাতে তৈরি রাইফেল, ৩৪ রাউন্ড জীবন্ত গোলাবারুদ, ২৪ রাউন্ড খালি কার্তুজ, এক জোড়া ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস, একটি হস্তনির্মিত গ্রেনেড, কৃষি সরঞ্জাম থেকে তৈরি সার্কিট ডেটোনেটর, ইলেকট্রনিক সুইচ, লোহার কেস, লোহার টুকরো এবং প্লেট উদ্ধার করেছে।