বলিউডের জনপ্রিয় গায়িকা অলকা ইয়াগনিকের অন্ধ ভক্ত ছিলেন ওসামা বিন লাদেন। কী শুনেই চমকে উঠলেন নাকি? তব🍒ে একথা কিন্তু ভীষণভাবেই💫 সত্যি। নিয়মিত অলকার গাওয়া গান শুনতেন লাদেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এবিষয়েই মুখ খুলেছেন কিংবদন্তী এই শিল্পী।
২০১১ সালে সেন্টཧ্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ) যখন আল-কায়েদা নামক সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের প্রধান ওসামা বিন লাদেনের অ্যাবোটাবাদের নিরাপদ বাড়িতে অভিযান চালায়, তখন তাঁর কম্পিউটার তাঁর খুঁজে পেয়েছিল। আর সেই কম্পিউটারে এদেশের জনপ্রিয় গায়ক-গায়িকা উদিত নারায়ণ, কুমার শানু ও অলকা ইয়াগনিকের গান ছিল। সেখান থেকেই জানা যায়, ওসামা বিন লাদেন অলকা ইয়াগনিকের বড় ভক্ত ছিলেন। তাঁর কম্পিউটারে অলকার ১০০টিরও বেশি গানের রেকর্ডিং ছিল। আর এই বিষয়ে ঠিক কী কী বক্তব্য অলকা ইয়াগনিকের?
কী বললেন অলকা ইয়াগনিক?
সম্প্রতি এক এক সাক্ষাৎকারে এক সাক্ষাৎকারে এই তথ্য অলকা ইয়াগনিকের কাছে তুলে ধরা হলে গায়িকা বলেন, ‘এটা কি আমার দোষ? ওসামা বিন লাদেন যা♛ই হোক, যেমনই হোক না কেন, ওর ভেতরে নিশ্চয় কোথাও না কোথাও একটা শিল্পী সত্ত্বা ছিল। তিনি যদি আমার গান পছন্দ করেন, তাহলে তো ভালোই।’
জানা যাচ্ছে, ওসামা বিন লাদেনের কম্পিউটারে অলকা ইয়াগনিকের গাওয়া ১০০টি গান ছাড়াও ছিল অজয় দেবগন-কাজলের 'পেয়ার তো হোনা হি থা' ছবির 'আজনবী মুঝকো ইতনা বাতা' গানটি, সলমন খান ও মাধুরী দীক্ষ🦄িত অভি♐নীত 'দিল তেরা আশিক' ছবির টাইটেল ট্র্যাক এবং ১৯৯৪ সালে উদিত নারায়ণের 'জানে তামান্না' ছবির 'তু চাঁদ হ্যায় পুনম কা' গানটি।
এদিকে এই একই সাক্ষাৎকার বলিউডের রাজনীতি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অলকা ইয়াগনিক। অলকা বলেন, ‘সবকিছুর মধ্যেই রাজনীতি থাকে। অনেক গান আমার 🤡কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আমার এক সহকর্মী আমার সঙ্গে খুব নোংরা রাজনীতি করেছেন। আমি গানটির মহড়াতেও গেয়েছিলাম। পরে আমি জানতে পারি যে একজন প্রবীণ শিল্পী সেই গানটি গেয়েছেন। তবে আমি এসব নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামাই নি। আমি ভীষণই পরিবার কেন্দ্রীক ছিলাম। সারাদিন কাজের পরে বাড়ি ফিরে খুশি থাকতাম। আমি যে গানগুলিই গেয়েছি মন দিয়ে গেয়েছি। আমি আমার কাজের ক্ষেত্রে আমি আত্ম-বিশ্লেষণকারী, আত্ম-সমালোচক ছিলাম। এমনকি যখন গাড়িতে যেতে যেতে কোনও রেডিও চ্যানেলে আমার গান বাজত, যদি তাতে ভুল খুঁজে পেতাম, তখন ড্রাইভারকে সেই চ্যানেলটাই বদলে দিতে বলতাম।’