⭕ আর স্রেফ কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। তারপরই পৃথিবীতে অবতরণ করতে চলেছেন সুনীতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোর। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার তরফে জানানো হয়েছে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে মঙ্গলবার বিকেল ৫ টা ৫৭ মিনিট নাগাদ (ভারতীয় সময় অনুযায়ী রাত ৩ টে ২৭ মিনিট) ফ্লোরিডা উপকূলে নামার কথা আছে স্পেসএক্স ড্র্যাগন মহাকাশযানের। মঙ্গলবার রাত ১ টা ৫ মিনিটে (ভারতীয় সময় অনুযায়ী সকাল ১০ টা ৩৫ মিনিট) আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের হারমনি মডিউল থেকে সেই মহাকাশযান বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। আর তারপর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে কাউন্টডাউন।
ভারতীয় সময় অনুযায়ী কখন নামবে সুনীতাদের মহাকাশযান?
🦄সুনীতাদের সেই অবতরণের দৃশ্য নাসার তরফে সরাসরি সম্প্রচারও করা হবে। নাসার তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত কোনও ভিডিয়ো সম্প্রচার করা হবে না। মহাকাশচারীদের সঙ্গে অডিয়োর মাধ্যমে যোগাযোগ রয়েছে। তবে ভিডিয়ো সম্প্রচার শুরু হবে মঙ্গলবার বিকেল ৪ টে ৪৫ মিনিট থেকে (ভারতীয় সময় অনুযায়ী রাত ২ টো ১৫ মিনিট থেকে)। যতক্ষণ না মহাকাশচারীদের সুরক্ষিতভাবে বের করে আনা হচ্ছে, ততক্ষণ সেই লাইভ সম্প্রচার চলবে বলে জানানো হয়েছে।
অনলাইনে কোথায় লাইভ সম্প্রচার দেখা যাবে?
𓄧মার্কিন মহাকাশ সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ফেসবুক, ইউটিউব-সহ নাসার বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া পেজে লাইভ সম্প্রচার হবে। ভারতীয় সময় অনুযায়ী, রাত ২ টো ১৫ মিনিট থেকে (ইংরেজি মতে বুধবার) স্পেসএক্স ড্র্যাগন মহাকাশযানের অবতরণের লাইভ সম্প্রচার শুরু হবে। যে মহাকাশযানে সুনীতা, বুচ ছাড়া আরও দুই মহাকাশচারী আছেন।
ℱতবে সেই মিশনের যাবতীয় লাইমলাইট রয়েছে সুনীতা এবং বুচের দিকেই। কারণ তাঁরা আটদিনের মিশনে মহাকাশে গিয়েছিলেন। সেখানে বিভিন্ন যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে নয় মাসের বেশি মহাকাশে থাকতে হয়েছে তাঁদের। আর এতদিন মহাকাশে কাটিয়ে পৃথিবীতে ফেরার ফলে সুনীতাদের ক্ষেত্রে বাড়তি সতকর্তা অবলম্বন করা হচ্ছে।
কী কী সমস্যা হতে পারে মহাকাশচারীদের?
𝓰দীর্ঘদিন মহাকাশে থাকার পরে নভোশ্চররা যখন পৃথিবীতে ফেরেন, তখন তাঁদের একাধিক শারীরিক সমস্যা হতে পারে। পৃথিবীর জীবনযাত্রার সঙ্গে ফের ধাতস্থ হয়ে উঠতে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত লেগে যায়। অতীতে মহাকাশচারীরা জানিয়েছেন যে তাঁরা পৃথিবীতে ফেরার পরে হাঁটতে অসুবিধা হয়। অসুবিধা হয় দেখতে। মাথা ঘোরে। আবার 'বেবি ফিট' বলে একটা পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে থাকে। তাঁদের পায়ের নীচে ত্বকের পুরু অংশটি শিশুদের মতো নরম হয়ে যায়।
▨সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আমেরিকার হিউস্টনের বেলর কলেজ অফ মেডিসিনের তরফে বলা হয়েছে যে ‘মহাকাশচারীরা ফেরার পরেই তাঁদের পৃথিবীর সঙ্গে খাপ খাইতে নিতে হয়। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির (খাপ খাওয়াতে হয় তাঁদের)। দাঁড়ানো, একদৃষ্টিতে তাকানো, হাঁটাচলা এবং ঘোরার মতো কাজের ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে পৃথিবীতে ফেরার পরে প্রায়শই মহাকাশকারীদের চেয়ারে বসিয়ে রাখা হয়।’
🦄একইভাবে জাপানের মহাকাশ সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের নভোশ্চরকারীদের মস্তিষ্কে যে সব তথ্য যায়, সেটার ধরন মহাকাশে পালটে যায়। তার জেরে বিভ্রান্ত হয়ে যায় মস্তিষ্ক। আবার নভোশ্চররা যখন ফিরে আসেন, তখন তাঁরা ফের পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি অনুভব করেন। সেই পরিস্থিতিতে ‘মাধ্যাকর্ষণ সংক্রান্ত অসুস্থতা’-র সম্মুখীন হতে হয়।
আরও পড়ুন: ꦍTrump on Sunita: মহাশূন্যে আটকে পড়া সুনীতার চুলের প্রশংসায় ট্রাম্প, মহাকাশচারীকে বললেন…
𝓰পৃথিবীতে রক্ত ও অন্যান্য শারীরবৃত্তীয় ফ্লুইড শরীরের নীচের দিকে যায়। কিন্তু মহাকাশে শরীরের উপরে অংশে যায় রক্ত ও অন্যান্য শারীরবৃত্তীয় ফ্লুইড। জাপানের মহাকাশ সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, পৃথিবীতে ফেরার পরে দাঁড়িতে থাকার ক্ষেত্রে মহাকাশচারীদের সমস্যা হয়। মহাকাশের থেকে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি যেহেতু বেশি, তাই পুরো বিষয়টির সঙ্গে নতুন করে খাপ খাইয়ে নিতে কিছুটা সময় লাগে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।