বিগত বেশ কয়েক দিন ধরেই বাংলার কয়েকটি জায়গায় সংঘর্ষ বেঁধেছে দুই সম্প্রদায়ের। হোলির সময় থেকে বীরভূমের সাঁইথিয়া, নানুরে হিংসা ছড়িয়েছিল। এরপর সম্প্রতি আবার মালদার মোথাবাড়ি থেকে মুর্শিদাবাদের নওদায় হিংসা ছড়িয়েছে। এই সবের মাঝেই বাংলায় মেরুকরণের রাজনীতির পালে যেন আরও হওয়া লেগেছে। এহেন পরিস্থিতিতে তৃণমূলের অভিযোগ, এই সাম্প্রদায়িক হিংসাই নাকি বিজেপির 'হাতিয়ার' হতে চলেছে। এই আবহে তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য সতর্ক করে দিলেন রাজ্যবসীকে। সঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের একটি ঘটনা তুলে ধরেন দেবাংশু। (আরও পড়ুন: 🌳এপ্রিলের শুরুতে কমল রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম, জানুন কলকাতায় LPG-র রেট)
আরও পড়ুন: ♍বিমসটেক বৈঠক নিয়ে ঝুলিয়ে রেখেই ৬ দিনে ইউনুসকে দ্বিতীয় চিঠি মোদীর, এবার বার্তা...
৩১ মার্চ রাতের দিকে গঙ্গারামপুরে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শংকর সরকার একটি ফেসবুক পোস্ট করেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়াতে নাকি বিজেপিরই দুই কর্মী ভগবানের মূর্তি ভাঙতে পৌঁছে গিয়েছিল শ্মসানে। সেই পোস্টটি আবার দেবাংশু শেয়ার করেছেন। পোস্টে শংকর লিখছেন, 'শান্তির বাংলার অশান্তি ছড়াতে বিজেপির প্রধান হাতিয়ার হিন্দু মুসলিম গন্ডগোল বাঁধানো অথবা ঠাকুরের মূর্তি ভেঙে সেটা নিয়ে অশান্তি ছড়ানো। আজ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর পৌরসভার অন্তর্গত শিববাড়ি মহা শ্মশানে ঠাকুরের মূর্তি ভাঙতে গিয়ে হাতে নাতে ধরা পড়লো বিজেপির দুই দুষ্কৃতি।' (আরও পড়ুন: 🎶বদল ব্যাঙ্কের মিনিমাম ব্যালেন্স, UPI থেকে আয়করে! পকেটে প্রভাব ফেলবে যে সব নিয়ম)
🐷এরপর তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আরও লেখেন, 'এবার বুঝতে পারছেন বিজেপির নোংরা রাজনীতির পরিণাম? নিজেদের নোংরা উদ্দ্যেশ্য চরিতার্থ করার জন্যে দেবদেবীকেও এরা ছাড়ছে না।' সেই পোস্টটি ফেসবুকে শেয়ার করে দেবাংশু আবার লেখেন, 'দেখুন। সাবধান হন।' এদিকে পোস্ট করা ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে একজন প্রৌঢ় এবং এক যুবককে মারছে কয়েকজন। তাদের বিরুদ্ধে মূর্তি ভাঙার অভিযোগ করা হয়। যদিও তারা সেই অভিযোগ অস্বীকার করে। তার মধ্যে প্রৌঢ় দাবি করেন, তিনি সেখানে শৌচকর্ম করতে গিয়েছিলেন।
ꦡএদিকে এই সবের মাঝে গতকাল মোথাবাড়ির হিংসার ঘটনা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দাগেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। ৩১ মার্চ ইদ উপলক্ষে রেড রোডের মঞ্চ থেকে সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে বিজেপিকে তোপ দেগেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারই জবাবে মোথাবাড়ি নিয়ে পালটা প্রশ্নবাণ ছুড়ে দেন সুকান্ত। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যে হিংসা ছড়ানোর জন্যে দায়ী তৃণমূল কংগ্রেস। এই আবহে মোথাবাড়ির ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি তোলেন সুকান্ত।
ܫসুকান্ত মজুমদার বার্তাসংস্থা এএনআইকে আজ বলেন, 'দাঙ্গা তো তৃণমূল করাচ্ছে। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে প্রশ্ন করতে চাই, মোথাবাড়িতে হিংসার ঘটনার ভিডিয়ো এখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় উপলব্ধ আছে... যারা হিন্দু দেবদেবী, ভগবান রামকে নিয়ে অপশব্দ প্রয়োগ করেছে, হিন্দুদের বাড়ি পোড়ানো হয়েছে, থানায় আগুন লাগানোর চেষ্টা হয়েছে, এখনও প্রমাণ আছে। তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলুক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুষণের রাজনীতি করে। সিপিএমও তোষণের রাজনীতি করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সিপিএম একই সঙ্গে।'