আবারও প্রযুক্ত🅠ি ও বিজ্ঞান সাধনার দৌড়ে কামাল করে দেখাল জাপান। তথ্য বলছে, সেদেশের 'ওয়েস্ট জাপান রেলওয়ে কোম্পানি' আস্ত এ🦩কটি থ্রিডি-প্রিন্টেড রেলস্টেশন নির্মাণ করে ফেলেছে! এই কাজ করা হয়েছে আরিদা শহরে। তথ্যাভিজ্ঞ মহল বলছে - রেলের পরিকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে 'ইনোভেশন' বা অত্যাধুনিক নয়া আবিষ্কারকে যে কোন পর্যায়ে উন্নীত করা যায়, তারই প্রমাণ পেশ করল এশিয়ার এই ছোট্ট দেশ।
নিউ ইয়র্ক টাইমস-এ এই সংক্রান্ত যে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে, সেই অনুসারে - এই জায়গায় বহু প্রাচীন একটি রেল স্টেশন রয়েছে। যা কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল সেই ১৯৪৮ সালে। পুরোনো সেই পরিকাঠামো বদলে ফেলতে এবং সংশ্লিষ্ট হাৎসুশিমা রেলস্টেশনকে নতুন করে সাজাতেই এই নয়া প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এবং এর জন্য অ্য়াসেম্বল বা পরিকাঠামো সংযুক্তিকরণের সমꦆয় লেগেছে মাত্র ৬ ঘণ্টা! এবং সেই গোটা পর্বটিই সারা হয়েছে স্টেশন চত্বরেই!
তথ্য বলছে, প্রাচীন এই স্টেশনটি ২০১৮ সালেই𒁃 সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রি﷽য় ব্যবস্থাপনার অধীনে চলে গিয়েছিল। প্রতিদিন এই স্টেশন হয়ে যাতায়াত করেন প্রায় ৫৩০ জন যাত্রী। প্রতি ঘণ্টায় এই স্টেশনের উপর একটি থেকে তিনটি ট্রেন যাতায়াত করে।
থ্রিডি-প্রিন্টেড রেলওয়ে স্টেশন নির্মাণ করার জন্য এখানে কর্তৃপক্ষের তরফে 'প্রিফ্যাব্রিকেটেড কম্পোনেন্ট' ব্যবহার করা হয়েছে। এই কাজের বরাত দেওয়া൩ হয়েছিল সেরেনডিক্স নামে একটি সং꧃স্থাকে।
এই সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, তারা কার্যত সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এই ভোলবদ🍌ল ঘটিয়েছে। এক্ষেত্রে প্রাথমিক ধাপ ছিল প্রিন্টিংয়ের সমস্ত কাজ শেষ করা এবং সেই অনুসারে কংক্রিটের যাবতীয় সরঞ্জাম নির্মাণ ♌করে ফেলা। সেই কাজ করতে সময় লেগেছে সাত দিন। কিউশু দ্বীপের একটি কারখানায় সেই কাজ করা হয়। এরপর গত ২৪ মার্চ বিকেলে সেই সমস্ত সরঞ্জাম স্টেশন চত্বরে নিয়ে আসা হয়।
সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা কুনিহিরো হান্ডা বলেন, 'সাধারণত এই ধরনের নির্মাণকাজ সম্পন্ন করতে কয়েক মাস সময় লেগে যায়। রাতে যখন ট্রেন চ꧟লে না, তখন এই কাজ করা হয়।'
হান্ডা জানান, এই বিষয়ে নিয়ম অত্যন্ত কড়া। নির্মাণকাজ বা সংস্কারের ফলে যাতে কোনওভাবেই রোজের ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত না হয়, ꧑সেটা নিশ্চিত করেই কাজ করতে হয়। কিন্তু, এক্ষেত্রে মাত্র ৬ ঘণ্টায় অ্যাসেম্বলিং-এর কাজ সারা হয়েছে।
গত ২৪ মার্চ যখনই ট্রাকে করে সরঞ্জাম স্টেশনে পৌঁছয়, ঐতিহাসিক এই স্থাপত্য নির্মাণের সাক্ষী থাকতে স্থানীয় বাসিন্দাไরা একে একে সেখানে জড়ো হন। ওই দিন রাত ১১টা বেজে ৫৭ মিনিটে এই স্টেশন থেকে সেদিনের শেষ ট্রেনটি চলে যায়। সঙ্গে সঙ্গে কাজে নেমে যান দক্ষ শ্রমিকরা।
প্রথমেই তাঁরা ক্রেনের সাহায্যে আগে থেকে প্রিন্ট করা মোটরভিত্তিক সরঞ্জামগুলি নামিয়ে আনেন। তারপর সেগুলিকে যথাস্থানে বসিয়ে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে জুড়ে দেন। পুরোনো স্টেশনের মাত্র কয়েক ফুট দূরেই নতুন পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়। প✅রের দিন ভোর ৫টা বেজে 🅰৪৫ মিনিটে যখন সেদিনের প্রথম ট্রেন স্টেশনে পৌঁছয়, ততক্ষণ নয়া স্টেশন তৈরির কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে!
তবে, এখনও এই স্টেশনে নয়া প্রযুক্তির টিকিট মেশিন, আইসি কার্ড রিডার ইত্যাদি বসানো হ🦄য়নি। কর্তৃপক্ষের আশা, সেই সমস্ত কাজ শেষ করে আগামী জুলাই মাসেই এই থ্রিডি-প্রিন্টেড রেল স্টেশন পুরো দমে পরিষেবা প্রদানের জন্য খুলে দেওয়া যাবে।