ধর্ষণ মামলা নিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টের দেওয়া বিতর্কিত রায়ে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। বস্তুত, সম্প্রতি এলাহাবাদ হাইকোর্ট ধর্ষণ মামলার আদেশে বলেছিল, কোনও নারীর স্তন খামচে ধরা, পাজামার দড়ি খুলে দেওয়ার মতো কাজ ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ আনার জন্য যথেষ্ট নয়। সেই আদেশ স্থগিত করল সুপ্রিম কোর্ট। এরই সঙ্গে যে বিচারপতি এই নির্দেশ লিখেছিলেন, তাঁর সংবেদনশীলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি চলাকালীন। (আরও পড়ুন: '…আমরা সততার পরিচয়🥃 বহ💛ন করি না', 'যুদ্ধাবস্থায়' থাকা বাংলাদেশ নিয়ে বললেন ইউনুস)
আরও পড়ুন: ভূপেশ বাঘেলের বাড়িতে CBI হানা💃, আরও বিপাকে পড়তে চলেছেন 🌱ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন CM?
এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, 'আমরা ব্যথিত যে এই রায় যিনি লিখেছেন, তাঁর মধ্যে সংবেদনশীলতার অভাব দেখা যাচ্ছে। তাৎক্ষণিকভাবে রায় না নিলেও রিজার্ভ থাকার চার মাস পর রায় ঘোষণা করা হয়। আমরা সাধারণত এই পর্যায়ে স্থগিতাদেশ দিতে দ্বিধাবোধ করি, কিন্তু আদেশের ২১, ২৪ ও ২৬ অনুচ্ছেদে উল্লেখিত বিষয়গুলো আইনে নেই এবং এতে মানবিকতার অভাব রয়েছে। আমরা এই অনুচ্ছেদে করা মন্তব্যগুলি নিষিদ্ধ করছি।' (আরও পড়ুন: 'গোপন ইন্টেল' পাওয়ার পর মার্কিন বাহিনীর কর্তার সাথে ব🤪ৈঠক বাংলাদেশি সেনা প্রধানের)
আরও পড়ুন: মার্কিন নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বড♉় ‘বদল’, নয়া নির্দেশিকায় সই ডোনাꦦল্ড ট্রাম্পের
রিপোর্ট অনুযায়ী, একটি পকসো মামলার ক্ষেত্রে এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি পর্যবেক্ষণে বলেছিলেন, 'কোনও নারীর স্তন খামচে ধরলে কিংবা তাঁর পরনে থাকা পাজামার দড়ি খুলে ফেললও সেই ঘটনাকে ধর্ষণ বা ধর্ষণের চেষ্টা বলা যাবে না।' এই মামলায় নির্যাতিতার বয়স মাত্র ১১ বছর। অভিযোগ, প্রধান অভিযুক্ত দুই ব্যক্তি তার স্তন স্পর্শ করে এবং তার পরনের পাজামার দড়ি ছিঁড়ে ফেলে। তারপর তাকে জোর করে মাটিতে ফেলে টেনে, হিঁচড়ে একটি কালভার্টের নীচে নিয়ে যাওয়া চেষ্টা করে! ঘটনাটি ঘটে উত্তরপ্রদেশের কাসগঞ্জে। (আরও পড়ুন: 'মমতার স🌼রকার ভয় পেয়েছিল', বাংলা থেকে রোজ কত ভক্ত যেতেন প্রয়াগরাজে? 🅠জানালেন যোগী)
ঘটনা প্রসঙ্গে আরও জানা যায়, ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২১ সালে। ১১ বছরের বালিকাকে 'লিফট' দেওয়ার বাহানা করেছিল দুই অভিযুক্ত। আর, তারপরই তার সঙ্গে এই আচরণ করে ওই দুই ব্যক্তি। কিন্তু, মেয়েটির চিৎকারে ⛄ওই পথ দিয়ে যাওয়া বাকি মানুষজন এগিয়ে আসে। তারা বাধা দেওয়ার ফলেই সে যাত্রায় রক্ষা পায় নাবালিকা। কিন্তু, বেগতিক বুঝে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় দুই অভিযুক্ত।♋ পরবর্তীতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই দু'জনের নাম - পবন ও আকাশ। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ নম্বর ধারা এবং পকসো আইনের ১৮ নম্বর ধারা অনুসারে মামলা রুজু করা হয়। কাসগঞ্জ ট্রায়াল কোর্টের নির্দেশেই এই ধারাগুলি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়। পরে এলাদাবাদ হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪-বি নম্বর ধারা (নিগ্রহ অথবা পোশাক খুলে নেওয়ার উদ্দেশ্যে অপরাধমূলক শক্তির ব্যবহার) এবং পকসো আইনের ৯/১💛০ নম্বর ধারা (আক্রমণাত্মক যৌন নিগ্রহ) অনুসারে মামলা করতে হবে। এই মামলায় তৃতীয় অভিযুক্ত হিসাবে পবনের বাবা অশোকের নাম রয়েছে। তাকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৪ ন🐼ম্বর ধারা (শান্তি বিঘ্নিত করার লক্ষ্য়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অবমাননা করা) এবং ৫০৬ (অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শন) নম্বর ধারার অধীনে সমন পাঠানো হয়েছে। এলাহাবাদ হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, আইন অনুসারে, যাকে ধর্ষণ বলা হয়, এক্ষেত্রে সেই ঘটনাা ঘটেনি। আর সেই রায় ঘিরে জোর চর্চা শুরু হয়েছিল। নিন্দার ঝড় উঠেছিল গোটা দেশে।