তিনি জঙ্গলমহলের কন্যা বলেই পরিচিত। মাঠে–ঘাটে ঘুরে বেড়ানোর অভ্যাস তাঁর আছে। জঙ্গলমহলের মানুষের সঙ্গে তাঁর যেন আত্মার টান। তাই তো জঙ্গলমহলের ঘরের মেয়ে বলেই সকলে মনে করেন। হ্যাঁ, তিনি রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। মন্ত্রী হলেও তাঁর তেমন কোনও চালচলনে পার্থক্য ঘটেনি। জীবনে আসেনি তেমন বৈভব। একেবারে সাধারণ জীবনযাপনই রয়েছে তাঁর। আজ, শনিবার ঝাড়গ্রাম꧋ের বিনপুর ১ ব্লকের একটি স্কুলে আ𝓀সেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। আর পড়ুয়াদের সঙ্গে বসে পড়েন মিড ডে মিল খেতে। যা অনেকে ভাবতেও পারেননি।
যিনি মিড–ডে মিলের খাবার পরিবেশন করছিলেন তিনি তখন অবাক। মন্ত্রীকে খেতে দেবেন তিনি। কিন্তু মন্ত্রী কি ভাত–ডাল–ডিম–সবজি খাবেন? এই প্রশ্ন তাঁর মনে বারবার নাড়া দিচ্ছিল। সেখানে মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বসে ওই মহিলাকে বললেন, ‘বোন আজ আমি এই শিশু পড়ুয়াদের সঙ্গে খাব। দিন যা আছে। আমার কোনও আপত্তি নেই। আমি তো তোমাদেরই একজন।’ ব্যস, এতটুকুই কথা বলে💙 থেমে গেলেন। আর ওই মহিলা তখন অবাক দৃষ্টিতে মন্ত্রীকে দেখছেন। তবে শুধু মিড–ডে মিল খাবার খেলেন তা নয়, নিজের বাসন নিজেই মেজে নিলেন বনমন্ত্রী। তা দেখে অবাক শিক্ষকরা। আসলে তিনি এখনও ঘরের মেয়েই রয়েছেন। বুঝিয়ে দিলেন।
আরও পড়ুন: মৃতদেহের পচনের দুর্গন্ধে প্রাণ ওষ্ঠাগত অবস্থা, কাঠের অভাবে দুর্গাপুর শ্মশানে লাশের পাহাড়
আজ, শনিবার বিনপুর ১ ব্লকের আঁধারিয়া পঞ্চায়েতের রাধামোহন আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসেন বনমন্ত্রী তথা ঝাড়গ্রামের বিধায়ক বীরবাহা হাঁসদা। পড়ুয়াদের সঙ্গে সারাদিন কাটালেন। কথা বললেন। একসঙ্গে খেলেন। উপহার দিলেন। আবার স্কুলের পড়ুয়ারাও মন্ত্রীকে নিজেদের হাতের তৈরি নানা জিনিস উপহার দেয়। বনফুল দিয়ে তৈরি হেয়ারব্যান্ড মন্ত্রীর মাথায় পরিয়ে দেয় পড়ুয়ারা। যা পরে নেন মন্ত্রী। আর ৫১ জন ছাত্রছাত্রীর হাতে তুলে দেন চকলে෴ট, ড্রয়িং খাতা, পেন♐সিল, রং। মাতৃভাষা সাঁওতালিতে কথা বলেন পড়ুয়াদের সঙ্গে।
পড়ুয়াদের সঙ্গে মেঝেতে বসে যখন মিড–ডে মিল খেলেন তখন সকলেই অবাক। ভাত, ডাল, তরকারির সঙ্গে ডিমসেদ্ধ খেলেন মন্ত্রী। তারপর নিজের থালা নিজেই ধুয়ে নিলেন। পড়ুয়াদের পরামর্শ দেন, নিজের কাজ নিজেকেই করতে হয়। ছাত্রছাত্রীদের জুলজিক্যাল পার্কে বেড়াতে নিয়ে যাবেন বলেও আশ্বাস দেন মন্ত্রী। স্কুলের প্রধান শিক্ষক দেবাশিস পালের বক্তব্য, ‘আমাদের স্কুলে মন্ত্রী যেভাবে বাচ্চাদের সঙ্🔯গে মিশে গেলেন তাতে আমরা আপ্লুত। মন্ত্রী একদম নিজেকে মাটির কাছাকাছি রেখেছেন। যা ভাবা যায় না! আমরা তাঁকে বিদ্যালয়ের প্রাচীরের জন্য বলেছি। তিনি বলেছেন, বিধায়ক তহবিলের টাকায় সেটা তৈরি করে দেবেন।’