আইপিএলে ব্যাক টু ব্যাক ম্যাচে জিতল আরসিবি। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট র🦩াইডার্সকে ইডেন গার্ডেন্সে হারানোর পর এবার আইপিএলের সফলতম দল চেন্নাই সুপার কিংসকে তাঁদের ডেরায় গিয়েই হারিয়ে এল ফিল সল্ট, রজত পতিদাররা। ১৭ বছর পর আইপিএলে চিপকের মাঠে জিতল আরসিবি। কিছুটা অবাক করেই দলের দরকারে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে ব্যাটিং অর্ডারে আগে নামানো হল না, নামানো হল অশ্বিনেরও পরে। যখন তিনি নামলেন ম্যাচ কার্যত হাতের বাইরে।
অধিনাকোচিত ইনিংস রজত পতিদারের
টস জিতে আরসিবিকে ব্যাট করতে পাঠ𝄹ান রুতুরা𝄹জ গায়কোয়াড়। শুরুটা ফিল সল্ট ভালো করলেও মহেন্দ্র সিং ধোনিক তৎপরতার তিনি বড় স্কোরে পৌঁছাতে পারলেন না। বিপজ্জনক হয়ে ওঠার সময়ই তিনি আউট হয়ে গেলেন। বিদ্যুৎের গতিতে তাঁকে মূহূর্তের মধ্যে স্টাম্প আউট করে সাজঘরে ফেরালেন মাহি, ১৬ বলে ৩২ রান করে ফিরলেন তিনি। বিরাট কোহলি অবশ্য এই ম্যাচে থাকলেন একদমই নিষ্প্রভ। ৩০ বল খেলে করলেন মাত্র ৩১ রান। দেবদূত পাডিক্কাল নেমে ভালোই চালিয়ে খেলছিলেন। তবে ১৪ বলে ২৭ রান করে আউট হয়ে যান তিনি।
ডেভিডের ক্যামিওতেই ভালো স্কোরে আরসিবি
এরপর রজত পতিদার অর্ধশতরান করে আরসিবিকে একটা ভালো স্কোরে পৌঁছে দেন। নূর আহমেদ এই ম্যাচেও তিন উইকꦜেট নিꦬলেন বটে, কিন্তু তাতে সিএসকের খুব লাভও হল না। শেষদিকে টিম ডেভিডের একটা ক্যামিও যেন ম্যাচে বিরাটদের এগিয়ে দিল। তিনি ৮ বলে ২২ রান করলেন, আর তাতেই আরসিবির স্কোর ১৯৬/৭ রানে পৌঁছে যায়।
পরপর উইকেট হারিয়ে চাপে সিএসকে
রান তাড়া করতে নেমে চাপে পড়ে যায় চেন্নাই সুপার কিংস। নিজেদের ঘরের মাঠেই পরপর আউট হয়ে যান রাহুল ত্রিপাঠি, রুতুরাজ গায়কোয়াড়। ৫ রানে রাহুলকে ফেরান জোশ হ্যাজেলউড, এরপর সিএসকের অধিনায়ককে রানের খাতা খুলতে না দিয়েই সাজঘরে পাঠান💯 অস্ট্রেলিয়ান পেসার। মাত্র ৮ রানেই ২ উইকেট পড়ে যায় চেন্নাইয়ের
যশ দয়াল এক ওভারে ২ উইকেট নিলেন
এরপর দীপক হুডা ৯ বলে ৪ রান করে আউট হন, ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার স্যাম কারানও নজর কাড়তে পারলেন না। ১৩ বলে ৮ রান করেন লিভিংস্টোনের বলে আউট হয়ে ফিরলেন তিনি। একদিকে যখনꦍ পরপর উইকেট পড়ছে, তখন অপর এন্ডে লড়াই চালিয়ে গেলেন রাচিন রবীন্দ্র। কিন্তু তিনিও ৩১ বল করে যশ দয়ালের বলে ৪১ রানের মাথ🐲ায় সাজঘরে ফিরলেন। একই ওভারে শিবম দুবেকেও ফেরান সেই দয়ালই।
এরপরই চাপটা পুরোটা গিয়ে পরেছিল লোয়ার অর্ডারের ওপর। কিন্তু বলের দ্বিগুন যদি রান করতে হয়, তাহলে সেটা যে কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়ায় সেকথা বলাই বাহুল্য। এরই মধ্যে অবাক করার মতো বিষয় হল, ধোনি নিজে আট নম্বরে ব্যাট করতে না নেমে পাঠালেন রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে। ফলে হাতের নাগালের বাইরে থাকা ম্যাচ আরও দূরে চলে যেতে থাকল। ৮ বলে ১১ রান করে লিভিংস্টোনের বলে আউট হলেন অশ্বিন। জাদেজা ১৯ বলে ২৫ রান করে আউট হলেন। জোশ হেজেলউড নিলেন ৪ ওভারে ২১ র🌼ানে ৩ উইকেট। শেষ ওভারে ধোনি পরপর দুটি ছয় মারার পর শেষ বলে চারও মারলেন। করলেন ১৬ বলে ৩০ রান, কিন্তু তাতে দলের লাভ হল না। আরসিবি ম্যাচ জিতল ৫০ রানে।
শেষ কবে জিতেছিল আরসিবি?
শেষবার যখন ২১ মে, ২০০৮ সালে বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে জিতেছিল তখন বিরাটের সিনিয়র দলে অভিষেকই হয়নি। কোনও হোয়াটসঅ্যাপ চালু হয়নি তখনও। ধোনির ঝুলিতে ছিল মাত্র ১টি আইসিসি ট্রফি। রাজস্থান রয়্যালসের ক্রিকেটার বৈভব সূর্যবংশী তখনও জন্মায়নি। ভারতে চলত ২জি নেটওয়ার্ক। সোনার দাম ছিল ওই ১২৫০০ টাকার কাছাকাছি। বিরাটের স্ত্রী তখনও বলিউডে পা রাখেননি। ব্যারাক ওবামা তখন মার্কিন রাষ্ট্রপতিও হননি, ক্রিস্চিয়ানো রোনাল্ডো খেলছিলেন ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে▨। বর্তমান চেস চ্যাম্পিয়ন্স ডি গুকেশের বয়স ছিল মাত্র ২, আর ভারত তখনও একটিও ব্যক্তিগত অলিম্পিক্স সোনার পদক জেতেনি।