অসাংবꦕিধানিক এবং অমানবিক- এভাবেই উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকারের বুলডোজার নীতির তীব্র নিন্দা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার প্রয়াগরাজে বাড়ি ভাঙার মামলায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। প্রয়াগরাজ প্রশাসন এবং যোগী আদিত্যনাথ সরকারের সমালোচনা করে সুপ্রিম কোꩵর্ট ক্ষতিগ্রস্তদের ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছে। সেইসঙ্গে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যে ‘দেশে আইনের শাসন আছে।’
আরও পড়ুন-Sp🌱aceX: মহাকাশে মাশরুম চাষ! প্রথম মে🎉রু কক্ষপথে ইলনের মানব মহাকাশযান
বিতর্কের সূত্রপাত প্রয়াগরাজ প্রশাসনের একটি পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে। সেখানকার একটি প্লটে চার-পাঁচ জনের বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে রয়েছেন এক জন আইনজীবী এবং অধ্যাপকও। অভিযোগ যথাযথ প্রক্রিয়া অবলম্বন না করেই তাঁদের বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়। কেন তাঁদের বাড়ি ভাঙা হয়েছিল? তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মামলাকারীদের আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেলদের বাড়ি যে জমিতে ছিল, প্রশা🐠সন তা ভুল করে নিহত গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের বলে চিহ্নিত করেছিল। তারপরই ওই বাড়িগুলি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এমনকি, বাড়ি ভাঙার কথা তাঁর মক্কেলদের জানানো হয় মাত্র একদিন আগে।
এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি এএস ওখা এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়ার বেঞ্চ বলেছে, ‘এভাবে কারও বাড়ি ভেঙে ফেলা হলে, তা আমাদের বিবেককে নাড়া দেয়। বাসস্থানের অধিকার বা এ ব্যাপারে আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া কিছু আছে। এই ক্ষেত্রে সেই সব ক🥂িছুই মানা হয়নি। যা সম্পূর্ণ সংবেদনশীলতার অভাব।’
বাড়ি ভাঙার প্রক্রিয়া অবৈধ বলে দাবি করে ভুক্তভোগীরা প্রথমে এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। যদিও সেখান꧂ে তাঁদের আবেদন খারিজ হয়। তারপরই মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। সুপ্রিম কোর্ট সরকারের এ ধরনের পদক্ষেপের সমালোচনা করে। প্রশ্ন তোলে, প্রশাসনের নোটিস পাঠানোর প্রক্রিয়া নিয়েও। বিচারপতি ওকা বলেন, ‘বাড়ি ভাঙার ফলে মামলাকারীরা তাঁদের মাথার উপর ছাদ হারিয়েছেন। ২০২১ সালে আইনের না পরোয়া করে যাদের বাড়ি ভাঙা হয়েছিল, সেই প্রয়🃏াগরাজের লুকারঞ্জের বাসিন্দা এক আইনজীবী, এক অধ্যাপক এবং দুজন মহিলাকে বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার ক্ষতিপূরণ হিসাবে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে প্রয়াগরাজ প্রশাসন। শুধু তাই নয়, কর্তৃপক্ষের উচিত সর্বদা যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা।’
শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘যাদের বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে, ত🔥াঁদের পাঠানো নোটিসের জবাবের সুযোগ দেওয়া হয়নি।’ পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, কোনও বাড়ি ভেঙে ফেলার আগে কর্তৃপক্ষের অবশ্যই মনে রাখতে হবে সকল নাগরিকের বাসস্থানের অধিকারের কথা সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লেখ রয়েছে।
আরও পড়ুন-SpaceX: মহাকাশে মাশরুম চাষ! প্রথম মেরু🅘 কক্ষপথে ইলনের মানব মহাকাশযান
মাঝে একটি শুনানি শেষে উত্তরপ্রদেশ-সহ দেশের একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্যে বুলডোজার নীতির নিন্দা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। আদালত জানায়, রাজ্য প্রশাসনের🍌 কোনও অধিকার নেই বিচারকের ভূমিকায় বসে অভিযুক্তর বিচার সম্পন্ন হওয়ার আগেই বেসরকারি ও বাণিজ্যিক সম্পত্তিকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার। এইসঙ্গে শীর্ষ আদালত বেআইনি ও দখলীকৃত নির্মাণ ধ্বংসের ক্ষেত্রে গাইডলাইন বেঁধে দিয়েছিল। জানানো হয়েছিল, বাড়ি ভাঙার কমপক্ষে ১৫ দিন আগে নোটিস দিতে হবে।