𝄹 চেন্নাই সুপার কিংসের (CSK) বিরুদ্ধে দুর্ধর্ষ ৩৯ বলে শতরান করার পর, পঞ্জাব কিংসের (PBKS) ওপেনার প্রিয়াংশ আর্য ফোন করেন তাঁর শৈশবের কোচ সঞ্জয় ভরতদ্বাজকে। প্রিয়াংশ আর্য আশা করেছিলেন তিনি কোচের থেকে কিছু প্রশংসা পাবেন। কিন্তু কোচের প্রতিক্রিয়া ছিল একেবারেই অন্য তবে তাঁর চিরাচরিত ধাঁচে।
ভরতদ্বাজ বলেন, ‘ও (প্রিয়াংশ) আমাকে জিজ্ঞ🐼েস করল, ‘স্যার, ꧟ঠিক ছিল?’ আমি চেঁচিয়ে বললাম, ‘কি ঠিক ছিল? একটা ম্যাচে ভালো খেলেছিস বলে উড়ে যাবি না যেন।’ এরপরের দশ মিনিট ছিল একতরফা আলোচনা। প্রিয়াংশের মুখে শুধু ‘জি স্যার’ আর ‘না স্যার’ ছিল।
গৌতম গম্ভীর, অমিত মিশ্র, যোগিন্দর শর্মা, নীᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚতিশ রানা ও উন্মুক্ত চাঁদের মতো তারকা গড়ে তোলা এই ঘরোয়া ক্রিকেটের বর্ষীয়ান কোচটি বলেন, ‘আমি ওকে আজ সকালে বললাম, ‘প্রিয়াংশ, যদি তুই শুধু হাত দিয়ে খেলিস, তবে তুই একজন মজদুরই থাকবি। যদি তুই হাত আর মাথা দিয়ে খেলিস, তবে তুই একজন কারিগর হবি। আর যেদিন তুই হাত-মাথা আর জিগর (হৃদয়) দিয়ে খেলবি, সে দিন তুই একজন আসল শিল্পী হবি।’
মঙ্গলবার, নিউ PCA ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রীতিমতো বাজি ফুটলো। বাঁহাতি ব্যাটার প্রিয়াংশ ৪২ বলে ১০৩ রান করলেন, যে𝕴খানে ছিল ৯টি ছয় এবং ৭টি চার হাঁকিয়েছিলেন। যারা দিল্লির বয়সভিত্তিক স্তর থেকে ওকে দেখছেন, তাদের কাছে এ ব্যাটিং অচেনা নয়। কোচের ভাষায়, ওর ব্যাটিং ফর্মুলা একটাই, ‘see the ball, hit the ball।’
প্রিয়াংশ আর্যের কোচ ভরতদ্বাজ বলেন, ‘ওর ব্যাটিং ঠিক সেটাই — 𒊎বল দেখো, মারো। যদি একটু জায়গা দাও, ও মারবেই। শুধু খলিল আহমেদ একটু পিচ থেকে সাহায্য পাচ্ছিল, কিন্তু ও সেটাকে ঠিকমতো কাজে লাগাতে পারেনি, আর প্রি⛎য়াংশ পুরো সুযোগটা নিয়ে নেয়।’
আরও পড়ুন … IPL 2025🌌-এর মাঝ পথে অমিতাভ বচ্চনের টিমের সেরা ক্রিকেটারকে নিজের দলে নিলেন শাহর▨ুখ খান
গম্ভীরের ছোঁয়া পেয়েছেন প্রিয়াংশ
প্রিয়াংশ সৌভাগ্যবান ছিল, ছোটবেলায় ভারতীয় কোচ ও প্রাক্তন অধিনায়ক গৌতম গম্ভীরকে খুব কাছ থেক🍎ে প্র্যাকটিস করতে দেখেছে সে। ওর অ্যাকাডেমিতেই। যদিও কখনও সাহস করে ওর সঙ্গে কথা বলেনি, তবে নেটস-এ ব্যাটিং দেখত, আর গম্ভীরের শেষ দিল্লি রঞ্জি মরশুমে প্রিয়াংশ ছিলেন প্রোবেবল স্কোয়াডে।
প্রিয়াংশের বাবা পবন আর্য, দিল্লির সরকারি সর্বোদয় বিদ্যালয়, ল্যান্সার রোড-এ শিক্ষকতা করেন। তিনি বললেন, ‘গম্ভীর ওকে আন্ডার-১৯-এ ২৭১ রান করার পর থেকে পছন্দ করে আসছে। গত ছয়-সাত বছর ধরে ওকে গাইড করছে। বলেছে যত বেশি🧜 সম্ভব খেলতে, দিল্লি লিগ, হট ওয়েদার টুর্নামে𝄹ন্ট — সব জায়গায় খেলতে বলেছে। এতে ওর অনেক উন্নতি হয়েছে।’
ভরতদ্বাজ বলেন, ‘গম্ভীর শুধুমাত্র প্রতিভা দেখে না, সে অ্যাটিটিউড খোঁজে। সে দেখে খেলোয়াড়ের ইচ্ছাশক্তি আছে কিনা। ও দিল্লি ক্রিকেটে উন্মুক্ত চাঁদ, নবদীপ সাইনি, আয়ুষ বাদোনি, নীতিশ রা🐟নার মতো খেলোয়াড়দেরও এমন করেই সাপোর্ট করেছে।’
প্রিয়াংশ আর্যের বাবা পবন আর্য দিল্লির আশোক বিহারে নিজের ঘরে বসে হাসতে হাসতে বললেন, ‘প্রথমবার IPL-এ ওকে লাইভ দেখতে গিয়ে খুব উত্তেজিত ছিলাম🐈। রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে চণ্ডীগড় গিয়েছিলাম, প্রথম বলেই আউট হয়ে গেল। কিন্তু কাল ওর সেঞ্চুরি আমি বাড়িতে বসেই দেখলাম। এখন ঠিক করেছি, আর কখনও মাঠে গিয়ে ওর ম্যাচ দেখব না! আমি ওর জন্য ‘অপশগুন’।’
প্রিয়াংশের স্বপ্ন হল ভারতের হয়ে খেলা। কোচ, ব🔯াবা আর মেন্টরের চাওয়াও ঠিক সেটাই। পথটা এখনও অনেক লম্বা, কিন্তু এই উদীয়মান বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের যাত্রা শুরুটা দারুণ হয়েছে। সামনে আরও অনেক রান, আরও সেঞ্চুরি, আর অবশ্যই, সঞ্জয় ভরতদ্বাজের কোচিং পর🐲ামর্শ।