ছাত্র বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠল ওডিশা ভুবনে🔯শ্বরের 'কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজꦫি ইউনিভার্সিটি' (কেআইআইটি)। সোমবারের এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে একটি অপমৃত্যু। রবিবার সন্ধেয় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হস্টেলের ঘর থেকে এক ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ২০ বছরের ওই তরুণী ছিলেন নেপালের বাসিন্দা।
এই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার কয়েকশো ছাত্রছাত্রী একজোট হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ও সংলগ্ন রাস্তা একেবারে অবরুদ্ধ করে দেন। তাঁদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতেই এক সহপౠাঠীকে হারিয়েছেন তাঁরা।
কারণ, ওই ছাত্রীকে দীর্ঘদিন ধরেই হেনস্থা করা হচ্ꦐছিল বলে অভিযোগ। এমনকী, মাস খানেক আগে♕ তিনি এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগও করেছিলেন। কিন্তু, কর্তৃপক্ষ কোনও পদক্ষেপ করেনি। যার খেসারত নিজের প্রাণ বলি দিয়ে চোকাতে হল ওই ছাত্রীকে।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, ওই ছাত্রী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। ভুবনেশ্বরের ডিসিপি পিনাক মিশ্র জানিয়েছেন, এই ঘটনায় অদ্ভিক শ্রীবাস্তব না✨মে এক যুবকের নাম জড়িয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, তাঁর জন্যই নাকি নেপাল থেকে পড়তে আসা ও🌊ই তরুণী আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। ওই অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই পাকড়াও করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের দাবি, গত কয়েক মাস ধরে লাগাতার ওই তরুণীকে হেনস্থা করছিলেন অদ্ভিক। যার জꦉেরে ওই তরুণী আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অভিযোগও জানান। কিন্তু, ওই তরুণী কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনও সহযোগিতা বা সাহায্য পাননি।
ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে নেপাল থেকে পড়তে আসা আরও পড়ুয়ারা রয়েছেন। তাঁরা এই ঘটনার নিরপেক্ষ🍌 ও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত এবং অভিযুক্তের গ্রেﷺফতারি দাবি করেছেন। এই প্রেক্ষাপটে নেপালি পড়ুয়াদের সঙ্গে সহানুভূতির সঙ্গে কথা বলার বদলে সমস্ত নেপালি পড়ুয়াকেই ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ!
সেই নির্দেশিকায় লেখা হয়েছে, 'এই বিশ্ববিদ্যালয় নেপাল থেকে আসা 🎉সমস্ত আন্তর্জাতিক পড়ুয়ার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল। তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, আজকের মধ্যেই (১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যেতে হবে।'
এখানেই শেষ নয়। সংবাদমাধ্যমের♎ প্রতিনিধিদের বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার জ্ঞানরঞ্জন মোহান্তি জানিয়েছেন, নিহত ছাত্রীর সঙ্গে ন𝓡াকি অভিযুক্তের প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
তিনি বলেন, 'ওই তরুণী হস্টেলে 😼থাকতেন এবং তাঁর সঙ♛্গীর সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরেই চরম পদক্ষেপ করেছেন। তাঁর ঘরটি সিল করে দেওয়া হয়েছে এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের খবর পাঠানো হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।'
পুলিশে𒈔র তরফেও জানানো হয়েছে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এদি༒কে, সোশাল মিডিয়ায় একটি অডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। যা নিহত তরুণী ও অভিযুক্তের বলে দাবি করা হচ্ছে (হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ওই অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি)।
সেই দাবি অনুসারে, ওই অডিয়ো ক্লিপে অভিযুক্ত যুবককে নিহত তরুণীর উদ্দেশে অশালীন🦹 মন্তব্য করতে এবং তাঁকে চরম অপমান করতে শোনা গিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, এই♔♑ প্রেক্ষাপটে 'পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতেই সমস্ত নেপালি ছাত্রছাত্রীকে তাঁদের বাড়ি ফেরত পাঠানো হচ্ছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। '
যদিও নেপালি পড়ুয়ারা বলছেন, তাঁদের জোর করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে এবং যাতায়াতꦆের কোনও ব্যবস্থা না করেই তাঁদের বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে।
নেপাল থেকে আসা এক পড⛄়ুয়া সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'আমাদের কোনও ট্রেনের টিকিট ও ꩲকোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। আমাদের কেবলমাত্র হস্টেলের বাসে তুলে দেওয়া হয়েছে এবং কটক রেলস্টেশনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, আমরা যেন যত দ্রুত সম্ভব বাড়ি ফিরে যাই। কর্মীরা হস্টেলে ঢুকে পড়েন এবং আমাদের হস্টেল ছাড়তে বাধ্য করেন। এমনকী, যারা গোছগাছ করতে সময় নিচ্ছিলেন, তাঁদের ওই কর্মীরা মারধরও করেন।'