বেলগাছিয়া ভাগাড়ে বিপর্যয়ের মধ্যে ধাপা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে কলকাতা পুরসভার। আবর্জনার স্তূপ সরাতে গত কয়েক বছর আগেই ধাপায় শুরু হয়েছিল বায়োমাইনিং পদ্ধতি। তবে সেই কাজ আচমকা থমকে গেল ধাপায়। কারণ এই কাজের জন্য বরাতপ্রাপ্ত সংস্থা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বায়োমাইনিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেনি। সেই কারণে সংস্থাটির চুক্তি বাতিল করেছে পুরসভা। তবে পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে এই কাজের জন্য দ্রুতই নতুন দরপত্র ডাকা হবে। (আরও পড়ুন: জারি ১৬৩ ধারা, '৪-৫টা গাড়ি নিয়ে দাপা💃চ্ছেন সাবিনা ইয়াসমিন', কেমন আছে মোথাꦑবাড়ি?)
আরও পড়ুন: ধাপার উপജর চাপ বাড়ছে, যে কোনও সময় ধস ন𝄹ামতে পারে, নবান্নে চিঠি কলকাতা পুরসভার
শহরের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত ধাপায় সাড়ে তিন দশক ধরে ৪০ লক্ষ টন বর্জ্য জমেছে। প্রতিদিন এখানে ৫০০০ টনেরও বেশি বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। ২০২০ সালে বায়োমাইনিংয়ের দায়িত্ব পাওয়া এই সংস্থাকে কাজ শেষ করার জন্য তিন বছর সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, সেই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারায় আরও দু’বছর সময় দেওয়া হয়েছিল সংস্থাটিকে। তা সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত মাত্র ১৫ লক্ষ টন বর্জ্য বায়োমাইনিংয়ের কাজ করতে পেরেছে সংস্থাটি। সেই কারণে ওই সংস্থার যুক্তি বাতিল করা হয়েছে বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে। (আরও পড়ুন: 𝔉'আক্রমণ হচ্ছ ধর🐠্মের ওপর, তাই...', বিধানসভা ভোটের আগে বড় বার্তা কার্তিক মহারাজের)
আরও পড়ুন: মেঘালಞয়ের প্রত্যন্ত এক ছোট্ট নদীতে খোঁজ মিলꦉল নতুন মাছের প্রজাতির
উল্লেখ্য, বায়োমাইনিং পদ্ধতির মাধ্যমে বর্জ্য থেকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য বস্তু আলাদা করে সেগুলি সার, প্রাকৃতিক 🌼গ্যাস বা বিভিন্ন ধরণের প্লাস্টিক দ্রব্য তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। পুরসভার আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, বায়োমাইনিংয়ের কাজ সাময়িকভাবে স্থগিত থাকলেও তা বন্ধ হবে না। নতুন করে কাজ শুরু করার জন্য দরপত্র ডাকা হবে। ধাপায় কলকাতা, সল্টলেক, নিউ টাউন এবং পানি๊হাটি পুরসভা থেকে বর্জ্য ফেলা হয়। ফলে ধাপার ভবিষ্যৎ নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
যদিও পুরসভার মেয়র পারিষদ (কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা) দেবব্রত মজুমদার সম্প্রতি জানিয়েছিলেন, এখানে বেলগাছিয়ার মতো পরিস্থিতি হওয়া সম্ভব নয়। ধাপা জনবসতি অনেক দূরে রয়েছে। তবে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে ধাপার পাশেই চাষিদের কাছ থেকে ৭০ হেক্টর জমি কেনা হবে। সেখানে বিকল্প ধাপা তৈরি করা হবে। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে অর্থ দফতরের অনুমোদন মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, ৬০ একর জায়গা জুড়ে ধাপা অবস্থিত। আগে এই এ๊লাকাজুড়ে আবর্জনা ফেলা হতো। তবে জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশে ধাপায় প্রক্রিয়াকরণের কাজ চলছে ২৫ একর জায়গা জুড়ে। বাকি জায়গায় এখন আবর্জনা ফেলা হচ্ছে।