মালদার বৈষ্ণবনগরে ঘরছাড়াদের ক্যাম্পের ভিতরে তখন তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে ব্যস্ত রাজ্যপাল। এদিকে, ততক্ষণে বাইরে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয়দের খণ্ডযুদ্ধ। অভিযোগ অনেকেই ব্যারিকেড ভেঙে নিজেদের ♌বক্তব্য জানানোর চেষ্টা করেন। তুলে ধরতে চেষ্টা করেন নিজেদের অভাব, অভিযোগ। এই ঘটনা ঘিরেই ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়।
শুক্রবারই মালদা পৌঁছেছেন রাজ্যপাল সি আনন্দ বোস। মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ বিরোধিতার জেরে সংঘাত, অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির মাঝে ঘরছাড়ারা আশ্রয় নিয়েছেন মালদায়। মুর্শিদাবাদের পাশের দজেলা মালদায় এখন তাঁদের অস্থায়ী ঠিকানা। সেখানের পারলালপুর হাই স্কুলে এখন তাঁদের ঠাঁই। আর তাঁদের সঙ্গেই ক্যাম্পে দেখা করতে আসেন রাজ্যপাল। তিনি ক্যাম্পের মধ্যে ঘরছাড়াদের সঙ্গে কথা বলার সময়ই ক্যাম্পের বাইরে প্রবল বিশৃঙ্খলা দেখা যায়। অনেকেই রাজ্যপাল⭕ের সঙ্গে দেখা করতে চান। প্রশাসনের কাছে আর্জি জানালেও হয়নি লাভ। ফলত, ধীরে ধীরে পারদ চড়তে থাকে অনেকের। পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন অনেকে। শুরু হয় বিক্ষোভ। তা থেকে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থানীয় জনতা। দফায় দফায় চলে বিক্ষোভ। পরিস্থিতি সামলাতে বেগ পেতে হয় পুলিশকে।
উল্লেখ্য, যাঁরা বিক্ষোভরত, তাঁরা জানতে চান, যে ঘরছাড়াদের সঙ্গে রাজ্যপালের ঠিক কী করা হয়েছে। কী কী আশ্বাস তিনি দিয়েছেন ঘরছাড়াদের, তা জানতে চান তাঁরা। স্থানীয়দের দাবি, ঘরছাড়াদের ক্যাম্পের মধ্যে কড়া পুলিশি প্রহরায় রাখা হয়েছে। গ্রাম🦋বাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এদিকে, শুক্রবার, রাজ্যপাল তাঁদের কী আশ্বাস দিচ্ছেন, চা জানতেই তাঁরা আশ্রয় শিবিরে ঢুকতে চাইছিলেন। কিন্তু তাতে বাধ সাধে পুলিশ।তখনই পরিস্থিতি বেগতিক হতে শুরু করে।
এদিকে, শুক্রবꦇার, সকালে মালদহে পৌঁছন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল। পারলালপুর হাইস্কুলের ক্যাম্পে তাঁরাও যান। ক্যাম্পে থাকা ধুলিয়ানের ঘরছাড়া পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। জানা যাচ্ছে, গোটা পরিস্থিতি ঘিরে তাঁ▨রা পূর্ভাঙ্গ রিপোর্ট কমিশনের কাছে জমা দেবেন।