আরজি কর কাণ্ডের জেরে গোটা রাজ্য যখন প্রতিবাদে উত্তাল তখন ‘পুজো আরও বড় করে হবে’ বলে ঘোষণা করেছেন নির্যাতিত🔯ার জেলা উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী। আর তার পরদিনই থানায় গিয়ে সরকারি অনুদান প্রত্যাখ্যা🌟নের সিদ্ধান্ত থানায় গিয়ে লিখিত ভাবে জানিয়ে এল নির্যাতিতার পাশের পাড়ার পুজো কমিটি। কমিটির এক কর্তা জানিয়েছেন, গোটা পৃথিবী যে ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদে সোচ্চার সেখানে আমাদের পুজো অনুদান গ্রহণ অনুচিত মনে হয়েছে।
আরও পড়ুন - পুজোর মধ্যেও আরজি কর নিয়ে পথে থাকবে বিজে👍পি, উপায় বাতলে দিলেন শুভেন্দু
পড়তে থাকুন - 'ট্রাম উ🅘ঠে যাচ্ছে না'! কীভাবে? ফেসবুকে বোঝালেন দেবাংশ🐬ু
আরজি করের নির্যাতিতা উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরের বাসিন্দা। সেই জেলারই তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী মঙ্গলবার পুজো উদ্যোক্তা🐼দের সঙ্গে 🧔এক বৈঠকে বলেন, এবার উৎসব আরও বড় করে হবে। এমনকী যেখানে বাউল গান হচ্ছে না, সেখানে বাউল গানের ব্যবস্থা করতে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পুজো উদ্যোক্তাদের নির্দেশ দেন নারায়ণবাবু।
আর তার ঠিক পরদিন বুধবার খড়দা থানায় গিয়ে লিখিতভাবে পুজো অনুদান প্রত্যাখ্যান করার কথা জানিয়ে আসেন নির্যাতিতার পাশের পাড়ার൩ পুজো কমিটির কর্তারা। কমিটির এক কর্তা জানান, প্রতি বছর আমাদের পুজোয় ব্যাপক আয়োজন থাকে। নবমীতে খাওয়া দাওয়া হয়। চার দিন ধরে চলে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নাচ – গান। এবার সব বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি বলেন, এবারে অনুদান ফেরত নিয়ে পুজো কমিটির মধ্যে মতনৈক্য ছিল। শেষে বেশ কয়েকজন সদস্য জানিয়ে দেন সরকারি অনুদান নিলে তাঁরা চাঁদা দেবেন না।
আরও পড়ুন - কলেজে ভ🦋রতি হতে TMC নেতাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়তে হয় মে💮য়েদের, বিস্ফোরক দাবি
গত জুলাইয়ে নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে সভা করে দুর্গাপুজোর অনুদান ৭০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮৫ হাজার টাকা করার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে প্রতিশ্রুতি দেন, আগামী বছর অনুদান বাড়িয়ে ১ লক্ষ টাকা করে দেবেন তিনি। চলতি সপ্তাহেই রাজ্যের পুজো অনুদানকে কটাক্ষ করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। তিনি বলেন, ৮৫ হাজার টাকায় কী হয়? ও তো পুজো উদ্যোক্তাদেরই লেগে যায়। সরকারের উচিত ক্লাব পিছু ১০ লক্ষ টাকা করে অনুদান দেওয়া। আরজ🔯ি কর কাণ্ডের পর থেকে রাজ্যজুড়ে একের পর এক পুজোকমিটি অনুদান প্রত্যাখ্যান করেছে। এবার সেই প্রতিবাদে সামিল হলে নির্যাতিতার পাশের পাড়ার পুজো কমিটিও।