দীর্ঘ এক শতকেরও বেশি সময় পরে অলি꧟ম্পিক্সের আসরে ফিরছে ক্রিকেট। ১৯০০ সালের পরে ২০২৮-এ ফের অলিম্পিক গেমসের আসরে দেখা যাবে ব্যাট-বলের লড়াই। বুধবার লস অ্যাঞ্জেলেস গেমসের ক্রিকেট ইভেন্ট নিয়ে বেশ কিছু অসচ্ছ্বতা দূর করল আন্তর্জাতিক অলিম্পিক সংস্থা। ♛অবশেষে জানা গেল, পরবর্তী অলিম্পিক্সের ক্রিকেট ইভেন্টে ক'টি করে দল অংশ নিতে পারবে।
উল্লেখ্য, ১৯০০ সালের প♏্যারিস অলিম্পিক্সে প্রথমবার দেখা যায় ক্রিকেট। সেবার গ্রেট ব্রিটেন ও ফ্রান্সের মধ্যে একটিমাত্র ম্যাচ আয়োজিত হয়। দু'দিনের সেই ক্রিকেট ম্যাচকে বেসরকারি টেস্ট হিসেবে চিহ্নিত করেছে আইসিসি। অবশেষে দীর্ঘ ১২৮ বছর পরে ফের অলিম্পিক গেমসে দেখা যাবে ক্রিকেট। লস অ্যাঞ্জেলেসে খেলা হবে ছেলে ও মেয়েদের টি-২০ ইভেন্ট।
লস অ্যাঞ্জেলেসে ছেলে ও মেয়েদের টি-২০ ইভেন্টে অংশ নেবে ৬টি করে দল। অংশগ্রহণকারী দেশগুলি ১৫ জনের ক্রিকেট স্কোয়াড নিয়ে অলিম্পিক্স খেলতে যাবে। অর্থাৎ, ছেলেদের ইভেন্টে ৯০ জন ও মেয়েদের♑ ইভেন্টে ৯০ জন অ্যাথলিটের জন্য যাবতীয় বন্দোবস্ত থাকবে গেমস ভিলেজে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার অধীনে এই মুহূর্তে ১২টি দেশ পূর্ণ সদস্য🍨ের মর্যাদা পায়। আরও ৯৪টি দেশ সহযোগী সদস্য হি♛সেবে অংশ গ্রহণ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। আইসিসি এখন সব সহযোগী দেশের টি-২০ ম্যাচকেই আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচের স্বীকৃতি দেয়।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ঠাসা আন্তর্জাতিক ক্রীড়াসূচির মধ্যে আলাদা করে অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জনকারী টুর্নামেন্ট আয়োজন করা কঠিন। তাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা যদি দলগুলিকে প্রস্তুতির জন্য পর্যাপ্ত সময় দিতে চায়, ত🧸াহলে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে আইসিসি ব়👍্যাঙ্কিংকেই যোগ্যতা অর্জনের মাপকাঠি হিসেবে বিবেচনা করতে পারে।
যদি আইসিসি ব়্যাঙ্কিং অনুযায়ী অলিম্পিক্সের ছাড়পত্র পাওয়া যায়, তবে ঐতিহাসিক ইভেন্টে অংশ নেওয়ার সুযোগ হারাতে পারে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তানের মতো এশিয়ার শক্তিশালী দেশগুলি। কেননা বর্তমান আইসিসি টিম ব়্যাঙ্কিং অনুযায়ী এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসেবে ভারত ছেলে ও মেয়েদের বিভাগে সেরা ছয়ে রয়েছে। আইসিসি ব়্যাঙ্কি🐼ং অনুযায়ী🌌 ছেলেদের বিভাগে টিম ইন্ডিয়া এই মুহূর্তে বিশ্বের এক নম্বর টি-২০ দল। মেয়েদের বিভাগে ভারত রয়েছে তিন নম্বরে।
ছেলেদের বর্তমান আইসিসি দলগত টি-২০ ব়্যাঙ্কিং
১. ভারত- ২৬৯ রেটিং পয়েন্ট।
২. অস্ট্রেলিয়া- ২৫৯ রেটিং পয়েন্ট।
৩. ইংল্যান্ড- ২৫৪ রেটিং পয়েন্ট।
৪. নিউজিল্যান্ড- ২৪৮ রেটিং পয়েন্ট।
৫. ওয়েস্ট ইন্ডিজ- ২৪৭ রেটিং পয়েন্ট।
৬. দক্ষিণ আফ্রিকা- ২৪৭ রেটিং পয়েন্ট।
৭. পাকিস্তান- ২৩৫ রেটিং পয়েন্ট।
৮. শ্রীলঙ্কা- ২৩২ রেটিং পয়েন্ট।
৯. বাংলাদেশ- ২২৯ রেটিং পয়েন্ট।
১০. আফগানিস্তান- ২২২ রেটিং পয়েন্ট।
মেয়েদের বর্তমান আইসিসি দলগত টি-২০ ব়্যাঙ্কিং
১. অস্ট্রেলিয়া- ২৯৭ রেটিং পয়েন্ট।
২. ইংল্যান্ড- ২৭৯ রেটিং পয়েন্ট।
৩. ভারত- ২৬০ রেটিং পয়েন্ট।
৪. নিউজিল্যান্ড- ২৫১ রেটিং পয়েন্ট।
৫. দক্ষিণ আফ্রিকা- ২৪২ রেটিং পয়েন্ট।
৬. ওয়েস্ট ইন্ডিজ- ২৪২ রেটিং পয়েন্ট।
৭. শ্রীলঙ্কা- ২২৯ রেটিং পয়েন্ট।
৮. পাকিস্তান- ২১৯ রেটিং পয়েন্ট।
৯. বাংলাদেশ- ১৯৫ রেটিং পয়েন্ট।
১০. আয়ারল্যান্ড- ১৯৪ রেটিং পয়েন্ট।
সুতরাং, দলগত টি-২০ ব়্যাঙ্কিংয়ে তড়িঘড়ি উন্নতি না করলে পাকিস্তানের পক্ষে অলিম্পিক খেলা মুশকিল হয়ে🎐 দাঁড়াতে পারে। সেক্ষেত্রে অলিম্পিক্সের আসরে ভারত-পাকিস্তানের হাই-ভোল্টেজ লড়াই নাও দেখা যেতে পারে।