🍬 কলকাতা মেট্রো এখন সম্প্রসারণ হয়েছে নানা রুটে। এখন হাওড়া পর্যন্ত স্বচ্ছন্দে যাওয়া যায়। আবার গড়িয়া পর্যন্ত পৌঁছেও যাওয়া যায় নিমেষে। কিন্তু রাতে ৯টা ৪০ মিনিট নাগাদ শেষ মেট্রো মেলে। কিন্তু তারপরও জনতার দাবি, আরও কিছুক্ষণ মেট্রো চললে বাড়ি ফেরাটা সহজ হয়। ৯টা ৪০ মিনিটের মধ্যেই সকলের বাড়ি ফেরা সম্ভব নয়। যদি দু’একটি মেট্রো তারপরও চলে তাহলে নিত্যযাত্রীদের সুবিধা হবে। যদিও এই প্রস্তাব মেট্রো রেলকে দিলে তা তারা শুনবেই বা কেন? এর ঘরে যেতে না যেতেই বাড়তে থাকে সমস্যা। এদিকে তখনও রাজপথে ব্যাপক জ্যাম। তাই এবার মেট্রোর সংখ্যা বৃদ্ধির দাবিতে মামলা গড়াল কলকাতা হাইকোর্টে।
꧂এদিকে দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত রাত ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত মেট্রো চললেও পথে বহু যাত্রী থাকেন যাঁরা ওই সময়ে ট্রেন ধরতে পারেন না। আর একটু পরে হলে খুব সুবিধা হয়। তাই মেট্রোর শেষ সময়সীমার পর পাঁচ মিনিট অন্তর আরও চারটি মেট্রো বাড়ানোর দাবি তুলে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। তবে এই জনস্বার্থ মামলায় আপাতত কোনও হস্তক্ষেপ করল না উচ্চ ন্যায়ালয়। বরং মেট্রো কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাত ৯টা ৪০ মিনিটের পর যদি মেট্রো চলে তাহলে আয়ও বাড়বে মেট্রো রেলের। আর যাত্রীরাও পরিষেবা পেয়ে সহজে বাড়ি ফিরতে পারবেন। এমনই দাবি করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: উস্তির শুটআউট কাণ্ডে নয়া মোড়, মূল অভিযুক্ত–সহ গ্রেফতার ৮, অপারেশন সফল কেমন করে?
অন্যদিকে মনে রাখতে হবে, কলকাতা মেট্রো কিন্তু ৯টা ৪০ মিনিটে শেষ নয়। ১০টা ৪০ মিনিটেও মেট্রো পরিষেবা মেলে। একটি ট্রেন দমদম থেকে কবি সুভাষ যায়। আবার একই সময়ে কবি সুভাষ থেকে দমদমে ট্রেন আসে। কিন্তু ওই দুটি ট্রেনেই যাত্রী সংখ্যা খুব কম থাকে বলে মেট্রো কর্তৃপক্ষের দাবি। সেক্ষেত্রে ট্রেন বাড়িয়ে আরও লোকসানের রাস্তায় যেতে নারাজ কলকাতা মেট্রো।🦋 যদিও মামলাকারীর দাবি, রাত ৯টা ৪০ মিনিটের পর এক ঘন্টায় দুটি মেট্রো চালানো হচ্ছে। সেটা বাড়িয়ে চারটি করা হোক। পাল্টা কেন্দ্রের আইনজীবী অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতকে জানান, সিগন্যালিংয়ে কর্মরত কর্মীদের শিফট, মেট্রো কোচের সংখ্যা এবং পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের শিফটিংয়ের সমস্যা নিয়ে এমন দাবি মানা সম্ভব নয়।
এরপর সমস্ত সওয়াল–জবাব শুনে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের পর্যবেক্ষণ, গোটা বিষয়টি নিয়ে শেষ সিদ্ধান্ত নেবে কলকাতা মেট্রোই। তবে মেট্রোকে তাঁদের সুবিধা–অসুবিধা দেখা এবং যাত্রীদের বিষয়টি বিবেচনা করার কথা বলা হচ্ছে।ཧ কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি গোটা বিষয়টিই কলকাতা মেট্রোর হাতে ছেড়ে দেওয়ায় এখন তাঁরাই সিদ্ধান্ত নেবেন। যদি রাত ১০টা ৪০ মিনিটে ট্রেন চালিয়ে পর্যাপ্ত যাত্রী না পাওয়া যায়, তাহলে কি বাড়তি ট্রেনের দাবি মিটবে? উঠছে প্রশ্ন।