ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই রাজ্যের ভোটার তালিকা থেকে সমস্ত 'ভূতুড়ে ভোটার' চিহ্নিত করে, তাঁদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার বিষয়টি যাতে পাকা করা যায়, তা নিশ্চিত ক🐠রতে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। এই প্রেক্ষাপটে দলের অস্বস্তি বাড়ালেন নদিয়ার চাকদার তৃণমূল কাউন্সিলর সত্যজিৎ বিশ্বা🧸স ওরফে সাধন।
কারণ - তাঁর বিরুদ্ধে 🉐অভিযোগ হল, চাকদার বাসিন্দা হওয়া সত্ত্বেও একইসঙ্গে চাকদা ও রানাঘাটের ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে ত🗹াঁর। সূত্রের দাবি, একই অনিয়ম ধরা পড়েছে তাঁর স্ত্রীর ক্ষেত্রেও। যদিও এই ঘটনার জন্য সত্যজিৎ নিজে সরাসরি নির্বাচন কমিশনকেই দায়ী করেছেন বলে দাবি সংশ্লিষ্ট মহলের।
ঘটনা প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, বর্তমানে নদিয়া জেলার কল্যাণী মহাকুমার চাকদা পুরসভার অন্তর্গত ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হলেন এই সত্যজিৎ বিশ্বাস ওরফে সাধন। খুব স্বাভাবিকভাবেই ওই এলাকার ভোটার তালিকায় তাঁর এবং তাঁর স্ত্রীর নাম থাকবে। আর, সেটা রয়েছেও। কিন্তু, একইসঙ্গে নদিয়ারই রানাঘাট পুরসভা এলাকার অন্তর্গত ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার তালিকাতেও নাম রয়েছে তাঁর এবং তাঁ𒀰র স্ত্রী শম্পা বিশ্বাসের।
বিষয়ট൲ি নজরে আসতেই এ নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। বিশেষ করে বিজেপির অভিযোগ হল, এটি কোনও ব্যতিক্রমী ঘটনা নয়। নদিয়ায় এমন অসংখ্য মানুষ রয়েছেন, যাঁরা একইসঙ্গে একাধিক এলাকার ভোটার! বিজেপির আরও অভিযোগ, এঁরাই আসলে 'ভূতুড়ে ভোটার'। যাঁরা এত দিন অন্য়ায়ভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে জিতিয়ে এসেছেন।
যদিও বꦫিজেপির এই অভিযোগ পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতৃত্ব। তাদের বক্তব্য, সত্যজিৎ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা আগে রানাঘাটেরই বাসিন্দা ছিলেন। পরে তাঁরা চাকদায় চলে আসেন। ফলে তাঁদের সকলের নামই চা🌱কদার ভোটার তালিকায় ওঠে।
প্রশ্ন হল, তাহলে রানাঘাটের তালিকা থেকে কেন বিশ্বাস পরিবারের সদস্যদের নাম কাটা হল না? এর দায় নির্বাচন কমিশꦬনের উপরেই চাপিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তাদের দাবি, বিশ্বাস পরিবারের ঠিকানা বদলের বিষয়টি জানানো হলেও নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে রানাঘাটের তালিকায় সেই তথ্য আপডেট করা হয়নি। তবে, এবার যখন ঘটনা সামনে এসেছে, তখন অবশ্যই তালিকায় সংশোধনের 🍷সেই কাজ যাতে করে ফেলা হয়, তা দেখা হবে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে রাজ্য তথা দেশের রাজনীতিতে 'ভুতুড়ে ভোটার' একটি বড় ইস্যু। মূলত অবিজেপি দলগুলির অভিযোগ, ভোটে জিততে অনৈতিকভাবে নিজেꦐদের অনুগামীদের বিভিন্ন জায়গার ভোটার সাজিয়েছে বিজেপি! বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় সরব হওয়ার পর থেকেই এ নিয়ে আলোচনা চলছে। আর, এবার সেই তৃণমূলেরই এক জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে 'ভূতুড়ে ভোটার' হওয়ার অভিযোগ উঠল।