জামিন মামলার শুনানির ক্ষেত্রে বড়সড় বদল আসতে চলেছে কলকাতা হাইকোর্টের কার্য প্রণালীতে। 'দ্য ওয়াল' অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, এবার থেকে আর কলকাতা হাইকোর্টের কোনও ডিভিশন বেঞ্চে জামিন সংক্রান্ত কোনও মামল💦ার শুনানি হবে না। যে মামলার শুনানি যে বেঞ্চে চলছে, সেখানেই জামিন মামলারও শুনানি করা হবে। এ নিয়ে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
এক্ষেত্রে জামিন সংক্রান্ত মামলা বলতে বোঝানো হয়েছে - যে কোনও ধরনের জামিনের আবেদন (যেমন - অন্তর্বর্তী ▨বা আগাম জামিন-সহ ), জামিন বাতিলের পালটা মামলা প্রভৃতি সবকিছুই।
আদালত সূত্রে জানা🍰 গিয়েছে, এত দিন ধরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচার প্রক্রিয়া সংক্রান্ত রুল ৯(২)-এ অনুসারে রাজ্য়ের উচ্চ আদালতের বিভিন্ন ডিভিশন বেঞ্চে এই ধরনের মামলাগুলির শুনানি করা হত। কিন্তু, এবার থেকে এই ধরনের সমস্ত মামলারই শুনানি হবে সংশ্লিষ্ট সিঙ্গল বেঞ্চে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এবং তাতেই গোটা বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে, এক্ষেত্রে কিছু ব্যতিক্রমও থাকছে। কী সেটা? সংশ্লিষ্ট ব💙িজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, যদি কোনও আসামী মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত হন কিংবা যেসমস্ত আসামী কোনও মামলায় ন্যূনতম ৭ বছরের কারাদণ্ড পেয়েছেন, তাঁরা যদি নিম্ন আদালতের রায় চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা রুজু করেন, তাহলে সেই মামলার শুনানি ডিভিশন বেঞ্চেই হবে।
এর পাশাপাশি, যে আসামীরা নিম্ন আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়ে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা পেয়েছেন এবং সেই সাজা থেকে মুক্তি পেতে কলকাতা হಞাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চাইছেন, ত💝াহলে সেই মামলাগুলিও ডিভিশন বেঞ্চেই করা হবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি একটি মামলার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চগুলিতে অসংখ্য জামিন মামলার শুনানির যৌক্তিকতা নিয়েই প্রশ্ন তোলে সুপ্রিম কোর্ট। ভারতের অন্য়ান্য হাইকোর্টের মতো কলকাতা উচ্চ আদালতেও মামলার পাহাড় জমে রয়েছে। সেই অবস্থায় কেন ড𝓡িভিশন বেঞ্চ জামিনের মামলা শুনে সময় নষ্ট করছে, তা জানতে চেয়েছিল শীর্ষ আদালত𒁃।
সুপ্র🌱িম কোর্টের সংশ্লিষ্ট ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্ন ছিল, যে মামলার নিষ্পত্তি🅰 সিঙ্গল বেঞ্চেই হয়ে যাওয়ার কথা, সেই মামলা কেন ডিভিশন বেঞ্চে টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে? এর ফলে আদতে মামলার শুনানির প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হচ্ছে বলেই সুপ্রিম কোর্ট তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিল।
যদি🎐ও এর একটা পালটা যুক্তিও শোনা গিয়েছিল। সেটা হল - ভারতবর্ষের বিভিন্ন হাইকোর্টের বিধি আলাদা। সেই আলাদা বিধি মেনেই এত দিন কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ𓆉্চে জামিন মামলার শুনানি হয়ে এসেছে।
প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্ট ভারতের প্রাচীনতম হাইকোর্ট। কারণ, কলকাতা ছিল ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী। ১৮৬২ সালে স্থাপিত হওয়া এই আদালত ভারতের অন্যতম চাটার্ড হাইকোর্টও বটে। সেই কারণেই এখানকার বিধি অন্য়ান্য আদালতের থেক𝐆ে আলাদা। এবার জামিন মামলার শুনানির ক্ষেত্রে অন্তত সেই বিধিতে বদল আনা হল।