রাম নবমী উপলক্ষে টরন্টোর বৃহত্তম বিএপিএস শ্রী স্বামীনারায়ণ ম💯ন্দির পরিদর্শ করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি। কানাডায় ভোট হবে আগামী ২৮ এপ্রিল। সাধারণ ভাবে কানাডায় নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল অক্টোবরে। নির্ধারিত সময়ের ছ’মাস আগেই ভোট ঘোষণা করা হয়েছে। তাই এই মুহূর্তে সে দেশে চলছে ভোটের প্রচার। শনিবার প্রধানমন্ত্রী প্রচার বাস আচমকা টরন্টোর বৃহত্তম বিএপিএস শ্রী স্বামীনারায়ণ মন্দিরে ঢুকে পড়ে।
মন্দিরে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান ভারতীয় বংশোদ্ভূত ক্যাবিনেট মন্ত্রী অনিতা আনন্দ।এক্স বার্তায় তিনি জানান, 'ভগবান রামের জন্মদিন উদযাপনের জন্য বিএপিএস শ্রী স্বামীনারায়ণ মন্দির প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। রাম নবমীর অনেক অনেক শুভেচ্ছা!'তবে অনিতা আনন্দ নয় মন্দিরে লিবারেল পার্টির এমপিরাও উপস্থিত ছিলেন।কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি রাম নবমী উপলক্ষে শ্রী স্বামীনারায়ণ মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন। সকলকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি ঘুরে দেখেছেন মন্দির চত্বর।প্রধানমন্ত্রী মন্দিরের স্থাপত্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি স্বামীদের সঙ্গে আরতিতেও যোগ দেন। পরে এমপিদের সঙ্গে ছবিও তুলেছেন তিনি।পরে এক্স বার্তায় কার্নি লিখেছেন, 'গতকাল রাম নবমী উদযাপনে বিএপিএস শ্রী স্বামীনারায়ণ মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের 🗹সঙ্গে যোগ দিয়েছিলাম। আমার সঙ্গে আপনাদের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি ভাগ করে নেওয়ার জন্য অএঙ্ক ধন্যবাদ। শুভ রাম নবমী!'
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, রাম নবমী হল অযোধ্যার রাজা দশরথ ও রাণী কৌশল্যা সন্তান ভগবান রামের 🗹জন্মগ্রহণ উদ্যাপন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত একটি হিন্দু উৎসব। এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিন্দু উৎসবের মধ্যে একটি।মনে𓄧 করা হয় ভগবান রাম বিষ্ণুর সপ্তম অবতার। ভগবান বিষ্ণুর মানবীয় রূপের প্রাচীনতম অবতার। এই নবমীতে দেবী পার্বতী আবির্ভূত হয়েছিলেন। তাই এই দিনকে সনাতন ধর্মের 'বিশ্ব মাতৃ দিবস' হিসেবে পালন করেন সনাতনীরা।
এদিকে, কার্নির মন্দির পরিদর্শনের পর কানাডার সংস্থা হিন্দু কানাডিয়ান ফাউন্ডেশন, সনাতনীদের সমস্যাগুলি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এক্স পো♒স্টে ওই সংস্থা বলেছে, 'গত কয়েক বছর কানাডায় হিন্দু সম্প্রদায় একাধিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। নিয়ম ও আইন মেনে চলার জন্য পরিচিত, হিন্দুরা সর্বোচ্চ উপার্জনকারী 🀅এবং সফল জীবনযাপনকারী হওয়া সত্ত্বেও, তারা কম প্রোফাইল বজায় রাখে এবং প্রায়শই রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে জড়িত হওয়া থেকে বিরত থাকে। এর ফলে কখনও কখনও প্রতিনিধিত্বের অভাব দেখা দেয়, যা সম্প্রদায়কে দুর্বল করে তোলে।'