ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ জেলায় হিংসার ঘটনা সামনে এল। একটি ধর্মীয় শোভাযাত্রা চলাকালীন পাথর ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে সেখানে। এর জেরে গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মহকুমা পুলিশ আধিকারিক পরমেশ্বর কামতি জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাত ১১টা নাগাদ জামা মসজিদ চকের কাছ দিয়ে যাচ্ছিল একটি ধর্মীয় মিছিল। রামনবমী উৎসবের মঙ্গলা শোভাযাত্রা বের করা হয়েছিল সেই সময়। তিনি বলেন, সেই মিছিল ঘিরেই উত্তেজনা ছড়ায়। দু'দিক থেকে পাথর ছোড়া হয়। লোকজন বলছেন, মিছিলে সাম্প্রদায়িক গান বাজানো নিয়ে বিবাদ হয়েছিল। (আরও পড়ুন:💛 'গোপন ইন্টেল' পাওয়ার পর মার্কিন বাহিনীর কর্তার সাথে বৈঠক বাংলাদেশি সেনা প্রধানের)
আরও পড়ুন: 𒆙'মমতার সরকার ভয় পেয়েছিল', বাংলা থেকে রোজ কত ভক্ত যেতেন প্রয়াগরাজে? জানালেন যোগী
ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে অপর এক পুলিশ কর্তা বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শূন্যে গুলি ছোড়ে। পুলিশ দাবি করেছে যে বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি বলেন, পাথর ছোড়ার সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে এবং শীঘ্রই তাদের গ্রেফতার করা হবে। (আরও পড়ুন: ಞ'নারীর স্তন খামচে ধরা ধর্ষণের চেষ্টা নয়' বলেছিল এলাহাবাদ HC, তীব্র ভর্ৎসনা SC-র)
এ ঘটনার প্রসঙ্গে স্থানীয়রা জানান, মিছিল চলাকালীন ডিজেতে একটি গান বাজানো হচ্ছিল। এ সময় বাকবিতণ্ডা শুরু হয় এবং পাথর ছোড়া শুরু হয়। একদিক থেকে পাথর ছোড়া শুরু হলে অন্য দিক থেকেও লোকজন পাথর ছুড়তে শুরু করে। এই পাথর ছোড়ার ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। (আরও পড়ুন: 🌠'অভ্যুত্থান গুজবে' নাম থাকা বাংলাদেশি জেনারেল দেখা করলেন অভ্যুত্থানকারীদের সঙ্গে)
আরও পড়ুন:ꦦ 'বিদেশের মাটিতে ভারত বিরোধীদের মারছে', RAW-কে নিষিদ্ধ করার দাবি মার্কিন কমিশনের
ꦉরিপোর্টে জানা যায়, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ সুপার অরবিন্দ কুমার সিংকেও ঘটনাস্থলে আসতে হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে শূন্যে গুলি চালাতে হয় এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করতে হয়। হিংসা চলাকালালীন ভাঙচুর করা হয় বেশ কয়েকটি দোকানও। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানা গেছে। এই আবহে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রথমে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে এবং লোকজনকে বোঝানোর চেষ্টা করে। পরে সবাইকে পুলিশ বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। যে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। গোটা এলাকাকে ক্যাম্পে পরিণত করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে এবং এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এখনও পুলিশ সেখানে রয়েছে।