🌜 লন্ডন থেকে মুম্বই আসছিল ভার্জিন আটলান্টিকা নামক একটি সংস্থার বিমান। তাতে ছিলেন ২০০ জনের বেশি ভারতীয়। মাঝআকাশে এক যাত্রী আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসার জন্য বিমানটিকে জরুরি অবতরণ করাতে হয় তুরস্কের এক বিমানবন্দরে। যার মাঝপথে ঘন্টার পর ঘন্টা আটকে ২০০ জনের বেশি ভারতীয় যাত্রী। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও ওই বিমানটিকে তুরস্ক বিমানবন্দর থেকে মুম্বইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ানো সম্ভব হয়নি। যাত্রীদের দাবি, ১৮ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে, এখনও তাঁরা ওই বিমানবন্দরে আটকে আছেন। তাঁদের যথাযথ সুবিধা ও পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে না। সব মিলিয়ে ঘন্টায় ঘন্টায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।
𝓡জানা গিয়েছে, জরুরি অবতরণের সময় বিমানটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। পাশাপাশি তুরস্কের যে বিমানবন্দরে বিমানটিকে অবতরণ করানো হয়, সেখানে বিমান পরিচালনা করার মতো উপযুক্ত পরিবেশ নেই। যাত্রীদের অভিযোগ, তাঁরা সেখানে অত্যন্ত খারাপ পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন। নেই পর্যাপ্ত খাবার, নেই পানীয় জল, বিশ্রামের জায়গারও অভাব বিস্তর। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় এক যাত্রী বলেন, ‘প্রায় ১৮ ঘণ্টা ধরে এই বিমানবন্দরে আটকে রয়েছি। কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না। যে টার্মিনালে আমরা রয়েছি, সেখানে পর্যাপ্ত জল, খাবার নেই। বিশ্রাম নেওয়ার জায়গার অভাব। ছোট বাচ্চা, মহিলা এবং বয়স্ক ব্যক্তি রয়েছেন। তাঁরাও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।’এই ঘটনার জেরে যাত্রীদের মধ্যে ক্রমশ ক্ষোভ বাড়ছে।
🧔এদিকে, যাত্রীদের এই দুর্ভোগ দূর করতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। আটকে থাকা যাত্রীদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সত্যম সুরানা নামে এক যাত্রী জানান, 'মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য একজন নোডাল অফিসারও নিয়োগ করেছে।' তবে কবে নাগাদ বিমানটি আবার মুম্বইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে, সে বিষয়ে এখনও কোনও নিশ্চয়তা মেলেনি।
🅘এভাবে বিমানবন্দরে আটকে থাকার ঘটনা নতুন নয়। গত বছর ডিসেম্বরে প্রায় ১৮ ঘণ্টা ধরে তুরস্কের ইস্তানবুল বিমানবন্দরে আটকে ছিলেন ৪০০-এর বেশি ভারতীয় যাত্রী। সমালোচনার মুখে পড়ে যাত্রীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে বিবৃতি দেয় ‘ইন্ডিগো’। তবে কী কারণে বিমান ছাড়তে বিলম্ব হচ্ছে, তার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি তাদের তরফে।