ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন ২০২৫-এর সাংবিধানিক গ্রহণযোগ্যতাকে চ্যালেঞ্জ করে বেশ কিছু মামলা জমা পড়েছে সুপ্রিম ক💧োর্টে। আর এই মামলার শুনানির আগেই শীর্ষ আদালতে ক্যাভিয়েট দাখিল করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সম্প্রতি সংসদের দুই কক্ষে বিলটি পাশ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সম্মতি পেয়ে ওয়াকফ আইনে পরিণত হয়েছে। এরপরেই ওই আইনের বিরোধিতায় একাধিক মুসলিম সংগঠনের পাশাপাশি বিরোধী রাজনৈতিক দল সরব হয়েছে। তারইমধ্যে ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে দেওয়া হয়েছে।
এই মামলার আইনজীবীরা জানিয়েছেন, ওয়াকফ (সংশোধনী) আইনের বিরোধিতায় জমা পড়া আবেদনগুলি ১৫ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চের সামনে শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত হওয়ার স🥃ম্ভাবনা রয়েছে। যদিও সংবাদসংস্থা পিটিআই অনুসারে, এখন পর্যন্ত শীর্ষ আদালতের ওয়েবসাইটে কিছু জানানো হয়নি। তার আগেই শীর্ষ আদালতে ক্যাভিয়েট দাখিল করেছে কেন্দ্র। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় সরকারের মতামত না শুনেই যেন কোনও নির্দেশ না দেয় শীর্ষ আদালত, এই আপিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-China:'শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে প্রস্তুত!' ট্রাম্পকে ব্ল্যাকমেইল তোপ, পাল্টা হু💞ঁশিয়ারি চিনের
গত বুধবার গভীর রাতে কেন্দ্রীয় সরকার ও বিরোধী পক্ষের দীর্ঘ বিতর্কের পরে লোকসভায় পাশ হয়েছিল ওয়াকফ সংশোধনী বিল। পক্ষে পড়েছিল ২৮৮টি ভোট। বিপক্ষে পড়েছিল ২৩২টি ভোট। এরপরে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রাজ্যসভায় পাশ হয় এই সংশোধনী বিল।এরপরেই লোকসভ♔া ও রাজ্যসভায় পাশ হওয়া বিল অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছিল রাষ্ট্রপতির কাছে। শনিবার রাতে তাতে সই করেন রাষ♒্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সেই সিলমোহর পাওয়ায় বিল পরিণত হয় আইনে। সরকার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায়, 'নিম্নলিখিত সংসদীয় আইনটি ৫ এপ্রিল রাষ্ট্রপতির সম্মতি পেয়েছে।
আরও পড়ু𝓰ন-China:'শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে প্রস্তুত!' ট্রাম্পকে ব্ল্যাকমেইল তোপ, পাল্টা হুঁশিয়ারি চিনের
এরপরেই ওয়াকফ (সংশোধনী) আইনের প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের একের পর এক মামলা। কংগ্রেস সাংসদ মহম্মদ জাওয়েদ ও এআইএমআইএম সাংসদ আসাদুদ্দিন ওয়াইসি প্রথম সুপ্রিম কোর্টের দ꧅্বারস্থ হন। এরপর দুই বড় মুসলিম সংগঠন জামাত-এ-উলেমা-ই-হিন্দ ও রাজনৈতিক দল হিসাবে ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ দ্বারস্থ হয়েছে শীর্ষ আদালতের।
তাদের দাবি, মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয়𓄧 আচরণ পালনে এই আইন গভীর ষড়যন্ত্র। আপ বিধায়ক আমানতুল্লাহ খানও যুক্ত হন।একটি এনজিও ‘অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য প্রোটেকশন অফ সিভিল রাইটস’ এই আইনকে সংবিধানবিরোধী আখ্যা দিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে।
সাংসদ মহম্মদ জাভেদের আবেদনে বলা হয়েছে, এই আইন ওয়াকফ সম্পত্তির ব্যবস্থাপনায় যৌꦇক্তিহীন সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছে এবং মুসলিমদের ধর্মীয় স্বায়ত্তশাসনের উপর হস্তক্ষেপ করেছে।অন্যদিকে ওয়াইসির মতে, এই সংশোধনীগুলি ওয়াকফের সুরক্ষা দুর্বল করে ও অন্যান্য গোষ্ঠীকে অযথা সুবিধা দেয়, যা সংবিধানের ১৪ ও ১৫ নম্বর ধারা লঙ্ঘন করে। দিল্লির আপ বিধায়ক আমানতুল্লাহ খানের আবেদনে বলা হয়েছে, 'এই আইন সংবিধানের ১৪, ১৫, ২১, ২৫, ২৬, ২৯, ৩💧০ এবং ৩০০-এ ধারার পরিপন্থী।' পাশাপাশি আরজেডি-র রাজ্যসভার সাংসদ মনোজ ঝা এবং নেতা ফায়াজ আহমেদ সোমবার দলের পক্ষে একটি আবেদন দাখিল করেছেন।