মাসের পর মাস, বছরের পর বছর কেটে গিয়েছে। কিন্তু, রাজ্যের একাধিক পুরনিগম ও পুরসভাগুলিতে ভোট করাচ্ছে না রাজ্য সরকার। এই অভিযোগ দীর্ঘদিনেরꦫ। আর, এবার এর জন্যই সংশ্লিষ্ট পুর এলাকাগুলির বাসিন্দাদের তার খেসারত দিতে হবে। একথা কেন বলা হচ্ছে? কারণ - পুরসভা ও পুরনিগম মিলিয়ে রাজ্যের মোট ১৪ট🔯ি শহর এলাকায় কোনও নির্বাচিত পুরবোর্ড না থাকায় তাদের জন্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত বিশেষ তহবিল বরাদ্দ করা বন্ধ করে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। যার জেরে বায়ুদূষণ রোখার কাজ বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এবং তার জন্য আখেরে আমজনতাকেই ভুগতে হবে।
এখানে যে কেন্দ্রীয় তহবিলের কথা বলা হচ্ছে, সেটি হল - 'ন্যাশনাল ক্লিন এয়ার প্রোগ্রাম' বা সংক্ষেপে এনক্যাপ। যে ১৪টি পুর প্রশাসনের ক্ষেত্রে এনক্যাপ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে হাওড়া, দুর্গাপুর ও চন্দননগর পুরনিগম। বাদবাকি পুরসভাগুলি ꦕহল - হলদিয়া, কুপার্স ক্যাম্প, পাঁশকুড়া, সাঁইথিয়া, তাহেরপুর, দার্জিলিং, ঝালদা, পানিহাটি, চাঁপদানি, এগরা ও বেলডাঙা।
সংবাদ প্রতিদিন.ইন অনুসারে, এর মধ্য়ে শিল্পনগরী দুর্গাপুরে যদি বায়ুদূষণ নিয়নꦏ্ত্রণের কাজ বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে তার ফল হতে পারে মারাত্মক। কারণ, তথ্য বলছে - গত বছ🧔রের ২৬ নভেম্বর (২০২৪) দুর্গাপুরের একিউআই (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) ছিল – ৪৫৩.৮। ওই একই দিনে দেশের রাজধানী দিল্লির একিউআই ছিল - ৩৯৪। অর্থাৎ - দূষণের মাপকাঠিতে দিল্লিকেও টপকে গিয়েছিল আমাদের রাজ্যের এই শিল্পনগরী। তাই, এখানে দূষণ নিয়ন্ত্রণের কাজে কোনও ঢিলেমি দেওয়ার অর্থ হল - মারাত্মক ক্ষতি।
এদিকে, দুর্গাপুর পুরনিগমের নির্🌌বাচিত বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয় ২০২২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। তারপর থেকে পাঁচজন সদস্যের একটি প্রশাসকমণ্ডলী তৈরি করে এই পুরনিগমের সমস্ত কাজ পরিচালনা করা হচ্ছে। যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সরব বিরোধীরা।
ত🍌থ্য বলছে, ইতিমধ্যেই পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা দুর্গাপুর পুরনিগমে আর আসছে না। এরপর এনক্যাপ ফা🐲ন্ডের টাকাও বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দূষণ প্রতিরোধী পরিকাঠামো নির্মাণ, কাঁচা রাস্তা সারাই-সহ প্রভৃতি কাজ একেবারে থমকে যাবে।
প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমের কাছে এই সমস্যা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, আপাতত মৌখিকভাবে তাঁদের এনক্যাপ ফান্ড বন্ধ হওয়ার বিষয়টি জানান🦩ো হয়েছে। অনি꧋ন্দিতা জানান, শেষবার এই ফান্ডে ৪৪ কোটি টাকা এসেছিল। যা ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে। এমনকী, এর আগের দুই অর্থবর্ষেও তাঁরা এই ফান্ডের অধীনে কোনও টাকা পাননি বলেন দাবি করেছেন অনিন্দিতা।
অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় সরকারি সিদ্ধান্তের পক্ষেই সওয়াল করছেন বিরোধীরা। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, হেরে যাওয়ার ভয়ে পুরনিগমে ভোট করাচ্ছে না 𓆏র☂াজ্যের শাসকদল। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দুর্নীতিও চলছে। সেই জন্যই এনক্যাপ ফান্ড আটকে দেওয়া হয়েছে।