এক্সিট পোল বা বুথফেরত সমীক্🌃ষা একটা বিষয় মিলিয়ে দিয়েছে। সেটি হল–বামেরা বাংলায় খ💯াতা খুলবে না। আর লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হতেই দেখা গেল, গোটা রাজ্যের কোথাও কোনও আসন জেতেনি বামেরা। এটাকে মানুষের ‘রাজনৈতিক প্রত্যাখ্যান’ বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা। ২০১১ সালের পালবদলের পর সেই যে রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছিল বামেদের সেটা ২০২৪ সালেও থামেনি। বুক ভরা শূন্যতা নিয়ে এখন আলোচনায় বসতে চলেছেন তাঁরা। এই ফলাফলের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ ফল হয়েছে ঘাটাল এবং মেদিনীপুর আসনে।
একদা ঘাটাল বামেদের গড় ছিল। সিপিআই নেতা গুরুদাস দাশগুপ্ত বারবার জিতে এই লোকসভা কেন্দ্র থেকে সংসদে গিয়েছিলেন। সেখানে আসন ধরে রাখা তো দূরের কথা জামানত জব্দ হয়েছে বাম প্রার্থীর। ঘাটালের মতো মেদিনীপুরকেও বামেদের খাসতালুক বলা হতো। সেখানেও জামানত জব্দ হয়েছে বাম প্রার্থীর। ২০২৪ সালে কার্যত রক্তশূন্য হয়ে পড়েছে বামেরা। 𝕴কারণ ২০১৯ সালের থেকেও কমেছে বামেদের প্রাপ্ত ভোট। নতুন প্রজন্মকে নামিয়েও লাভ হয়নি বামেদের। কংগ্রেসে🐼র সঙ্গে জোট করেও ফসল তোলা যায়নি ঘরে। আসলে ‘জান কবুল আর মান কবুল’ বলে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারেনি বামেরা। শুধু খেটেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যার থেকে দূরত্ব রয়েছে গ্রামবাংলার।
আরও পড়ুন: ‘প্রধানমন্ত্রী পদে মোদীকে সমর্থন নয়’, ꦅবিপুল ভোটে জয়ী হওয়ার পর তোপ দাগলেন ওয়াইসি
এদিকে লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ‘ফেরাতে হাল, ফিরুক লাল’ এই স্লোগান তুলে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছিল বাম প্রার্থীরা। তবে এই প্রচারে ঝড় তুলেছিল বামেরা সোশ্যাল মিডিয়ায়। রাস্তায় খুব কম দেখা গিয়ে🐭ছে। একই ছবি দেখা গিয়েছিল মেদিনীপুর ও ঘাটালে। জয় না পেলেও বাম নেতা–কর্মীরা আশা করেছিলেন, এবারের নির্বাচনে বামেদের ভোট শতাংশ বাড়বে। যে ভোট রামে গিয়েছে তা ফিরবে। দ্বিতীয় স্থানে তারা উঠে আসবে। কিন্তু কোনওটিই হয়নি। সেখানে জামানত জব্দ তো হয়েছেই, এমনকী তৃতীয় স্থানে নেমে গিয়েছে তারা।
অন্যদিকে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে বামেরা মাত্র ৩.৯ শতাংশ এবং ঘাটালে ৪.৬৭ 🔜শতাংশ ভোট পেয়েছে। এক লক্ষের গণ্ডিও টপকাতে পারেনি। নিয়ম আছে, মোট বৈধ ভোটের অন্তত ছ’ভাগের এক ভাগ না পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। সেই নিয়মেই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে মেদিনীপুরের সিপিআই প্রার্থী বিপ্লব ভট্ট এবং ঘাটালের সিপিআই প্রার্থী তপন গঙ্গোপাধ্যায়ের। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই দু’জনই প্রার্থী হয়েছিল বামেদের। ২০১৯ সালে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে ৪.৪২ শতাংশ ভোট পান বিপ্লববাবু। আর তপনবাবু ৬.৫২ শতাংশ ভোট পান। এই বিষয়ে সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য তাপস সিনহা বলেন, ‘ব্রিগেডের সভা থেকে ইনসাফ যাত্রা এবং নানা নির্বাচনী সভা–সমাবেশে যত মানুষের সমাগম হয়েছিল, তাতে আমরা সব আসনে জেতার আশা না করলেও ভেবেছিলাম ভোট শতাংশ বাড়বে।’