১০ বছর আগে ফাঁকা বাড়িতে একা পেয়ে এক শিশুকে ধর্ষণের মামলায় প্রতিবেশী যুবককে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করল আদালত। শুক্রবার হাওড়ার পকসো আদালতের বিচারক অভিযুক্ত যুবককে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার সাজা শুনিয়েছেন। পকসো আইনে অভিযুক্তর সাজা ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান মুখ্য সরকারি আইনজীবী সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। (আরও পড়ুন: 💧দক্ষিণবঙ্গে পারদ চড়বে আরও, দক্ষিণ ২৪ পরগনা সহ একাধিক জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা)
আরও পড়ুনꦫ: ‘সিট খালি ছিল', তাই পুলিশের কপ্টারে ধর্ষিতা বালিকার জানাজায় যান, সাফাই সারজিসের
♐মামলার বয়ান অনুযায়ী, ঘটনাটি ২০১৫ সালের ৩০ জুলাইয়ের। ওইদিন বাড়িতে একা ছিল ৯ বছরের শিশু। তখন তার বাড়িতে ঢোকে অভিযুক্ত যুবক আমন পাসোয়ান। বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগে আমন ওই শিশুকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ঘটনায় গোটা বিছানার চাদর শিশুর রক্তে ভিজে যায়। ঠিক সেই সময় প্রতিবেশী আরেক মহিলা শিশুটির বাড়িতে আসে। তিনি এই দৃশ্য দেখে আঁতকে ওঠেন। ততক্ষণে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। এদিকে, ওই মহিলা মেয়েটির মাকে খবর দিলে তিনি বাড়িতে এসে সঙ্গে সঙ্গে মেয়েকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। অভিযুক্ত যুবকের বাবাও ছুটে যান হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসা চলে শিশুর। পরে নির্যাতিতার মা হাওড়া মহিলা থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। এর ভিত্তিতে পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (২)(i) এবং পসকো আইনের ৬ নম্বর ধারায় চার্জশিট জমা দেয় আদালতে।
📖পরে আদালত চার্জগঠন করে। মুখ্য সরকারী আইনজীবী সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মামলায় মোট ১৪ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন, যার মধ্যে সরকার পক্ষের চারজন এবং আসামিপক্ষের ১০ জন সাক্ষ্য দেন। সমস্ত কিছু ক্ষতিয়ে দেখার পর আদালত অভিযুক্ত যুবকের দোষ খুঁজে পায়। পকসো আদালতের বিচারক মধুচ্ছন্দা বোস অভিযুক্ত যুবককে পসকো আইনের ৬ নম্বর ধারায় দোষী সাব্যস্ত করেন। এরপর শুক্রবার সাজা ঘোষণা করেন। আদালত নির্দেশ দিয়েছে অভিযুক্ত যুবক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে না পারলে অনাদায়ে আরও এক বছর অতিরিক্ত জেল খাটতে হবে। এছাড়াও আদালত রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে শিশুকে ক্ষতিপূরণবাবদ ৫ লক্ষ টাকা দিতে হবে। আদালতের রায়ে খুশি নির্যাতিতার পরিবার।