অন্যবার যে অংশ থেকে ছাঁকা নম্বর ওঠে, এবার সেটাই উচ্চমেধা෴র পড়ুয়ার সঙ্গে মধ্যমানের পরীক্ষার্থীদের ফারাক গড়ে দেবে। মাধ্যমিকের অঙ্ক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দেখার পরে এমনই মনে করছেন কলকাতার হিন্দু স্কুলের অঙ্ক শিক্ষক তাপসকুমার পুরকাইত। তিনি জানিয়েছেন, যেটাকে আদর্শ প্রশ্ন বলা যায়, এবার অঙ্ক পরীক্ষায় ঠিক সেটাই হয়েছে। যারা খুব ভালো পড়ুয়া, তাদের পরীক্ষা খুব ভালো হবে। যারা ‘অ্যাভব অ্যাভারেজ’, তারা কত নম্বর পাবে, সেটা নির্ভর করবে অবজেক্টিভ অংশের উপরে। একইভাবে যারা মধ্যমানের পড়ুয়া, তারা যেখান থেকে ছ꧒াঁকা নম্বর তোলার পরিকল্পনা করে আসে, সেটাই কিছুটা ঘুরিয়ে হওয়ায় তাদের প্রাপ্ত নম্বর কমে যেতে পারে।
বুদ্ধি খাটিয়ে অবজেক্টিভ প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে!
বিষয়টি ব্যাখ্যা কর♛ে হিন্দু স্কুলের অঙ্ক শিক্ষক বলেছেন, ‘অবজেক্টিভ (এমসিকিউ, শূন্যস্থান পূরণ, সত্য-মিথ্যা) প্রশ্নগুলো একেবারে জলের মতো সহজ হয়নি। বুদ্ধি খাটিয়ে পরীক্ষার্থীদের অঙ্ক কষতে হবে। যে বিষয় থেকে প্রশ্ন করা হয়েছে, সেটা জানতে হবে পড়ুয়াদের। নাহলে সে পারবে না। এমনিতে খুব সহজ। সামান্য একটা সূত্র ধরিয়ে দিলে মনে হবে যে এত সহজ প্রশ্ন। কিন্তু কনসেপ্ট না থাকলে ওই অঙ্কগুলো করতে পারবে না।’
কোন পড়ুয়া কত নম্বর পেতে পারে?
তিনি আরও জানিয়েছেন, যারা ‘অ্যাভব অ্যাভারেজ’, তারা যদি অবজেক্টিভ অংশটা ঠিকমতো করতে পারে, তাহলে ৮০-র বেশি নম্বর পাবে। যে পড়ুয়ারা ৬০-৭০ নম্বর পাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে রাখে, তাদের বেশি সমস্যা হবে। যারা 'অ্যাভারেজ' পড়ুয়া, যারা সাধারণত ধরে রাখে যে প্রোজেক্টে ১০ নম্বর পাব, আর ৯০ নম্বরের মধ্যে ৫০-৬০ নম্বর তুলতে পারবে। তারা যেখান থেকে নম্বর তুলতে পারত, সেই অবজে𓃲ক্টিভ অংশের প্রশ্নগুলি কিছুটা ঘু🐬রিয়ে করা হয়েছে। তাই তাদের পক্ষে নম্বর তোলা কিছুটা কঠিন। তবে পাশমার্ক উঠে যাবে।
পাটিগণিতে বই থেকেই অঙ্ক, সংখ্যা-নাম পালটানো হয় শুধু
আর ওই অবজেক্টিভ অংশটা বাদ দিয়ে বড় প্রশ্ন সহজ এসেছে বলে জানিয়েছেন হিন্দু স্কুলের অঙ্ক শিক্ষক। তিনি জানিয়েছেন, পাটিগণিত, বীজগণিত, করণী, ভেদের মতো অংশ থেকে বড় প্রশ্ন যেমন এসে থাকে, এবারও সেরকম হয়েছꦫে। পাটিগণিতের প্রশ্ন খুব সহজ এসেছে। আগে হুবহু বই থেকে পাটিগাণিতের অঙ্ক তুলে দেওয়া হত। এবার নাম, সংখ্যায় হেরফের করা হয়েছে। অঙ্কটা এক, সংখ্যা꧃টা আলাদা।
কিছুটা ট্র্যাডিশন ভাঙা হয়েছে পরিমি♕তির ক্ষেত্রেও। তিনি জানিয়েছেন, ‘পরিমিতিতে সাধারণত চার নম্বরের প্রশ্ন থাকে। তিনটি প্রশ্ন দেওয়া হয়। করতে হয় দুটি। এখানে প্রশ্নগুলো মিশিয়ে করা হয়। যেমন - লম্ব-বৃত্ত আছে, তার সঙ্গে গোলক মেশানো বা গোলকের সঙ্গে লম্ব-বৃত্ত, শঙ্কু মেশানো থাকে। এবার সেটা হয়নি।’
রীতি ভাঙা হলেও ওই প্রশ্নগুলি কঠিন ছিল না বলে জানিয়েছেন অঙ্কের শিক্ষক। সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ত্রিকোণমিতির যে বড় প্রশ্ন আছে, তাতে দুটি থাকে। একটি করতে হয়। ওটাও সোজা হয়েছে। বই থেকে দিয়েছে। আবার উপপাদ্য একটা এসেছে ‘বৃত্তস্থ চতুর্ভুজের ব🌌িপরীত কোণগুলি পরস্পর সম্পূরক- প্রমাণ করো।’ ওটা একেবারে সকলের জানা হবে। ২০২২ সালে এস🤡েছিল প্রশ্নটা। ২০২৩ সালে এসেছিল। সেটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আর খুব সহজও।