আবারও খাবার নিয়ে বিতর্ক মহারাষ্ট্রে। আমিষ খাবারকে 'নোংরা' বলার অভিযোগে মারাঠি এবং গুজরাটি সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের মধ্যে বিবাদে উত্তেজনা ছড়িয়েছে মুম্বইয়ের এক সোসাইটিতে। শেষ পর্যন্ত পুলিশের হস্তক্ষেপে নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। ইতিমধ্যে ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঘটনাটি ঘটেছে ঘাটকোপরে শ্রী শম্ভু দর্শন সোসাইটিতে। (আরও পড়ুন: 'ওয়াকফ তো অজুহাত মাত্র, উদ্দেশ্য কাফেরদের নির্ম🀅ূল ⭕করা', বিস্ফোরক BJP MLA)
জানা গেছে, শ্রী শম্ভু দর্শন সোসাইটি নামে ঘাটকোপরের ওই হাউজিংয়ে বেশিরভাগ গুজরাটি সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করেন। গুজরাটির পাশাপাশি মাড়োয়ারি এবং জৈন পরিবারের একাধিপত্য রয়েছে ওই সোসাইটিতে। মাত্র ৪টি পরিবার সেখানে মারাঠি সম্প্রদায় ভুক্ত।অভিযোগ, সেখানে এক মারাঠি পরিবারকে, তাঁদের খাদ্যাভাসের জন্য অপমান করা হয়। ওই মারাঠি পরিবারকে মাছ, মাংস রান্না করতে বাধা দেওয়া হয় এবং তাঁদেরকে নোংরা বলেও করা হয় কটাক্ষ। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই উত্তেজনা ছড়াতে শুরু করে।ওই ঘটনার পরই ঘাটকোপরের ওই সোসাইটিতে হাজির হয় মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা। এমএনএসের তরফে জানানো হয়, ম𒉰হারাষ্ট্রে থেকে ব্যবসা করতে হলে মারাঠিদের সম্মান করতে হবে🏅। শুধু তাই নয়, মাত্র ৪টি মারাঠি পরিবার ওই সোসাইটিতে থাকায়, তাঁদের অপমান কেউ করতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: ভারতে টেসলা-স্টারলিংক আসা নিয়ে জল্পনা, এরই মাꦐঝে মাস্কের সঙ্গে আজ কথা বললেন মোদী
এমএনএস নেতা রাজ পার্তে বলেন, মারাঠি পরিবারগুলিকে নোংরা বলে মন্তব্য করা হয়েছে। এবং বাড়িতে মাংস ও মাছ রান্না করতে বাধা দেওয়া হয়েছে।সোসাইটির এক বাসিন্দা বলেন, অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে কী খেতে হবে তার উপর কোনও বিধিনিষেধ নেই। তবে রাজ পার্তে জোর দিয়ে বলেন যে, কারও অন্যের খাদ্যাভ্যাস ঠিক করে দেওয়া উচিত নয়, বিশেষ করে মুম্বইয়ের মতো শহর🥃ে। অন্যদিকে, খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ।তবে কোনও আনুষ্ঠানিক কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।এক পুলিশ আধিকারিক জানান, 'মিঃ রেঞ্জ কমিটির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং হেরে যান। তারপর থেকে সোসাইটিতে দুটি গোষ্ঠীর আবির্ভাব ঘটেছে। আমরা উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলব এবং এই অভ্যন্তরীণ বিষয়টির সমাধান করব।' প্রসঙ্গত এই প্রথম নয়। এর আগেও মুম্বইতে আমিষ, নিরামিষ খাবার নিয়ে 🦹বিবাদের খবর প্রকাশ্যে এসেছে।