ফুরফুরার শরিফের উন্নয়নে ৫৮ কোটি ৬২ লক্ষ ৮৯ হাজার ৪৯২ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এই টাকা খরচ হবে ফুরফুরা শরিফ উন্নয়ন পর্ষদ🌄ের মাধ্যমে। বৃহস্পতিবার বিধানসভার অধিবেশনে এই তথ্য জানালেন মন্ত্রী ফ♒িরহাদ হাকিম।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এই অর্থ বরাদ্দের কথা বলতেই, ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা তথা ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি জানতে চান ফুরফুরা উন্নয়ন পর্ষদের অফিসটা কোথায়? এর উত্তরে মন্ত্রী জানান, এখনও পাওয়া যায়নি। একটি পরিত্যক্ত জায়গা পাওয়া গিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে সেখানেই অফিস হবে। পরে অফিস পেলে তা স্থানান্তরিত হবে। এই সঙ্গে তিনি আরও জানান, ফুরফুরা শরিফের গেটের পাশে যে জমি রয়েཧছে সেখানেই অফিস ও মুসাফিরখানা হবে। আপাতত শ্রীরামপুরে মহকুমা শাসকের অফিস থেকে কাজ চলবে।
(পড়তে পারেন। ইমাম - মোয়াজ্জেম ভাতা বাড়াতে পারেন ꦺমমতা, বিভাজনের রাজনীতি শুর🐈ু করেছেন উনি)
রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর ফুরফুরা উন্নয়ন পর্ষদ গঠন করা হয়। সে সময় শা🍬সকদলের সঙ্গে ফুরফুরার পিরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি সম্পর্ক ভাল ছিল। কিন্তু পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রিড আন্দোলনে কেন্দ্র করে। তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্কের সমীকরণেও বদল আসে। হঠাৎ ফুরফুরার পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি আইএসএফ নামে নতুন দল ঘোষণা করে দেন। প্রেস 🅺ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি এই নতুন দল ঘোষণা করেন। বিধানসভা ভোটে বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে সেই দল একাধিক জায়গায় প্রার্থীও দেয়। ভাঙড়ে প্রার্থী হন নওশাদ সিদ্দিকি। তিনি জয়লাভ করেন।
সাগরদিঘি উপনি🐷র্বা♉চনে ফল প্রকাশের পর সংখ্যালঘু ভোট নিয়ে কপালে ভাঁজ পড়ে তৃণমূলের। কারণ ফুরফুরা প্রভাবিত এলাকার মধ্যে মুর্শিদাবাদও পড়ে। এতদিন ফুরফুরা উন্নয়ন পর্ষদের দায়িত্বে ছিলেন ফিরহাদ হাকিম। তাঁকে সরিয়ে মমতা দায়িত্ব দেন সপ্তগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্তকে।
তবে সম্প্রতি পঞ্চায়েত ভোটে ভাঙড়ে অশান্তি নতুন করে রা🌺জ্য সরকারের কপ🃏ালে ভাঁজ ফেলেছে। দীর্ঘদিন পর বুধবার ভাঙড়ে ঢুকতে পেরেছেন নওশাদ। এই পরিস্থিতিতে বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। তার আগে রাজ্য সরকার ফুরফুরার উন্নয়নে অর্থ বরাদ্দের কথা জানিয়ে সম্পর্ক কিছুটা সহজ করার পথে হাঁটল শাসকদল?