বাঙালি ইউটিউবার হিসেবে জনপ্রিয়তার নিরিখে প্রথম দিকেই নাম আসে ঝিলম গুপ্তার। বিভিন্ন সিরিয়াল হোক বা সামাজিক কোনও বড় ইস্যু, ঝিলম গুপ্তা সবকিছুরই চুলচেরা বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা রাখেন। তবে সেটা নিজস্ব হাস্যরস মিশিয়ে। আর তাই তো ভিডিয়ো পোস্ট করতে না করতেই সেগুলো ভাইরাল হয়। ভিউজ ছাড়িয়ে যায় লাখের গণ্ডি।🎉 আরও পড়ুন-বচ্চনের নাতির সঙ্গে প্রেম জমে ক্ষীর! অগস্ত্যর বাহুলগ্না সুহানা, সামনে এল দেখা ছবি
🌄ঝিকিমিকি টুম্পা খ্যাত এই সমাজমাধ্যম প্রভাবী হতাশায় সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়ার ঘোষণা করেছিলেন গত বছর জুন মাসে। পরে অবশ্য অকাল অবসর ভেঙে ফিরে আসেন ঝিলম। ২০২৪ সাল তাঁর জন্য ওঠাপড়ায় ভরপুর ছিল। বছরশেষে আর নতুন বছরের শুরুতে নতুন উপলব্ধি ঝিলমের। ফেসবুকে দীর্ঘ পোস্টে সেই কথা জানান তিনি।
🦩ফেসবুকের দেওয়ালে গত বছরের সঞ্চিত অভিজ্ঞতা নিয়ে ঝিলম লেখেন, ‘আপনি যে কারণেই হোক, একটু জনপ্রিয় হলে আপনার সামনের অনেকগুলো দরজা নিজে থেকেই খুলে যাবে। টাকা থাকলেই হয় না, আপনার যে টাকা আছে, সেটা হাবে ভাবে ও পরিচ্ছদের মাধ্যমে বিলক্ষণ বুঝিয়ে দিতে হবে। আপনি যতই প্রতিভাবান হোন, টাকার থেকে বড় প্রতিভা দুটি নেই, এটাই সমাজ মনে করে।আপনি একটা কাজের জন্য কতটা ভরসাযোগ্য তা নির্ভর করে আপনার কাজের দক্ষতার ওপর, তবে তার সাথে নির্ভর করে আপনার হাতের মোবাইলটির ওপর। আপনি যদি হাতে একটি সস্তার লাভা কোম্পানির ফোন নিয়ে ক্লায়েন্ট মিটিং করেন আর আপনার থেকে কম দক্ষ কেউ যদি ক্লায়েন্টের সাথে আইফোন হাতে কথা বলে, তাহলে নিশ্চিত জেনে রাখুন, কাজটি ওই আইফোনওয়ালা লোকটি পাবে।’
💞তিনি আরও লেখেন, ‘একদিন যাদের অনুনয় করে বলতাম, আমার ইউটিউব চ্যানেল প্লিজ সাবস্ক্রাইব করে দেবে? তারা তখন আমার দিকে তাকিয়ে কথা পর্যন্ত বলতনা, আর আজ তারাই আমার সাথে সমীহ করে কথা বলে। নিজের যোগ্যতায় সামনের লোকের ব্যবহার বদলে ফেলাকেই পাওয়ার বলে। নিজেকে সম্মান দিলে সামনের লোকের সম্মান আদায় করে নেওয়া যায়। খুব দামী পোশাক লাগেনা, তবে পরিচ্ছন্ন পোশাক, হাসিমুখ, সহজ কথা আর আত্মবিশ্বাস দিয়ে অনেক ক্ষেত্রে জয়ী হওয়া যায়। অন্যের মতের ওপর নিজের মত চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা অতি কুৎসিত একটা প্র্যাকটিস। এটা যারা করে, তাদের খুব খারাপ দেখতে লাগে। বাপেরও বাপ থাকে। যে লোককে অনেকেই তার মেজাজের জন্য সমীহ করে বা ভয়ভক্তি করে চলে, জানবেন সেও তার চেয়ে ধনী আর ক্ষমতাবান লোকের সামনে ন্যাতানো সরীসৃপের মতো আচরণ করে। তাই, সমাজের যে কোন মানুষের সঙ্গে সুন্দর ব্যবহার করুন, তবে কাওকেই দেবতাজ্ঞানে পুজো করার দরকার নেই। বন্ধু নামের অনেকেই আপনার সাথে জেনেশুনে খারাপ ব্যবহার করবে। বুঝেই করবে। কিন্তু আপনি প্রতিবাদ করলে তারা ভাব দেখাবে যেন অন্যায় আপনিই করেছেন। তাই বন্ধুবেশী কীটদের ত্যাগ করুন। নতুন বছরকে স্বাগত জানান আনন্দের সাথে। এই আনন্দ ভাগ করে নিন প্রিয়জনের সঙ্গে। সুস্থ আর সুন্দর থাকুন। নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাই’।