২৭ বছর পর ফের দিল্লিতে পদ্ম ফুটতে চলেছে। এই নির্বাচনের প্রাক্কালে দিল্লির জনগণের কাছে 'সততার শংসাপত্র' চেয়েছিলেন। তবে এই ভোটের ফলাফলে মনে হচ্ছে, কেজরির সেই 'আর্জি' খারিজ হয়েছে। আদতে আপ-এর যে 'বড়' নেতারা দুর্নীতির অভিযোগে জেলে গিয়েছিলেন, তাঁরা হেরেছেন। অরবিন্দ কেজরিওয়াল, মণীশ সিসোদিয়া, সত্যেন্দ্র জৈনরা হেরেছেন। অবশ্য নিজের আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইতে জিততে পেরেছেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী অতিশী। উল্লেখ্য, এর আগে জেলে থাকাকালীনও মুখ্যমন্ত্রিত্ব ত্যাগ করেননি কেজরিওয়াল। তবে জেল থেকে জামিনে ছাড়া পাওয়ার পরে অতিশীকে মুখ্যমন্ত্রী করেন কেজরিওয়াল। তখন তিনি দাবি করেছিলেন, ফের নির্বাচনে জিতলে তিনি মুখ্যমন্ত্রী হবেন। সেই নির্বাচনকেই 'সততার সার্টিফিকেট' হিসেবে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন কেজরিওয়াল। তবে তাঁর দল এই নির্বাচনে জেতেনি। তিনি নিজেই নয়াদিল্লি থেকে হেরেছেন। (আরও পড়ুন: দলীয় কর্মীরা যেন বঙ্গবন্ধুর মূর্তি না ভাঙেন, পর🌊োক্ষ নির্দেশিকা BNP-র)
আরও পড়ুন: কী কারণে হা📖র? দিল্লির ফল নিয়ে প্রশ্নের মুখে কেজরি ঘনিষ্ঠ সিসোদিয়া বললেন...
আরও পড়ুন: ‘ব্যক্🌄ত𝓡িগত লাভের জন্য লড়িনি’,CM হওয়ার দৌড়ে থাকা রমেশ বিধুরী হারলেন অতিশীর কাছে
উল্লেখ্য, বিগত একদশকে দিল্লির গদিতে ছিল কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। ২০১৫ এবং ২০২০ সালের ভোটে তো কার্যত ঝাড় ঝড় তুলেছিল তারা। তবে ২০২৫ সালের নির্বাচনের আগে একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছিল কেজরিকে। নিজে তিনি আবগারি দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত। এর জন্যে তিনি জেলে পর্যন্ত গিয়েছেন। এর আগে দুর্নীতির দায়ে আপ হেভিওয়েট মণীশ সিসোদিয়া, সত্যেন্দ্র জৈনরা জেলে গিয়েছিলেন। যে আপ দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্যে জন্ম নিয়েছিল, তারাই দুর্নীতির অভিযোগে জর্জরিত হয়ে পড়েছিল। এই আবহে এই নির্বাচনে পদ্মপাঁকে আটকে যায় ঝড় থেমেছে ঝাড়ুর। (আরও পড়ুন: মদের ইস্যুতে ভেসে গেলেন কেজ♊রিওয়াল? AAP নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য আন্না হাজার𓄧ের)
আরও পড়ুন: ইউনুস বিরোধীদ🎶ের ꧃সাথে ষড়যন্ত্র প্রাক্তন IGP-র? বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন বলল…
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, বর্তমানে বিজেপি দিল্লির ৪৯টি আসনে এগিয়ে আছে, যা কি না ম্যাজিক ফিগারের থেকে ১৩টি আসন বেশি।🎃 এদিকে আম আদমি পার্টি এগিয়ে ২১টি আসনে। কংগ্রেস এখনও শূন্যে দাঁড়িয়ে। আম আদমি পার্টির হেভিওয়েট নেতা - সৌরভ ভারদ্বাজ, সত্যেন্দ্র জৈনরা পিছিয়ে আছেন নিজেদের আসনে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিজে নয়াদিল্লি আসন থেকে হেরে গিয়েছেন। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের নির্বাচনে এই নয়াদিল্লি আসনেই তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতকে হারিয়েছিলেন কেজরিওয়াল। সেই আসনে তিনি নিজে পিছিয়ে। এই আবহে বিজেপি ২৭ বছর পর ফের একবার দিল্লিতে ক্ষমতা দখল করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।